ঢাকা ০৩:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রওশনের সাক্ষাৎ, আলোচনার উদ্যোগ নিতে অনুরোধ

  • আপডেট সময় : ০২:০৪:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩
  • ৯১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাত করে সংলাপের উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা, জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ।
গতকাল রোববার বেলা ১২টায় বঙ্গভবনে যান সাবেক ফার্স্ট লেডি রওশন। প্রায় সোয়া এক ঘণ্টার বৈঠকে তিনি রাষ্ট্রপতির শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন এবং সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ করেন। বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, “সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন করতে হবে। নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর করতে সবার সঙ্গে আলোচনা করা যায় কিনা, রাষ্ট্রপতিকে সে অনুরোধ করেছেন বিরোধী দলীয় নেতা।
“এছাড়া আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ দিন মনোনয়নপত্র জমার শেষ তারিখ হওয়ায় জটিলতা এড়াতে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে তফসিল পরিবর্তন করা যায় কিনা, সে অনুরোধ করেছেন।” রাঙ্গা বলেন, “রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলবেন। রওশন এরশাদের ছেলে রাহগির আল মাহি এরশাদ সাদ, অধ্যক্ষ রওশন আরা মান্নান ও কাজী মামুনুর রশিদও উপস্থিত ছিলেন সাক্ষাতের সময়। বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে বিরোধীদলীয় নেতার মুখপাত্র কাজী মামুনুর রশিদ বলেন, “মহামান্য রাষ্ট্রপতির শারীরিক খোঁজখবর নিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অভিভাবক হিসাবে রাষ্ট্রপতিকে সবার সঙ্গে আলোচনা করার বিষয়ে অনুরোধ করেছেন তিনি।”
মুখপাত্র জানান, ৩০ নভেম্বর রিটার্ন দাখিলের শেষ দিন ও মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন বিবেচনায় নিয়ে পুনঃতফসিল করার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বিরোধী দলীয় নেতা। তফসিল অনুযায়ী, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর।
রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। এরপর ভোট হবে ৭ জানুয়ারি। তফসিল ঘোষণার পর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করলেও বিএনপি এবং সমমনা দলগুলো হরতাল-অবরোধের মত তর্মসূচিতে রয়েছে। গত ১৬ নভেম্বরে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বিবাদমান রাজনৈতিক দলগুলোকে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “নির্বাচন কমিশন নির্বাচনে সকল দলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে সর্বদা স্বাগত জানাবে। পারস্পরিক প্রতিহিংসা, অবিশ্বাস ও অনাস্থা পরিহার করে সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতা ও সমাধান অসাধ্য নয়।” সংলাপের বার্তা দেওয়া হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকেও। কিন্তু আওয়ামী লীগ বা বিএনপি-কোনো পক্ষই তাতে সাড়া দেয়নি।
জনগণের প্রতিটি টাকা ব্যয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে নির্দেশ: জনগণের প্রতিটি টাকার ব্যয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের হিসাবরক্ষক ও নিয়ন্ত্রক কার্যালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। গতকাল রোববার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে বঙ্গভবনে বাংলাদেশের হিসাবরক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মো. নুরুল ইসলাম রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ নির্দেশনা দেন। পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বৈঠকের বিভিন্ন বিষয় গণমাধ্যমকে জানান। রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ দ্রুত উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই সরকারি ব্যয় আগের তুলনায় কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি সরকারি অর্থের যথোপযুক্ত ব্যবহার নিশ্চিত করতে অতন্ত্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করার জোর তাগিদ দেন। সাক্ষাৎকালে সিএসজি তার কার্যালয়ে সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। এছাড়া অডিট আপত্তি দ্রুত নিষ্পত্তি কল্পে গৃহীত ব্যবস্থাদি সম্পর্কে ও রাষ্ট্রপতিকে জানান মহাহিসাব রক্ষক ও নিয়ন্ত্রক। তিনি পেনশন ব্যবস্থা সহজ করতে নেওয়া পদক্ষেপগুলো রাষ্ট্রপতির কাছে তুলে ধরেন। এ সময় সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রওশনের সাক্ষাৎ, আলোচনার উদ্যোগ নিতে অনুরোধ

