ঢাকা ০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫

রাশিয়ার আল্টিমেটাম প্রত্যাখ্যান, হামলা জোরদার

  • আপডেট সময় : ০২:০১:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ মার্চ ২০২২
  • ৮৯ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : অবরুদ্ধ বন্দরনগরী মারিউপোল নিয়ে রাশিয়ার দেওয়া আল্টিমেটাম ইউক্রেন মেনে নেয়নি, রুশ বাহিনীর বোমাবর্ষণের মধ্যে শহরটির কয়েক লাখ বাসিন্দা চরম দুর্দশার মধ্যে দিন পার করছে।
ইউক্রেইনের যুদ্ধে মারিউপোল একটি কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে, কিন্তু দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভেও রাশিয়া হামলা জোরদার করেছে বলে খবর পাওয়ার কথা জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এই যুদ্ধের কারণে ইউক্রেইনের ৪ কোটি ৪০ লাখ জনসংখ্যার প্রায় এক চতুর্থাংশ তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। আসছে সপ্তাহগুলোতে শরণার্থীর সংখ্যা কোটিতে গিয়ে ঠেকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জার্মানি।
রাশিয়া নিজ স্বার্থ উদ্ধারে শরণার্থীদের ব্যবহার করছে, এমন অভিযোগ করে ইউরোপ বলেছে, দেশটিকে বিশ্ব বাণিজ্য ও অর্থনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করতে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা।
মারিউপোলের বাসিন্দাদের স্থানীয় সময় সোমবার ভোর ৫টার মধ্যে আত্মসমর্পণের চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। যারা আত্মসমর্পণ করবে তারা শহর ছেড়ে যেতে পারবে আর যারা করবে না তাদের রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ট্র্যাইবুনালের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিল তারা।
কিন্তু তারা কখনোই রাশিয়ার আল্টিমেটামের কাছে মাথা নত করবে না বলে জানিয়ে দেয় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সরকার। রাজধানী কিইভ, দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ ও বন্দরনগরী মারিউপোল সবসময় দখলদারিত্বের বিরোধিতা করে যাবে বলে মন্তব্য করেছে তারা।
“(মারিউপোলে) কোনো আত্মসমর্পণের প্রশ্নই থাকতে পারে না,” বলেছেন ইউক্রেইনের উপপ্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেশচুক।
এখন চতুর্থ সপ্তাহে গড়ানো রাশিয়ার আক্রমণ অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে বলে ধারণা পশ্চিমা পর্যবেক্ষকদের। রুশ বাহিনীগুলো এ পর্যন্ত কোনো গুরুত্বপূর্ণ শহরের দখল নিতে পারেনি, কিন্তু তাদের হামলায় শহরের আবাসিক এলাকাগুলোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে বলে খবর পশ্চিমা গণমাধ্যমের।
আজভ সাগরের তীরবর্তী ৪ লাখ বাসিন্দার বন্দরনগরী মারিউপোলে খাদ্য, ওষুধ, বিদ্যুৎ ও পানির সংকট চলছে। তারপরও এ নগরীসহ অন্যান্য এলাকায় ‘বীর প্রতিরোধকারীরা’ রুশ বাহিনীর অগ্রগতি রুখে দিয়েছে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেইনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অলেক্সি রেজনিকভ। তবে শহরের একটি অংশ এখন রুশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আছে বলে রয়টার্স জানিয়েছে। সোমবার শহরটির ৩০০৭ জন বাসিন্দাকে নিরাপদ পথ দিয়ে শহরটি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে উপপ্রধানমন্ত্রী ভেরেশচুক জানিয়েছেন। মারিউপোলের পাশাপাশি পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ, সুমাই ও চেরনিহিভে হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া।
সোমবার রাতে খারকিভের একজন প্রত্যক্ষদর্শী নারী জানিয়েছেন, তিনি একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের ছাদ থেকে লোকজনকে রাস্তায় গ্রেনেড বা ঐ জাতীয় কোনো বোমা ছুড়তে দেখেছেন।
শহরের বাইরে থেকে দ্বিতীয় আরেক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, গত মাসে রাশিয়ার হামলা শুরু হওয়ার পর যেকোনো দিনের চেয়ে সোমবার সংখ্যায় অনেক বেশি ও তীব্র বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন তিনি। রয়টার্স জানিয়েছে, তারা তাৎক্ষণিকভাবে এসব বক্তব্য যাচাই করে দেখতে পারেনি।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রাশিয়ার আল্টিমেটাম প্রত্যাখ্যান, হামলা জোরদার

