আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেন তাদের স্বাধীনতা দিবস পালন করেছে রাশিয়ায় একাধিক ড্রোন হামলার মাধ্যমে। এতে রাশিয়ার একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন লেগে যায়। ফলে শান্তি প্রতিষ্ঠার সাম্প্রতিক কূটনৈতিক প্রচেষ্টাগুলোও মুখ থুবড়ে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় রাশিয়া ও ইউক্রেনের রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে একটি বৈঠকের সম্ভাবনা দেখা দিলেও রাশিয়া শুক্রবার তা স্পষ্টভাবে নাকচ করে দেয়, যা এই যুদ্ধের শান্তিপূর্ণ সমাধানে হতাশা সৃষ্টি করে।
তিন বছর ছয় মাস ধরে চলা এই যুদ্ধে দশ-হাজারেরও বেশি প্রাণহানি ঘটেছে। বর্তমানে যুদ্ধ একটি স্থবির পর্যায়ে থাকলেও, রাশিয়া ধীরে ধীরে কিছু অগ্রগতি করছে। শনিবার (২৩ আগস্ট) ডোনেস্ক অঞ্চলের দুটি গ্রাম দখলের দাবি করেছে মস্কো।
রোববার (২৪ আগস্ট) রাশিয়ার ভূখণ্ডে নতুন ড্রোন হামলা শুরু করে ইউক্রেন, যার একটি কুরস্ক পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপর ভূপাতিত হলে বিস্ফোরণ ঘটে এবং আগুন ধরে যায়। বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ জানায়, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে, কেউ হতাহত হয়নি ও তেজস্ক্রিয়তা মাত্রাও বাড়েনি।
রুশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইউক্রেনের ড্রোন সেন্ট পিটার্সবার্গ ও অন্যান্য ফ্রন্টলাইন থেকে দূরের এলাকাতেও ভূপাতিত করা হয়েছে।
উস্ত-লুগা বন্দরের ওপর ১০টি ড্রোন ভূপাতিত হলে নোভাটেক কোম্পানির একটি জ্বালানি টার্মিনালে আগুন ধরে যায় বলে জানান অঞ্চলটির গভর্নর আলেকজান্ডর দ্রজদেঙ্কো।
ইউক্রেনের ছোট ও তুলনামূলক দুর্বল বাহিনী দীর্ঘদিন ধরেই ড্রোন-নির্ভর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, বিশেষ করে রাশিয়ার তেল কাঠামো লক্ষ্য করে। এই ড্রোন হামলাগুলোর কারণে রাশিয়ায় জ্বালানির দাম বেড়ে গেছে, যা জনগণের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।
এদিকে ইউক্রেন দাবি করেছে, রাতভর রাশিয়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ৭২টি ইরানি-নির্মিত শাহেদ ড্রোন দিয়ে হামলা চালায়। ইউক্রেনীয় বিমান বাহিনী জানায়, এর মধ্যে ৪৮টি ড্রোন গুলি করে নামানো হয়।
সূত্র: এএফপি
এসি/