আপডেট সময় : ০২:০৪:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাত করে সংলাপের উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা, জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ।
গতকাল রোববার বেলা ১২টায় বঙ্গভবনে যান সাবেক ফার্স্ট লেডি রওশন। প্রায় সোয়া এক ঘণ্টার বৈঠকে তিনি রাষ্ট্রপতির শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন এবং সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ করেন। বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, “সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন করতে হবে। নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর করতে সবার সঙ্গে আলোচনা করা যায় কিনা, রাষ্ট্রপতিকে সে অনুরোধ করেছেন বিরোধী দলীয় নেতা।
“এছাড়া আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ দিন মনোনয়নপত্র জমার শেষ তারিখ হওয়ায় জটিলতা এড়াতে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে তফসিল পরিবর্তন করা যায় কিনা, সে অনুরোধ করেছেন।” রাঙ্গা বলেন, “রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলবেন। রওশন এরশাদের ছেলে রাহগির আল মাহি এরশাদ সাদ, অধ্যক্ষ রওশন আরা মান্নান ও কাজী মামুনুর রশিদও উপস্থিত ছিলেন সাক্ষাতের সময়। বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে বিরোধীদলীয় নেতার মুখপাত্র কাজী মামুনুর রশিদ বলেন, “মহামান্য রাষ্ট্রপতির শারীরিক খোঁজখবর নিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অভিভাবক হিসাবে রাষ্ট্রপতিকে সবার সঙ্গে আলোচনা করার বিষয়ে অনুরোধ করেছেন তিনি।”
মুখপাত্র জানান, ৩০ নভেম্বর রিটার্ন দাখিলের শেষ দিন ও মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন বিবেচনায় নিয়ে পুনঃতফসিল করার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বিরোধী দলীয় নেতা। তফসিল অনুযায়ী, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর।
রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। এরপর ভোট হবে ৭ জানুয়ারি। তফসিল ঘোষণার পর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করলেও বিএনপি এবং সমমনা দলগুলো হরতাল-অবরোধের মত তর্মসূচিতে রয়েছে। গত ১৬ নভেম্বরে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বিবাদমান রাজনৈতিক দলগুলোকে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “নির্বাচন কমিশন নির্বাচনে সকল দলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে সর্বদা স্বাগত জানাবে। পারস্পরিক প্রতিহিংসা, অবিশ্বাস ও অনাস্থা পরিহার করে সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতা ও সমাধান অসাধ্য নয়।” সংলাপের বার্তা দেওয়া হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকেও। কিন্তু আওয়ামী লীগ বা বিএনপি-কোনো পক্ষই তাতে সাড়া দেয়নি।
জনগণের প্রতিটি টাকা ব্যয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে নির্দেশ: জনগণের প্রতিটি টাকার ব্যয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের হিসাবরক্ষক ও নিয়ন্ত্রক কার্যালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। গতকাল রোববার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে বঙ্গভবনে বাংলাদেশের হিসাবরক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মো. নুরুল ইসলাম রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ নির্দেশনা দেন। পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বৈঠকের বিভিন্ন বিষয় গণমাধ্যমকে জানান। রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ দ্রুত উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই সরকারি ব্যয় আগের তুলনায় কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি সরকারি অর্থের যথোপযুক্ত ব্যবহার নিশ্চিত করতে অতন্ত্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করার জোর তাগিদ দেন। সাক্ষাৎকালে সিএসজি তার কার্যালয়ে সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। এছাড়া অডিট আপত্তি দ্রুত নিষ্পত্তি কল্পে গৃহীত ব্যবস্থাদি সম্পর্কে ও রাষ্ট্রপতিকে জানান মহাহিসাব রক্ষক ও নিয়ন্ত্রক। তিনি পেনশন ব্যবস্থা সহজ করতে নেওয়া পদক্ষেপগুলো রাষ্ট্রপতির কাছে তুলে ধরেন। এ সময় সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।