ঢাকা ১১:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫

রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও আক্রমণাত্মক হচ্ছে ন্যাটো

  • আপডেট সময় : ০১:১২:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ মে ২০২২
  • ৭২ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার আগ্রাসন মোকাবিলায় পূর্ব ইউরোপে জোটের সেনা মোতায়েন নিয়ে ন্যাটোর ‘কোনও বাধা নেই’। সম্প্রতি মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটটির উপ-মহাসচিব মিরসিয়া জিওনা এ কথা বলেছেন। মার্কিন সাময়িকী নিউজউইক এ খবর জানিয়েছে।
রোমানিয়ার সাবেক এই প্রেসিডেন্ট ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাশিয়ার আগ্রাসন মোকাবিলায় ন্যাটোর অবস্থান সম্পর্কে তুলে ধরেছেন। জোটের সদস্যভুক্ত দেশগুলোর এমপিদের সঙ্গে বৈঠকের লিথুয়ানিয়া সফরে তিনি এই সাক্ষাৎকার দেন। ন্যাটোর পার্লামেন্টারি সমাবেশের বসন্তকালীন অধিবেশনে এমপিরা হাজির হয়েছিলেন। রাশিয়া ও ন্যাটো ১৯৯৭ সালে ফাউন্ডিং অ্যাক্ট নামের চুক্তিতে সম্মত হয়েছিল। এতে পূর্ব ও মধ্য ইউরোপীয় অঞ্চলসহ ইউরোপে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন না করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু জিওনা এএফপিকে বলেছেন, ইউক্রেনে আক্রমণ করে রাশিয়া এই চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। এছাড়া জোটের সঙ্গে নিয়মিত সংলাপে না বসাও রাশিয়ার দিক থেকে চুক্তিটির লঙ্ঘন। তিনি বলেন, রাশিয়া নিজেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রতিবেশীদের ওপর আগ্রাসী না হওয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল, কিন্তু এখন তারা তা করছে। এছাড়া ন্যাটোর সঙ্গে নিয়মিত পরামর্শ তারা করছে না। তিনি আরও বলেন, পূর্বাঞ্চলে এখন ব্যাপক আকারে সেনা মোতায়েনে আমাদের কোনও বিধিনিষেধ নেই। যাতে করে ন্যাটো ও মিত্র ভূখ-ের প্রতিটি ইঞ্চি আর্টিক্যাল-৫ দ্বারা সুরক্ষিত করা যায়। ন্যাটো সমঝোতার আর্টিক্যাল ৫ অনুসারে, কোনও সদস্য রাষ্ট্র যদি আক্রমণের শিকার হয় তাহলে সব সদস্যের ওপর হামলা এবং জোটের সব সদস্যকে অবশ্যই সামরিকভাবে হস্তক্ষেপ করতে হবে। পূর্ব ইউরোপে ন্যাটো সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনার বিস্তারিত জানাননি জিওনা। কিন্তু তিনি বলেছেন, এই মোতায়েন হবে পূর্ব ইউরোপে ব্যাপক ও টেকসই উপস্থিতি। ফিনল্যান্ড ও সুইডেন ঐতিহাসিক সামরিক জোটবহির্ভূত দেশ। মে মাসে তারা জোটের সদস্য হওয়ার আবেদন করেছে। রাশিয়ার সামরিক ও রাজনৈতিক পাল্টা পদক্ষেপের হুমকির পরও জোটে যোগদানে দেশ দুটি অটল। নরডিক দেশ দুটি ন্যাটো জোটে আবেদনের তিন দিন পর ২১ মে রাশিয়া প্রতিবেশী ফিনল্যান্ডে গ্যাস রফতানি বন্ধ করে দেয়। ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের আনুষ্ঠানিকভাবে ন্যাটোতে যোগদানের জন্য জোটের ৩০ সদস্য রাষ্ট্রের অনুমোদন প্রয়োজন। এক্ষেত্রে তুরস্ক জানিয়েছে, তারা দেশ দুটির জোটে যোগদানকে সমর্থন করবে না।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও আক্রমণাত্মক হচ্ছে ন্যাটো

