ঢাকা ০৭:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

রাশিয়ার নিন্দা জানাতে ভারতের ওপর চাপ বাড়ছে

  • আপডেট সময় : ০১:৪৪:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ মার্চ ২০২২
  • ৯৭ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনে র“শ অভিযান নিয়ে জাতিসংঘের একাধিক প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত ছিল ভারত। অর্থাৎ, রাশিয়ার বির“দ্ধে নিন্দা জানানোর প্রস্তাবে সায় দেয়নি দিল্লি। কিš‘ ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর খারকিভে গোলাগুলিতে একজন ভারতীয় ছাত্র নিহতের পর র“শ আগ্রাসনের নিন্দা জানাতে নিজ দেশেই চাপের মুখে পড়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন মোদি সরকার। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে এমন চাপ আসছে। গতকাল বুধবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম রয়টার্স। ভারত এখনও প্রকাশ্যে দেশটির পুরনো বন্ধু এবং দীর্ঘ দিনের অস্ত্র সরবরাহকারী রাশিয়ার সমালোচনা করেনি। এর বদলে মস্কো ও কিয়েভকে শত্রুতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে দেশটি। দিল্লির এমন ভূমিকায় হতাশ যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মিত্ররা। এদিকে ইউক্রেনের যুদ্ধব¯’ার বাস্তবতায় বিপুল সংখ্যক ভারতীয় শিক্ষার্থী দেশটিতে আটকা পড়েছে। ফলে তাদের সরিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টায় সহায়তার জন্য রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়ানোর দাবি উঠেছে।
টুইটারে দেওয়া পোস্টে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন বিরোধী দল কংগ্রেসের একজন প্রভাবশালী আইনপ্রণেতা পি চিদাম্বরম। তিনি বলেন, ‘ভারত সরকারের উচিত তার মুখে মুখে ভারসাম্য বজায় রাখা বন্ধ করা। ইউক্রেনের প্রধান শহরগুলোতে অবিলম্বে বোমা হামলা বন্ধের জন্য রাশিয়ার কাছে কঠোরভাবে দাবি তোলা উচিত।’ গত সপ্তাহে আক্রমণের নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ভোটাভুটিতে ভোটদানে বিরত থাকলেও সাম্প্রতিক দিনগুলোতে যেন দিল্লির সুর কিছুটা হলেও পরিবর্তন হয়েছে। পোলিশ প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ ডুদার সঙ্গে এক ফোনালাপে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিভিন্ন দেশের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখ-তার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের ওপর জোর দিয়েছেন। মঙ্গলবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এদিকে ভারতের সামরিক সরঞ্জামের সিংহভাগ আসে রাশিয়া থেকে। আন্তর্জাতিক পরিম-লেও দীর্ঘদিন ধরে দিল্লিকে সমর্থন দিয়ে আসছে মস্কো। যদিও গত কয়েক দশক ধরেই র“শ অস্ত্রের ওপর থেকে নির্ভরতা কমানোর চেষ্টা করে আসছে মোদি সরকার। দিল্লিভিত্তিক অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের প্রতিরক্ষা ও ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষক হর্ষ পান্ত বলেন, ‘রাশিয়া যে অব¯’ান নিয়েছে তাতে ভারত ক্রমবর্ধমান অস্বস্তিকর পরি¯ি’তিতে পড়েছে। কিš‘ জনসমক্ষে এটা বলা তার জন্য খুবই কঠিন।’তিনি বলেন, ভারতের সামরিক হার্ডওয়্যারের প্রায় ৬০ শতাংশ এখনও রাশিয়ার তৈরি। ফলে মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক ধরে রাখা দিল্লির জন্য অপরিহার্য।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

রাশিয়ার নিন্দা জানাতে ভারতের ওপর চাপ বাড়ছে

আপডেট সময় : ০১:৪৪:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ মার্চ ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনে র“শ অভিযান নিয়ে জাতিসংঘের একাধিক প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত ছিল ভারত। অর্থাৎ, রাশিয়ার বির“দ্ধে নিন্দা জানানোর প্রস্তাবে সায় দেয়নি দিল্লি। কিš‘ ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর খারকিভে গোলাগুলিতে একজন ভারতীয় ছাত্র নিহতের পর র“শ আগ্রাসনের নিন্দা জানাতে নিজ দেশেই চাপের মুখে পড়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন মোদি সরকার। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে এমন চাপ আসছে। গতকাল বুধবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম রয়টার্স। ভারত এখনও প্রকাশ্যে দেশটির পুরনো বন্ধু এবং দীর্ঘ দিনের অস্ত্র সরবরাহকারী রাশিয়ার সমালোচনা করেনি। এর বদলে মস্কো ও কিয়েভকে শত্রুতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে দেশটি। দিল্লির এমন ভূমিকায় হতাশ যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মিত্ররা। এদিকে ইউক্রেনের যুদ্ধব¯’ার বাস্তবতায় বিপুল সংখ্যক ভারতীয় শিক্ষার্থী দেশটিতে আটকা পড়েছে। ফলে তাদের সরিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টায় সহায়তার জন্য রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়ানোর দাবি উঠেছে।
টুইটারে দেওয়া পোস্টে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন বিরোধী দল কংগ্রেসের একজন প্রভাবশালী আইনপ্রণেতা পি চিদাম্বরম। তিনি বলেন, ‘ভারত সরকারের উচিত তার মুখে মুখে ভারসাম্য বজায় রাখা বন্ধ করা। ইউক্রেনের প্রধান শহরগুলোতে অবিলম্বে বোমা হামলা বন্ধের জন্য রাশিয়ার কাছে কঠোরভাবে দাবি তোলা উচিত।’ গত সপ্তাহে আক্রমণের নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ভোটাভুটিতে ভোটদানে বিরত থাকলেও সাম্প্রতিক দিনগুলোতে যেন দিল্লির সুর কিছুটা হলেও পরিবর্তন হয়েছে। পোলিশ প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ ডুদার সঙ্গে এক ফোনালাপে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিভিন্ন দেশের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখ-তার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের ওপর জোর দিয়েছেন। মঙ্গলবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এদিকে ভারতের সামরিক সরঞ্জামের সিংহভাগ আসে রাশিয়া থেকে। আন্তর্জাতিক পরিম-লেও দীর্ঘদিন ধরে দিল্লিকে সমর্থন দিয়ে আসছে মস্কো। যদিও গত কয়েক দশক ধরেই র“শ অস্ত্রের ওপর থেকে নির্ভরতা কমানোর চেষ্টা করে আসছে মোদি সরকার। দিল্লিভিত্তিক অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের প্রতিরক্ষা ও ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষক হর্ষ পান্ত বলেন, ‘রাশিয়া যে অব¯’ান নিয়েছে তাতে ভারত ক্রমবর্ধমান অস্বস্তিকর পরি¯ি’তিতে পড়েছে। কিš‘ জনসমক্ষে এটা বলা তার জন্য খুবই কঠিন।’তিনি বলেন, ভারতের সামরিক হার্ডওয়্যারের প্রায় ৬০ শতাংশ এখনও রাশিয়ার তৈরি। ফলে মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক ধরে রাখা দিল্লির জন্য অপরিহার্য।