নিউজ ডেস্ক : ইউক্রেইনের যুদ্ধের কারণে যেসব সমুদ্রপথ অবরুদ্ধ হয়ে আছে সেগুলো খোলার জাতিসংঘের প্রচেষ্টায় সমর্থন দিতে রাশিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য জি২০-ভুক্ত জাতিগুলোর প্রতি আহ্বান জানাবেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। অ্যান্টনি ব্লিংকেন চলতি সপ্তাহেই এ আহ্বান জানাবেন এবং মস্কোর যুদ্ধ প্রচেষ্টায় চীন যেন সমর্থন না দেয় সেজন্য বেইজিংকে আবার সতর্ক করবেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। আগামীকাল শুক্রবার ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি২০ দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক হবে। ওই বৈঠকে যোগ দিতে গতকাল বুধবার এশিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন ব্লিংকেন। তিনি এই সফরে অক্টোবরের পর থেকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে প্রথম বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। আগামী শনিবার তাদের বৈঠকে হতে যাচ্ছে বলে ধারণা; কিন্তু রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে তার কোনো বৈঠক হবে না বলেও ধারণা করা হচ্ছে। জি২০ দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এবারের বৈঠক বাদানুবাদপূর্ণ হতে পারে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার ইউক্রেইনে আক্রমণ শুরু করার পর থেকে বিশ্বজুড়ে খাদ্য সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হয়েছে, আর এর জন্য মস্কোকে দায়ী করেছে ওয়াশিংটন ও তার মিত্ররা। অপরদিকে এ সমস্যার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে আরোপ করা কঠোর নিষেধাজ্ঞাকে দায়ী করেছে রাশিয়া। ইউক্রেইন ও রাশিয়া উভয়েই গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য রপ্তানিকারী দেশ হওয়ায় একইসঙ্গে যুদ্ধ ও নিষেধাজ্ঞায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ও ব্যবসা সংক্রান্ত সহকারী মন্ত্রী রামিন টোলোই সাংবাদিকদের বলেছেন, জি২০-র ওই বৈঠকে ব্লিংকেন জ্বালানি নিরাপত্তা, ইউক্রেইনের ও রাশিয়ার খাদ্যদ্রব্য এবং সার বিশ্ব বাজারে ফিরিয়ে আনার জাতিসংঘের উদ্যোগ নিয়ে কথা বলবেন। “জি২০ দেশগুলোর উচিত রাশিয়াকে জবাবদিহি করানো এবং খাদ্যশস্য সরবরাহের জন্য সমুদ্রপথগুলো ফের খোলার জাতিসংঘের চলমান উদ্যোগগুলোতে তাদের সমর্থন আছে এটি জোর দিয়ে বলা। এটা জি২০ পর্যায়েই হোক আর জি২০ দেশগুলোর স্বতন্ত্র পর্যায়েই হোক, এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট যা পররাষ্টমন্ত্রী ব্লিংকেন (বাস্তবায়ন) করবেন,” বলেন টোলোই। তাদের রপ্তানি পণ্যবাহী জাহাজগুলোর চলাচল বন্ধ করে রাখার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছে ইউক্রেইন। দেশটি জানিয়েছে, তাদের খাদ্যশস্য রপ্তানির সুরক্ষার জামিনদার হতে তারা তুরস্ক ও জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা করছে। কিইভের অভিযোগের জবাবে রাশিয়া বলেছে, তারা খাদ্যশস্যবাহী কোনো জাহাজ চলাচলে বাধা সৃষ্টি করেনি বরং তাদের রপ্তানি পণ্যবাহী জাহাজের চলাচল বন্ধ থাকার জন্য ইউক্রেইন নিজেই দায়ী, কারণ নিজেদের বন্দরগুলোতে মাইন পেতে রেখেছে তারা।