ঢাকা ০৬:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫

রাসিক মেয়র লিটনের সঙ্গে চীনের রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

  • আপডেট সময় : ০১:৪৫:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২২
  • ১১৭ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহী সংবাদদাতা : আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নগর ভবনে মেয়রের দপ্তর কক্ষে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে চীনের রাষ্ট্রদূতকে আম আকৃতির শুভেচ্ছা স্মারক ও বিভিন্ন উপহার সামগ্রী প্রদান করেন রাসিক মেয়র। এ সময় রাসিক মেয়রকেও উপহার দেন চীনের রাষ্ট্রদূত। বৈঠক শেষে রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন সাংবাদিকদের বলেন, চীন বর্তমানে আমাদের অত্যন্ত বন্ধুপ্রতিম একটি দেশ এবং অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী। অধিকাংশ বড় বড় অবকাঠামোগুলো তাদের কোম্পানি বা তাদের প্রকৌশলীদের মাধ্যমেই নির্মিত হচ্ছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে আমরা উপকৃত হবো। আমার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি রাজশাহী মহানগরীর পরিচ্ছন্নতা ও সবুজায়নের প্রশংসা করেছেন। মেয়র বলেন, ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ও চীনের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। সেই চুক্তিতে পদ্মা নদীর পানি পাম্প করে গোদাগাড়ী পৌরসভা, কাটাখালী পৌরসভা, নওহাটা পৌরসভা এবং রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের পাইপ লাইনের মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে। সেটার বিষয়ে সর্বশেষ পর্যায়ে রয়েছে। সবশেষ একটা স্বাক্ষর হলেই চায়নিজ এক্সিম ব্যাংক প্রথম কিস্তিটি ছাড় করবে। মেয়র আরো বলেন, রাজশাহী মহানগরীর সলিড বর্জ্য যেগুলো আমরা ট্রিটমেন্ট না করে ফেলে দেই। সেগুলো সারা বিশ্বে টিটমেন্ট করে রি-ইউজের মাধ্যমে জ্বালানী ও জৈবসার তৈরি করা হয়। আমরা চীনা রাষ্ট্রদূতকে এ বিষয়ে প্রস্তাবনা দিয়েছি। তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। চীন সরকার ও সিটি কর্পোরেশন যৌথভাবে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে শহরের যত বর্জ্য পানি তা ড্রেনের মাধ্যমে বাইরে দিয়ে দেই। তবে তা ট্রিটমেন্ট করে কৃষি কাজে ব্যবহারের উপযোগী করার বিষয়য়েও কথা হয়েছে। এ বিষয়ে তারা প্রস্তাবনা চেয়েছে।
রাসিক মেয়র বলেন, বাংলাদেশের জুটমিল, সুগারমিল টেক্সটাইলমিল বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। এগুলো চীন সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে ইজারা ভিত্তিক নতুন করে পরিচালনা সুযোগ করা হয়েছে । চীন প্রস্তুত আছে। বাংলাদেশ সরকার যদি প্রস্তাব দেয় তবে তারা তা গ্রহণ করবে।
চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, রাজশাহীতে খুব স্বল্প সময়ের জন্য সফরে এসেছি। এই সময়ের মধ্যে রাজশাহী নগরী ঘুরে আমি মুগ্ধ হয়েছি। রাজশাহী গ্রিন ও ক্লিন সিটি। এই শহরের খুব উজ্জল ভবিষ্যত রয়েছে।
তিনি বলেন, রাজশাহী বিভাগের পাবনায় অবস্তিত ইপিজেডে চায়নার ৫টি কোম্পানি কাজ করছে। এছাড়া আরও ৬টি কোম্পানি আসছে। আরও কোম্পানি বাংলাদেশের এই অংশে বিনিয়োগের জন্য আগ্রহী। বাংলাদেশে ব্যবসার ভালো পরিবেশ থাকায় আমরা আগ্রহী হচ্ছি। এর আগে চীনের রাষ্ট্রদূতের আগমনে নগর ভবনের প্রধান ফটকে তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান রাসিকের কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাবৃন্দ। বর্ণাঢ্য আয়োজনে চীনের রাষ্ট্রদূতকে বরণ করে নেওয়া হয়।
এ সময় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র-২ রজব আলী, প্যানেল মেয়র-৩ তাহেরা খাতুন মিলি, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন, ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মমিন, ২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরমান আলী, জোন কাউন্সিলর উম্মেল সালমা বুলবুলি, আয়েশা খাতুন, প্রধান প্রকৌশলী নূর ইসলাম তুষার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

