ঢাকা ১২:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে প্রায় ৩০০ বন্দিবিনিময়

  • আপডেট সময় : ০১:৪২:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৬৪ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুদ্ধ শুরুর পর এটাই সবচেয়ে বেশিসংখ্যক বন্দিবিনিময়ের ঘটনা। যুদ্ধ শুরুর পর এটাই সবচেয়ে বেশিসংখ্যক বন্দিবিনিময়ের ঘটনা। রাশিয়া ও ইউক্রেন হঠাৎ প্রায় ৩০০ বন্দিবিনিময় করেছে। সাত মাস আগে ইউক্রেনে রুশ হামলার পর এটাই সবচেয়ে বেশিসংখ্যক বন্দিবিনিময় করার ঘটনা। সৌদি আরব ও তুরস্ক এর মধ্যস্থতা করেছে। খবর আল-জাজিরার। মুক্তি পাওয়া যুদ্ধবন্দীদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও মরক্কোর নাগরিকও রয়েছেন। ইউক্রেনে আটক হওয়ার পর ভাড়াটে যোদ্ধা হিসেবে অভিযুক্ত করে তাঁদের কয়েকজনকে মৃত্যুদ- দেওয়া হয়েছিল। রাশিয়া প্রায় ২১৫ ইউক্রেনীয়কে মুক্তি দিয়েছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরনগরী মারিউপোলে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে ইউক্রেনের দীর্ঘ সময় প্রতিরোধ গড়ে তোলা পাঁচ কমান্ডারও তাঁদের মধ্যে রয়েছেন। যে ১০ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে দুজন যুক্তরাষ্ট্র, পাঁচজন যুক্তরাজ্য এবং ক্রোয়েশিয়া, মরক্কো ও সুইডেনের একজন করে নাগরিক রয়েছেন বিনিময়ে ৫৫ রুশ নাগরিক এবং রুশপন্থি নিষিদ্ধ একটি দলের নেতা ভিক্তর মেদভেদচুককে মুক্তি দেয় ইউক্রেন। মস্কোপন্থি এই ইউক্রেনীয় নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছিল। রাত্রিকালীন ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘এটি স্পষ্টভাবে আমাদের দেশ ও গোটা জাতির জন্য বিজয়। সবচেয়ে বড় কথা, ২১৫টি পরিবার তাদের প্রিয়জনকে নিরাপদ এবং বাসায় দেখতে পাচ্ছে।’ এ জন্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকেও ধন্যবাদ জানান জেলেনস্কি। এর আগে ১০ জন বিদেশির মুক্তির বিষয়টি জানায় সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এক বিবৃতিতে বলা হয়, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে মানবিক পদক্ষেপ গ্রহণে নিজের অব্যাহত অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের মধ্যস্থতায় তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, এই ১০ জনের মধ্যে ৫ জন ব্রিটিশ নাগরিক, ২ জন মার্কিন, ১ জন ক্রোয়েশিয়ান, মরক্কোর ১ জন আর সুইডেনের ১ জন রয়েছেন। তাঁরা সৌদি পৌঁছেছেন। তাঁদের নিরাপদে নিজ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চালাচ্ছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে প্রায় ৩০০ বন্দিবিনিময়

আপডেট সময় : ০১:৪২:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুদ্ধ শুরুর পর এটাই সবচেয়ে বেশিসংখ্যক বন্দিবিনিময়ের ঘটনা। যুদ্ধ শুরুর পর এটাই সবচেয়ে বেশিসংখ্যক বন্দিবিনিময়ের ঘটনা। রাশিয়া ও ইউক্রেন হঠাৎ প্রায় ৩০০ বন্দিবিনিময় করেছে। সাত মাস আগে ইউক্রেনে রুশ হামলার পর এটাই সবচেয়ে বেশিসংখ্যক বন্দিবিনিময় করার ঘটনা। সৌদি আরব ও তুরস্ক এর মধ্যস্থতা করেছে। খবর আল-জাজিরার। মুক্তি পাওয়া যুদ্ধবন্দীদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও মরক্কোর নাগরিকও রয়েছেন। ইউক্রেনে আটক হওয়ার পর ভাড়াটে যোদ্ধা হিসেবে অভিযুক্ত করে তাঁদের কয়েকজনকে মৃত্যুদ- দেওয়া হয়েছিল। রাশিয়া প্রায় ২১৫ ইউক্রেনীয়কে মুক্তি দিয়েছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরনগরী মারিউপোলে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে ইউক্রেনের দীর্ঘ সময় প্রতিরোধ গড়ে তোলা পাঁচ কমান্ডারও তাঁদের মধ্যে রয়েছেন। যে ১০ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে দুজন যুক্তরাষ্ট্র, পাঁচজন যুক্তরাজ্য এবং ক্রোয়েশিয়া, মরক্কো ও সুইডেনের একজন করে নাগরিক রয়েছেন বিনিময়ে ৫৫ রুশ নাগরিক এবং রুশপন্থি নিষিদ্ধ একটি দলের নেতা ভিক্তর মেদভেদচুককে মুক্তি দেয় ইউক্রেন। মস্কোপন্থি এই ইউক্রেনীয় নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছিল। রাত্রিকালীন ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘এটি স্পষ্টভাবে আমাদের দেশ ও গোটা জাতির জন্য বিজয়। সবচেয়ে বড় কথা, ২১৫টি পরিবার তাদের প্রিয়জনকে নিরাপদ এবং বাসায় দেখতে পাচ্ছে।’ এ জন্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকেও ধন্যবাদ জানান জেলেনস্কি। এর আগে ১০ জন বিদেশির মুক্তির বিষয়টি জানায় সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এক বিবৃতিতে বলা হয়, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে মানবিক পদক্ষেপ গ্রহণে নিজের অব্যাহত অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের মধ্যস্থতায় তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, এই ১০ জনের মধ্যে ৫ জন ব্রিটিশ নাগরিক, ২ জন মার্কিন, ১ জন ক্রোয়েশিয়ান, মরক্কোর ১ জন আর সুইডেনের ১ জন রয়েছেন। তাঁরা সৌদি পৌঁছেছেন। তাঁদের নিরাপদে নিজ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চালাচ্ছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।