প্রযুক্তি ডেস্ক : রিং নেবুলার এমন ‘ডিটেইলড’ ছবি আগে কেউ দেখেনি, যেমনটা সম্প্রতি তুলেছে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। পৃথিবী থেকে প্রায় আড়াই হাজার আলোকবর্ষ দূর বিশ হাজার ঘন হাইড্রোজেন মেঘের সমষ্টি এই নীহারিকাটি এম৫৭ এবং এনজিসি ৬৭২০ নামেও পরিচিত।
প্রথম ছবিটি এনআইআর-ক্যাম (নিয়ার ইনফ্রারেড ক্যামেরা) দিয়ে তোলা হয়েছে। সেটি জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের একটি প্রাথমিক সেন্সর যা অবলোহিত রশ্মির কাছাকাছি আলো শনাক্ত করতে পারে এবং অসম্ভব নিঁখুত ছবি তুলতে পারে। এনআইআর ক্যামেরা এর আগে পিলারস অফ ক্রিয়েশনেরও উচ্চ রেজুলিউশনের ছবি ধারণ করেছে।
দ্বিতীয় ছবিটি টেলিস্কোপটির এমআইআরআই ব্যবহার করে ধারণ করা হয়েছে। নীহারিকাটির পরিধির বাইরে প্রায় ১০টির মতো বৃত্ত এতে ফুটে উঠেছে। সম্ভবত নীহারিকাটির বাইরে কম ভরের কোনো সঙ্গী একে ঘিরে আবর্তনের ফলে এগুলোর সৃষ্টি হয়েছে।
“এই ভাবে রিং নেবুলার মতো নীহারিকাগুলো জ্যোতিষ্কের গঠনের সূত্র প্রকাশ করে। যার মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা যে নক্ষত্র থেকে নীহারিকাটি তৈরি হয়েছে তার সম্পর্কে ধারণা লাভ করেন।” – এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা। ফরাসি জ্যোতির্বিদ চার্লস মেসিয়ে এবং আন্তোন দাকিয়ে দ্যো পেলেপুয়া ধূমকেতু খুঁজতে গিয়ে কাকাতালীয়ভাবে ১৭৭৯ সালে রিং নেবুলাটি আবিষ্কার করেন। একটি মাঝারি আকৃতির নক্ষত্রের জ্বালানি নিঃশেষ হলে সেটি বিস্ফোরিত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে নীহারিকাটির বাইরের আবরণ তৈরি করে।
“কেন্দ্রে থাকা একটি ক্ষয়িষ্ণু নক্ষত্রের নিক্ষেপ করা গ্যাস দিয়ে নীহারিকাটির বাইরের আবরণটি তৈরি হয়েছে।” -লিখেছে ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা।
“নক্ষত্রটি শ্বেত বামন হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, –একটি ছোট, ঘন, উত্তপ্ত বস্তু, যা সূর্যের মতো নক্ষত্রের চূড়ান্ত পরিণতি।”