রাসিক মেয়র লিটনের সঙ্গে চীনের রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

আপডেট সময় : ০১:৪৫:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২২

রাজশাহী সংবাদদাতা : আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নগর ভবনে মেয়রের দপ্তর কক্ষে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে চীনের রাষ্ট্রদূতকে আম আকৃতির শুভেচ্ছা স্মারক ও বিভিন্ন উপহার সামগ্রী প্রদান করেন রাসিক মেয়র। এ সময় রাসিক মেয়রকেও উপহার দেন চীনের রাষ্ট্রদূত। বৈঠক শেষে রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন সাংবাদিকদের বলেন, চীন বর্তমানে আমাদের অত্যন্ত বন্ধুপ্রতিম একটি দেশ এবং অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী। অধিকাংশ বড় বড় অবকাঠামোগুলো তাদের কোম্পানি বা তাদের প্রকৌশলীদের মাধ্যমেই নির্মিত হচ্ছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে আমরা উপকৃত হবো। আমার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি রাজশাহী মহানগরীর পরিচ্ছন্নতা ও সবুজায়নের প্রশংসা করেছেন। মেয়র বলেন, ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ও চীনের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। সেই চুক্তিতে পদ্মা নদীর পানি পাম্প করে গোদাগাড়ী পৌরসভা, কাটাখালী পৌরসভা, নওহাটা পৌরসভা এবং রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের পাইপ লাইনের মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে। সেটার বিষয়ে সর্বশেষ পর্যায়ে রয়েছে। সবশেষ একটা স্বাক্ষর হলেই চায়নিজ এক্সিম ব্যাংক প্রথম কিস্তিটি ছাড় করবে। মেয়র আরো বলেন, রাজশাহী মহানগরীর সলিড বর্জ্য যেগুলো আমরা ট্রিটমেন্ট না করে ফেলে দেই। সেগুলো সারা বিশ্বে টিটমেন্ট করে রি-ইউজের মাধ্যমে জ্বালানী ও জৈবসার তৈরি করা হয়। আমরা চীনা রাষ্ট্রদূতকে এ বিষয়ে প্রস্তাবনা দিয়েছি। তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। চীন সরকার ও সিটি কর্পোরেশন যৌথভাবে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে শহরের যত বর্জ্য পানি তা ড্রেনের মাধ্যমে বাইরে দিয়ে দেই। তবে তা ট্রিটমেন্ট করে কৃষি কাজে ব্যবহারের উপযোগী করার বিষয়য়েও কথা হয়েছে। এ বিষয়ে তারা প্রস্তাবনা চেয়েছে।
রাসিক মেয়র বলেন, বাংলাদেশের জুটমিল, সুগারমিল টেক্সটাইলমিল বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। এগুলো চীন সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে ইজারা ভিত্তিক নতুন করে পরিচালনা সুযোগ করা হয়েছে । চীন প্রস্তুত আছে। বাংলাদেশ সরকার যদি প্রস্তাব দেয় তবে তারা তা গ্রহণ করবে।
চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, রাজশাহীতে খুব স্বল্প সময়ের জন্য সফরে এসেছি। এই সময়ের মধ্যে রাজশাহী নগরী ঘুরে আমি মুগ্ধ হয়েছি। রাজশাহী গ্রিন ও ক্লিন সিটি। এই শহরের খুব উজ্জল ভবিষ্যত রয়েছে।
তিনি বলেন, রাজশাহী বিভাগের পাবনায় অবস্তিত ইপিজেডে চায়নার ৫টি কোম্পানি কাজ করছে। এছাড়া আরও ৬টি কোম্পানি আসছে। আরও কোম্পানি বাংলাদেশের এই অংশে বিনিয়োগের জন্য আগ্রহী। বাংলাদেশে ব্যবসার ভালো পরিবেশ থাকায় আমরা আগ্রহী হচ্ছি। এর আগে চীনের রাষ্ট্রদূতের আগমনে নগর ভবনের প্রধান ফটকে তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান রাসিকের কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাবৃন্দ। বর্ণাঢ্য আয়োজনে চীনের রাষ্ট্রদূতকে বরণ করে নেওয়া হয়।
এ সময় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র-২ রজব আলী, প্যানেল মেয়র-৩ তাহেরা খাতুন মিলি, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন, ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মমিন, ২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরমান আলী, জোন কাউন্সিলর উম্মেল সালমা বুলবুলি, আয়েশা খাতুন, প্রধান প্রকৌশলী নূর ইসলাম তুষার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।