ঢাকা ১২:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫

রাশিয়ার সাথে সৈন্য সমাবেশ করতে শুরু করেছে বেলারুশ

  • আপডেট সময় : ০১:৫৭:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ অক্টোবর ২০২২
  • ৮৪ বার পড়া হয়েছে

বিবিসি বাংলা : ইউক্রেনে রাশিয়ার অব্যাহত ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রেক্ষাপটে শিল্পোন্নত জি-সেভেন দেশগুলো বলেছে, যতোদিন দরকার, ততোদিন তারা ইউক্রেনকে সমর্থন দিয়ে যাবে। জরুরি একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে তারা বলেছে, ইউক্রেনের জন্য তারা সামরিক, কূটনৈতিক আর মানবিক সহায়তা দিয়ে যাবে। নেটোও জানিয়েছে, যতোদিন প্রয়োজন, তারা ইউক্রেনের পাশে থাকবে। রাজধানী কিয়েভ ও পুরো ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছে এবং বহু মানুষ আহত হয়েছে। মঙ্গলবারও হামলা চলেছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ক্রাইমিয়ার সেতুতে হামলার পাল্টা জবাব হিসাবে এসব ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করা হচ্ছে। ওই হামলার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো। ওই বৈঠকে বিমান প্রতিরক্ষা সিস্টেমের জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে অনুরোধ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদামির জেলেনস্কি। সেই সঙ্গে বেলারুশ সীমান্তে ‘আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক’ মোতায়েন দাবি করেছেন তিনি। তবে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহের বা বেলারুশ সীমান্তে পর্যবেক্ষক মোতায়েনের জন্য জেলেনস্কির দাবির জবাবে তাৎক্ষণিকভাবে সুনির্দিষ্ট কোনও প্রতিশ্রুতি জি-সেভেন নেতারা দেননি বলে জানা গেছে। সোমবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে বেলারুশের বাহিনী মোতায়েন করার জন্য তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা বিষয়ক পার্লামেন্টারি কমিটির প্রধান আন্দ্রেই কার্তাপোলভকে উদ্ধৃত করে বেলারুশের রাষ্ট্রীয় বেলতা সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, পোল্যান্ডসহ অন্যসব দেশের সামরিক হুমকি মোকাবেলা করার জন্যই এই আঞ্চলিক বাহিনীকে সক্রিয় করে তোলা হচ্ছে। বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, ইউক্রেনের বাহিনীর অগ্রাভিযান এবং ক্রাইমিয়ার সেতুতে হামলার কারণে ইউক্রেন সীমান্তে সামরিক প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ এই দেশটি। যৌথ বাহিনীতে অন্তত একলক্ষ সেনা থাকবে, যাদের বেশিরভাগ বেলারুশের হবে বলে জানিয়েছেন লুকাশেঙ্কো।

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেছেন, প্রস্তাব পেলে জি-২০ সম্মেলন চলার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকের বিষয় বিবেচনা করবেন ভ্লাদিমির পুতিন। কিন্তু ইউক্রেন ইস্যুতে আলোচনার কোন প্রস্তাব রাশিয়া পায়নি। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস এই খবর দিয়েছে। তিনি বলেন, তুরস্ক যদি পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার আলোচনায় মধ্যস্থতা করতে চায়, তাহলে সেটি তারা আসতানায় দুই দেশের শীর্ষ নেতার বৈঠকে তুলতে পারে। সের্গেই লাভরভ অভিযোগ করেন, ইউক্রেন যুদ্ধে প্রকাশ্যে না হলেও বহুদিন ধরে আমেরিকানরা অংশ নিয়ে আসছে। তারা কিয়েভের সরকারকে অস্ত্র ও স্যাটেলাইটের তথ্যসহ গোয়েন্দা তথ্য দিচ্ছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে ‘অবদান’ অস্বীকারেই নাখোশ ট্রাম্প

রাশিয়ার সাথে সৈন্য সমাবেশ করতে শুরু করেছে বেলারুশ

আপডেট সময় : ০১:৫৭:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ অক্টোবর ২০২২

বিবিসি বাংলা : ইউক্রেনে রাশিয়ার অব্যাহত ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রেক্ষাপটে শিল্পোন্নত জি-সেভেন দেশগুলো বলেছে, যতোদিন দরকার, ততোদিন তারা ইউক্রেনকে সমর্থন দিয়ে যাবে। জরুরি একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে তারা বলেছে, ইউক্রেনের জন্য তারা সামরিক, কূটনৈতিক আর মানবিক সহায়তা দিয়ে যাবে। নেটোও জানিয়েছে, যতোদিন প্রয়োজন, তারা ইউক্রেনের পাশে থাকবে। রাজধানী কিয়েভ ও পুরো ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছে এবং বহু মানুষ আহত হয়েছে। মঙ্গলবারও হামলা চলেছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ক্রাইমিয়ার সেতুতে হামলার পাল্টা জবাব হিসাবে এসব ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করা হচ্ছে। ওই হামলার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো। ওই বৈঠকে বিমান প্রতিরক্ষা সিস্টেমের জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে অনুরোধ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদামির জেলেনস্কি। সেই সঙ্গে বেলারুশ সীমান্তে ‘আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক’ মোতায়েন দাবি করেছেন তিনি। তবে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহের বা বেলারুশ সীমান্তে পর্যবেক্ষক মোতায়েনের জন্য জেলেনস্কির দাবির জবাবে তাৎক্ষণিকভাবে সুনির্দিষ্ট কোনও প্রতিশ্রুতি জি-সেভেন নেতারা দেননি বলে জানা গেছে। সোমবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে বেলারুশের বাহিনী মোতায়েন করার জন্য তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা বিষয়ক পার্লামেন্টারি কমিটির প্রধান আন্দ্রেই কার্তাপোলভকে উদ্ধৃত করে বেলারুশের রাষ্ট্রীয় বেলতা সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, পোল্যান্ডসহ অন্যসব দেশের সামরিক হুমকি মোকাবেলা করার জন্যই এই আঞ্চলিক বাহিনীকে সক্রিয় করে তোলা হচ্ছে। বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, ইউক্রেনের বাহিনীর অগ্রাভিযান এবং ক্রাইমিয়ার সেতুতে হামলার কারণে ইউক্রেন সীমান্তে সামরিক প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ এই দেশটি। যৌথ বাহিনীতে অন্তত একলক্ষ সেনা থাকবে, যাদের বেশিরভাগ বেলারুশের হবে বলে জানিয়েছেন লুকাশেঙ্কো।

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেছেন, প্রস্তাব পেলে জি-২০ সম্মেলন চলার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকের বিষয় বিবেচনা করবেন ভ্লাদিমির পুতিন। কিন্তু ইউক্রেন ইস্যুতে আলোচনার কোন প্রস্তাব রাশিয়া পায়নি। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস এই খবর দিয়েছে। তিনি বলেন, তুরস্ক যদি পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার আলোচনায় মধ্যস্থতা করতে চায়, তাহলে সেটি তারা আসতানায় দুই দেশের শীর্ষ নেতার বৈঠকে তুলতে পারে। সের্গেই লাভরভ অভিযোগ করেন, ইউক্রেন যুদ্ধে প্রকাশ্যে না হলেও বহুদিন ধরে আমেরিকানরা অংশ নিয়ে আসছে। তারা কিয়েভের সরকারকে অস্ত্র ও স্যাটেলাইটের তথ্যসহ গোয়েন্দা তথ্য দিচ্ছে।