ঢাকা ০১:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

রাশিয়ায় কয়লা খনিতে আগুন, নিহত ১১

  • আপডেট সময় : ১১:৩৮:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২১
  • ৮১ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার সাইবেরিয়ায় একটি কয়লা খনিতে দুর্ঘটনায় অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরও কয়েক ডজন মানুষ খনির ভেতরে আটকা পড়েছেন। যে কারণে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার সাইবেরিয়ার কেমেরোভো অঞ্চলের লিস্টভ্যাজনায়া খনিতে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় জরুরি সার্ভিসের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদ সংস্থা তাস নিউজ অ্যাজেন্সি বলেছে, তুষারাচ্ছন্ন কেমেরোভো অঞ্চলের লিস্টভ্যাজনায়া খনির বায়ু চলাচলের স্থানে কয়লার ধূলিকণায় আগুন ধরে যায়। এর ফলে খনিটি ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়।
কেমেরোভোর আঞ্চলিক গভর্নর সের্গেই সিভিলেভ বলেছেন, খনিতে ১১ জনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। খনিতে এখনও আরও ৪৬ জন আটকা রয়েছেন। সেখান থেকে উদ্ধারের পর আরও কয়েক ডজন মানুষকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ধোঁয়ায় বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, রাজধানী মস্কো থেকে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কিলোমিটার দূরের এই অঞ্চলের দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধারকর্মী এবং অ্যাম্বুলেন্স ছুটছে। ব্যাপক তুষারপাত হওয়ায় পুলিশ সদস্যদের খনির বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
দেশটির জরুরি সেবাবিষয়ক মন্ত্রণালয় বলেছে, খনির ভেতরে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ায় ২৮৫ জনের মতো কর্মী সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন। তবে কী কারণে এই ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়েছে সে বিষয়ে কিছুই জানায়নি মন্ত্রণালয়।
সের্গেই সিভিলেভ বলেছেন, ‘খনিতে আর ভারি ধোঁয়া নেই। ধোঁয়া বের হওয়ার সময়ও সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ এবং বায়ু চলাচল অব্যাহত ছিল। তবে গভীর ভূগর্ভস্থে অবস্থানরত কিছু শ্রমিকের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল।’
নিজের টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রকাশিত এক ভিডিওতে আঞ্চলিক এই গভর্নর বলেন, ‘আপাতত কোনো ভারি ধোঁয়া নেই। তাই আমরা আশা করছি, খনিতে আগুন নেই।’
খনিতে যারা আটকা পড়েছেন তাদের সাথে আমাদের যোগাযোগের কোনো লাইন নেই। এছাড়া ভূগর্ভস্থ যোগাযোগ ব্যবস্থাও কাজ করছে না। রাশিয়ার তদন্ত কমিটির আঞ্চলিক শাখা বলেছে, খনি দুর্ঘটনায় ফৌজদারি তদন্ত শুরু হয়েছে। এতে কারও কোনো গাফিলতি আছে কি-না তা তদন্ত করে দেখা হবে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

রাশিয়ায় কয়লা খনিতে আগুন, নিহত ১১

আপডেট সময় : ১১:৩৮:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার সাইবেরিয়ায় একটি কয়লা খনিতে দুর্ঘটনায় অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরও কয়েক ডজন মানুষ খনির ভেতরে আটকা পড়েছেন। যে কারণে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার সাইবেরিয়ার কেমেরোভো অঞ্চলের লিস্টভ্যাজনায়া খনিতে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় জরুরি সার্ভিসের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদ সংস্থা তাস নিউজ অ্যাজেন্সি বলেছে, তুষারাচ্ছন্ন কেমেরোভো অঞ্চলের লিস্টভ্যাজনায়া খনির বায়ু চলাচলের স্থানে কয়লার ধূলিকণায় আগুন ধরে যায়। এর ফলে খনিটি ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়।
কেমেরোভোর আঞ্চলিক গভর্নর সের্গেই সিভিলেভ বলেছেন, খনিতে ১১ জনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। খনিতে এখনও আরও ৪৬ জন আটকা রয়েছেন। সেখান থেকে উদ্ধারের পর আরও কয়েক ডজন মানুষকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ধোঁয়ায় বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, রাজধানী মস্কো থেকে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কিলোমিটার দূরের এই অঞ্চলের দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধারকর্মী এবং অ্যাম্বুলেন্স ছুটছে। ব্যাপক তুষারপাত হওয়ায় পুলিশ সদস্যদের খনির বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
দেশটির জরুরি সেবাবিষয়ক মন্ত্রণালয় বলেছে, খনির ভেতরে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ায় ২৮৫ জনের মতো কর্মী সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন। তবে কী কারণে এই ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়েছে সে বিষয়ে কিছুই জানায়নি মন্ত্রণালয়।
সের্গেই সিভিলেভ বলেছেন, ‘খনিতে আর ভারি ধোঁয়া নেই। ধোঁয়া বের হওয়ার সময়ও সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ এবং বায়ু চলাচল অব্যাহত ছিল। তবে গভীর ভূগর্ভস্থে অবস্থানরত কিছু শ্রমিকের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল।’
নিজের টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রকাশিত এক ভিডিওতে আঞ্চলিক এই গভর্নর বলেন, ‘আপাতত কোনো ভারি ধোঁয়া নেই। তাই আমরা আশা করছি, খনিতে আগুন নেই।’
খনিতে যারা আটকা পড়েছেন তাদের সাথে আমাদের যোগাযোগের কোনো লাইন নেই। এছাড়া ভূগর্ভস্থ যোগাযোগ ব্যবস্থাও কাজ করছে না। রাশিয়ার তদন্ত কমিটির আঞ্চলিক শাখা বলেছে, খনি দুর্ঘটনায় ফৌজদারি তদন্ত শুরু হয়েছে। এতে কারও কোনো গাফিলতি আছে কি-না তা তদন্ত করে দেখা হবে।