আপডেট সময় : ০১:১২:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ মে ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার আগ্রাসন মোকাবিলায় পূর্ব ইউরোপে জোটের সেনা মোতায়েন নিয়ে ন্যাটোর ‘কোনও বাধা নেই’। সম্প্রতি মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটটির উপ-মহাসচিব মিরসিয়া জিওনা এ কথা বলেছেন। মার্কিন সাময়িকী নিউজউইক এ খবর জানিয়েছে।
রোমানিয়ার সাবেক এই প্রেসিডেন্ট ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাশিয়ার আগ্রাসন মোকাবিলায় ন্যাটোর অবস্থান সম্পর্কে তুলে ধরেছেন। জোটের সদস্যভুক্ত দেশগুলোর এমপিদের সঙ্গে বৈঠকের লিথুয়ানিয়া সফরে তিনি এই সাক্ষাৎকার দেন। ন্যাটোর পার্লামেন্টারি সমাবেশের বসন্তকালীন অধিবেশনে এমপিরা হাজির হয়েছিলেন। রাশিয়া ও ন্যাটো ১৯৯৭ সালে ফাউন্ডিং অ্যাক্ট নামের চুক্তিতে সম্মত হয়েছিল। এতে পূর্ব ও মধ্য ইউরোপীয় অঞ্চলসহ ইউরোপে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন না করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু জিওনা এএফপিকে বলেছেন, ইউক্রেনে আক্রমণ করে রাশিয়া এই চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। এছাড়া জোটের সঙ্গে নিয়মিত সংলাপে না বসাও রাশিয়ার দিক থেকে চুক্তিটির লঙ্ঘন। তিনি বলেন, রাশিয়া নিজেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রতিবেশীদের ওপর আগ্রাসী না হওয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল, কিন্তু এখন তারা তা করছে। এছাড়া ন্যাটোর সঙ্গে নিয়মিত পরামর্শ তারা করছে না। তিনি আরও বলেন, পূর্বাঞ্চলে এখন ব্যাপক আকারে সেনা মোতায়েনে আমাদের কোনও বিধিনিষেধ নেই। যাতে করে ন্যাটো ও মিত্র ভূখ-ের প্রতিটি ইঞ্চি আর্টিক্যাল-৫ দ্বারা সুরক্ষিত করা যায়। ন্যাটো সমঝোতার আর্টিক্যাল ৫ অনুসারে, কোনও সদস্য রাষ্ট্র যদি আক্রমণের শিকার হয় তাহলে সব সদস্যের ওপর হামলা এবং জোটের সব সদস্যকে অবশ্যই সামরিকভাবে হস্তক্ষেপ করতে হবে। পূর্ব ইউরোপে ন্যাটো সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনার বিস্তারিত জানাননি জিওনা। কিন্তু তিনি বলেছেন, এই মোতায়েন হবে পূর্ব ইউরোপে ব্যাপক ও টেকসই উপস্থিতি। ফিনল্যান্ড ও সুইডেন ঐতিহাসিক সামরিক জোটবহির্ভূত দেশ। মে মাসে তারা জোটের সদস্য হওয়ার আবেদন করেছে। রাশিয়ার সামরিক ও রাজনৈতিক পাল্টা পদক্ষেপের হুমকির পরও জোটে যোগদানে দেশ দুটি অটল। নরডিক দেশ দুটি ন্যাটো জোটে আবেদনের তিন দিন পর ২১ মে রাশিয়া প্রতিবেশী ফিনল্যান্ডে গ্যাস রফতানি বন্ধ করে দেয়। ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের আনুষ্ঠানিকভাবে ন্যাটোতে যোগদানের জন্য জোটের ৩০ সদস্য রাষ্ট্রের অনুমোদন প্রয়োজন। এক্ষেত্রে তুরস্ক জানিয়েছে, তারা দেশ দুটির জোটে যোগদানকে সমর্থন করবে না।