ঢাকা ০১:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

রিকশা চালিয়ে নিজের পড়ার খরচ যোগায় কিশোর

  • আপডেট সময় : ১১:৫৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ অগাস্ট ২০২১
  • ১১৪ বার পড়া হয়েছে

আলম : পরিবারের অভাব থাকায় রিকশা চালিয়ে নিজের পড়াশোনার খরচ চালায় লালমনিরহাটের জীবন নামের এক কিশোর। তার বাড়ি জেলার পাটগ্রাম উপজেলায়। সে পড়াশোনা করছে অষ্টম শ্রেণিতে। জীবন হ্যালোকে জানায়, তার বাবা স্থলবন্দরের একজন পাথর শ্রমিক আর মা গৃহকর্মী। চার ভাইবোনের মধ্যে দ্বিতীয় সে। ছয় জনের অভাবের সংসারে বাবা তাকে পড়াশোনার খরচ দিতে পারেন না, তাই নিজেই নেমেছে রোজগারে। যেকোনো মূল্যেই পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চায় সে। পঞ্চম শ্রেণিতে জিপিএ পাঁচ পেয়ে কৃতকার্য হয়েছে সে। জীবন স্বপ্ন দেখছে সেনাবাহিনীর চাকরি করার। রিকশা চালিয়ে পড়াশোনা করতে কোনো সমস্যা হয় কিনা জানতে চাইলে সে হ্যালোকে বলে, “রিকশা চালানোর সময় মাঝে মধ্যে হঠাৎ করে আমার কিছু ক্লাস ফ্রেন্ডের দেখা হয়ে যায়। প্রথম প্রথম আমি এই অবস্থায় তাদের দেখে লজ্জায় এবং বিভ্রান্তিতে পড়ে যেতাম। নিজেকে লুকানোর চেষ্টা করতাম কিন্তু এখন ভাবি আমি তো খারাপ কিছু করছি না।”
মহামারির আগে স্কুল খোলার সময় কাজ আর পড়াশোনা নিয়ে তাকে চাপে থাকতে হতো। পড়াশোনা বন্ধ হওয়ার উপক্রমও হয়েছে কয়েক বার। এখন দীর্ঘ অবসরে সে টাকা সঞ্চয়ও করতে পারছে। জীবন আরও বলে, “আমি জানি সমাজে প্রত্যেক কাজই সমান গুরুত্বের। পড়া ড়াশোনা চালিয়ে যেতে হলে এটা করা ছাড়া আর কোনো পথ নেই আমার। আমার অনেক বন্ধু এখন আমাকে উৎসাহ দেয়।” জীবনের মা বাবাও ছেলের পড়াশোনার প্রতি এই আগ্রহ দেখে মুগ্ধ। তারা জানান, জীবন ছোট বেলা থেকেই ভালো ছাত্র ছিল। কিন্তু অভাবের কারণে ছেলেকে তারা সেভাবে সহযোগিতা করতে পারেন না। সৌজন্যে : বিডিনিউজের শিশু সাংবাদিকতা বিভাগ ‘হ্যালো’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

রিকশা চালিয়ে নিজের পড়ার খরচ যোগায় কিশোর

আপডেট সময় : ১১:৫৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ অগাস্ট ২০২১

আলম : পরিবারের অভাব থাকায় রিকশা চালিয়ে নিজের পড়াশোনার খরচ চালায় লালমনিরহাটের জীবন নামের এক কিশোর। তার বাড়ি জেলার পাটগ্রাম উপজেলায়। সে পড়াশোনা করছে অষ্টম শ্রেণিতে। জীবন হ্যালোকে জানায়, তার বাবা স্থলবন্দরের একজন পাথর শ্রমিক আর মা গৃহকর্মী। চার ভাইবোনের মধ্যে দ্বিতীয় সে। ছয় জনের অভাবের সংসারে বাবা তাকে পড়াশোনার খরচ দিতে পারেন না, তাই নিজেই নেমেছে রোজগারে। যেকোনো মূল্যেই পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চায় সে। পঞ্চম শ্রেণিতে জিপিএ পাঁচ পেয়ে কৃতকার্য হয়েছে সে। জীবন স্বপ্ন দেখছে সেনাবাহিনীর চাকরি করার। রিকশা চালিয়ে পড়াশোনা করতে কোনো সমস্যা হয় কিনা জানতে চাইলে সে হ্যালোকে বলে, “রিকশা চালানোর সময় মাঝে মধ্যে হঠাৎ করে আমার কিছু ক্লাস ফ্রেন্ডের দেখা হয়ে যায়। প্রথম প্রথম আমি এই অবস্থায় তাদের দেখে লজ্জায় এবং বিভ্রান্তিতে পড়ে যেতাম। নিজেকে লুকানোর চেষ্টা করতাম কিন্তু এখন ভাবি আমি তো খারাপ কিছু করছি না।”
মহামারির আগে স্কুল খোলার সময় কাজ আর পড়াশোনা নিয়ে তাকে চাপে থাকতে হতো। পড়াশোনা বন্ধ হওয়ার উপক্রমও হয়েছে কয়েক বার। এখন দীর্ঘ অবসরে সে টাকা সঞ্চয়ও করতে পারছে। জীবন আরও বলে, “আমি জানি সমাজে প্রত্যেক কাজই সমান গুরুত্বের। পড়া ড়াশোনা চালিয়ে যেতে হলে এটা করা ছাড়া আর কোনো পথ নেই আমার। আমার অনেক বন্ধু এখন আমাকে উৎসাহ দেয়।” জীবনের মা বাবাও ছেলের পড়াশোনার প্রতি এই আগ্রহ দেখে মুগ্ধ। তারা জানান, জীবন ছোট বেলা থেকেই ভালো ছাত্র ছিল। কিন্তু অভাবের কারণে ছেলেকে তারা সেভাবে সহযোগিতা করতে পারেন না। সৌজন্যে : বিডিনিউজের শিশু সাংবাদিকতা বিভাগ ‘হ্যালো’