ঢাকা ০৫:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইলে খালেদা বিদেশ যেতে পারেন: হানিফ

  • আপডেট সময় : ০৮:৫০:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২১
  • ৭২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, ‘খালেদা জিয়া একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। সেই হিসেবে তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন। রাষ্ট্রপতি তাকে ক্ষমা করে দিলেই তো তিনি বিদেশে যেতে পারেন।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপি নিজেই এ নিয়ে রাজনীতি ও স্ট্যান্ডবাজি করছে। খালেদা জিয়ার সুস্থতার চয়ে তাদের কাছে রাজনীতি বড়। সে জন্য খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা বিএনপিই।’
গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘বিশ্ব সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও হলি আর্টিজান- মুম্বাই হামলা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম (বোয়াফ) এ সভার আয়োজন করে।
মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়েই দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছিল। আমরা অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়েই মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। মহান স্বাধীনতার ওপর আঘাত মুক্তিযুদ্ধের পরেই আনা হয়। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়েই এর চূড়ান্ত রূপ পাই। পরবর্তীতে যারা ক্ষমতায় আসে, সেই অপশক্তিকেই তারা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার সাহস দিয়েছিল। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে পাকিস্তানের দোসরদের গাড়িতে তারা বাংলাদেশের পতাকা তুলে দিয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘জঙ্গিবাদ শুধু বাংলাদেশেই নয়, এটা বিশ্বব্যাপী। বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের ধারাবাহিকতা আমরা দেখেছি, হলি আর্টিজান হামলার মধ্য দিয়ে। ধর্মীয় উগ্রবাদ থেকেই তারা এটা ঘটিয়েছিল।’

আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ‘খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় হাওয়া ভবনে বসে রাষ্ট্রের ওপর জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা করেছিল। গ্রেনেড হামলা চালিয়ে তারা ২৪ জনকে হত্যা করেছিল। ২০০৫ সালে ১৭ আগস্টে সিরিজ বোমা হামলা আমরা দেখেছি। সারাদেশে হামলা চালিয়ে দেশে জঙ্গিদের একটা শক্ত অবস্থান তারা জানান দিয়েছিল। আমরা দেখেছি, বাংলা ভাই প্রকাশ্যে তার এলাকায় মিছিল করেছিল। বিএনপি জোটের মদদেই এটা ঘটেছিল।’
বোয়াফ সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময়ের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অংশ নেন পরিষদের সাবেক সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য মুহাম্মদ শফিকুর রহমান এমপি, স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র রচয়িতা ও স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম সংবিধান প্রণেতা ব্যারিস্টার আমির-উল ইসলাম, আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, রাজনীতি ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব) মোহাম্মদ আলী সিকদার, নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও ইনস্টিটিউট অব কনফ্লিক্ট, সিনিয়র সাংবাদিক ও সাবেক সভাপতি বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল প্রমুখ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইলে খালেদা বিদেশ যেতে পারেন: হানিফ

আপডেট সময় : ০৮:৫০:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, ‘খালেদা জিয়া একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। সেই হিসেবে তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন। রাষ্ট্রপতি তাকে ক্ষমা করে দিলেই তো তিনি বিদেশে যেতে পারেন।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপি নিজেই এ নিয়ে রাজনীতি ও স্ট্যান্ডবাজি করছে। খালেদা জিয়ার সুস্থতার চয়ে তাদের কাছে রাজনীতি বড়। সে জন্য খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা বিএনপিই।’
গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘বিশ্ব সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও হলি আর্টিজান- মুম্বাই হামলা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম (বোয়াফ) এ সভার আয়োজন করে।
মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়েই দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছিল। আমরা অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়েই মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। মহান স্বাধীনতার ওপর আঘাত মুক্তিযুদ্ধের পরেই আনা হয়। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়েই এর চূড়ান্ত রূপ পাই। পরবর্তীতে যারা ক্ষমতায় আসে, সেই অপশক্তিকেই তারা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার সাহস দিয়েছিল। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে পাকিস্তানের দোসরদের গাড়িতে তারা বাংলাদেশের পতাকা তুলে দিয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘জঙ্গিবাদ শুধু বাংলাদেশেই নয়, এটা বিশ্বব্যাপী। বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের ধারাবাহিকতা আমরা দেখেছি, হলি আর্টিজান হামলার মধ্য দিয়ে। ধর্মীয় উগ্রবাদ থেকেই তারা এটা ঘটিয়েছিল।’

আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ‘খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় হাওয়া ভবনে বসে রাষ্ট্রের ওপর জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা করেছিল। গ্রেনেড হামলা চালিয়ে তারা ২৪ জনকে হত্যা করেছিল। ২০০৫ সালে ১৭ আগস্টে সিরিজ বোমা হামলা আমরা দেখেছি। সারাদেশে হামলা চালিয়ে দেশে জঙ্গিদের একটা শক্ত অবস্থান তারা জানান দিয়েছিল। আমরা দেখেছি, বাংলা ভাই প্রকাশ্যে তার এলাকায় মিছিল করেছিল। বিএনপি জোটের মদদেই এটা ঘটেছিল।’
বোয়াফ সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময়ের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অংশ নেন পরিষদের সাবেক সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য মুহাম্মদ শফিকুর রহমান এমপি, স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র রচয়িতা ও স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম সংবিধান প্রণেতা ব্যারিস্টার আমির-উল ইসলাম, আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, রাজনীতি ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব) মোহাম্মদ আলী সিকদার, নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও ইনস্টিটিউট অব কনফ্লিক্ট, সিনিয়র সাংবাদিক ও সাবেক সভাপতি বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল প্রমুখ।