আপডেট সময় : ০২:০১:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ মার্চ ২০২২

প্রত্যাশা ডেস্ক : অবরুদ্ধ বন্দরনগরী মারিউপোল নিয়ে রাশিয়ার দেওয়া আল্টিমেটাম ইউক্রেন মেনে নেয়নি, রুশ বাহিনীর বোমাবর্ষণের মধ্যে শহরটির কয়েক লাখ বাসিন্দা চরম দুর্দশার মধ্যে দিন পার করছে।
ইউক্রেইনের যুদ্ধে মারিউপোল একটি কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে, কিন্তু দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভেও রাশিয়া হামলা জোরদার করেছে বলে খবর পাওয়ার কথা জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এই যুদ্ধের কারণে ইউক্রেইনের ৪ কোটি ৪০ লাখ জনসংখ্যার প্রায় এক চতুর্থাংশ তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। আসছে সপ্তাহগুলোতে শরণার্থীর সংখ্যা কোটিতে গিয়ে ঠেকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জার্মানি।
রাশিয়া নিজ স্বার্থ উদ্ধারে শরণার্থীদের ব্যবহার করছে, এমন অভিযোগ করে ইউরোপ বলেছে, দেশটিকে বিশ্ব বাণিজ্য ও অর্থনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করতে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা।
মারিউপোলের বাসিন্দাদের স্থানীয় সময় সোমবার ভোর ৫টার মধ্যে আত্মসমর্পণের চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। যারা আত্মসমর্পণ করবে তারা শহর ছেড়ে যেতে পারবে আর যারা করবে না তাদের রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ট্র্যাইবুনালের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিল তারা।
কিন্তু তারা কখনোই রাশিয়ার আল্টিমেটামের কাছে মাথা নত করবে না বলে জানিয়ে দেয় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সরকার। রাজধানী কিইভ, দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ ও বন্দরনগরী মারিউপোল সবসময় দখলদারিত্বের বিরোধিতা করে যাবে বলে মন্তব্য করেছে তারা।
“(মারিউপোলে) কোনো আত্মসমর্পণের প্রশ্নই থাকতে পারে না,” বলেছেন ইউক্রেইনের উপপ্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেশচুক।
এখন চতুর্থ সপ্তাহে গড়ানো রাশিয়ার আক্রমণ অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে বলে ধারণা পশ্চিমা পর্যবেক্ষকদের। রুশ বাহিনীগুলো এ পর্যন্ত কোনো গুরুত্বপূর্ণ শহরের দখল নিতে পারেনি, কিন্তু তাদের হামলায় শহরের আবাসিক এলাকাগুলোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে বলে খবর পশ্চিমা গণমাধ্যমের।
আজভ সাগরের তীরবর্তী ৪ লাখ বাসিন্দার বন্দরনগরী মারিউপোলে খাদ্য, ওষুধ, বিদ্যুৎ ও পানির সংকট চলছে। তারপরও এ নগরীসহ অন্যান্য এলাকায় ‘বীর প্রতিরোধকারীরা’ রুশ বাহিনীর অগ্রগতি রুখে দিয়েছে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেইনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অলেক্সি রেজনিকভ। তবে শহরের একটি অংশ এখন রুশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আছে বলে রয়টার্স জানিয়েছে। সোমবার শহরটির ৩০০৭ জন বাসিন্দাকে নিরাপদ পথ দিয়ে শহরটি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে উপপ্রধানমন্ত্রী ভেরেশচুক জানিয়েছেন। মারিউপোলের পাশাপাশি পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ, সুমাই ও চেরনিহিভে হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া।
সোমবার রাতে খারকিভের একজন প্রত্যক্ষদর্শী নারী জানিয়েছেন, তিনি একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের ছাদ থেকে লোকজনকে রাস্তায় গ্রেনেড বা ঐ জাতীয় কোনো বোমা ছুড়তে দেখেছেন।
শহরের বাইরে থেকে দ্বিতীয় আরেক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, গত মাসে রাশিয়ার হামলা শুরু হওয়ার পর যেকোনো দিনের চেয়ে সোমবার সংখ্যায় অনেক বেশি ও তীব্র বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন তিনি। রয়টার্স জানিয়েছে, তারা তাৎক্ষণিকভাবে এসব বক্তব্য যাচাই করে দেখতে পারেনি।