ঢাকা ১০:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

রাশিয়াকে সামরিক সহায়তার ক্ষেত্রে চীন সীমা অতিক্রম করেনি: ব্লিংকেন

  • আপডেট সময় : ০২:৩৫:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩
  • ১০১ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক ঃ মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী এন্টনি ব্লিংকেন বলেছেন, চীন কূটনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করলেও রাশিয়াকে যথেষ্ট পরিমাণে সামরিক সহায়তা দেয়নি। এ ক্ষেত্রে দেশটি সীমা অতিক্রম করেনি। চীন রাশিয়াকে ‘প্রাণঘাতী সহায়তা’ দিয়েছে কিনা সিনেট কমিটিতে এ ধরনের এক প্রশ্নের জবাবে বুধবার ব্লিংকেন এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, আমরা আজ যেমনটা বলছি, আমরা তাদেরকে সীমা ছাড়াতে দেখিনি।
ব্লিংকেন কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রকাশ্যে সতর্ক করে বলেছেন, ইউক্রেনে যুদ্ধের জন্যে চীন রাশিয়ার অস্ত্র দেয়ার অুনরোধ বিবেচনা করছে। কিছু সংবাদ মাধ্যমেও আভাস দেয়া হয়েছে, চীনা কোম্পানীসমূহ সীমিত পরিমাণে মস্কোকে অস্ত্র সরবরাহ করেছে। এদিকে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং চলতি সপ্তাহে মস্কো সফরকালে যুদ্ধবিরতির যে প্রস্তাব দিয়েছেন, তাকে সন্দেহের চোখে দেখছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের আশংকা রাশিয়া বিরতির এ সময়কে তাদের বাহিনী পুনর্গঠনের কাজে ব্যবহার করবে। ব্লিংকেন চীন প্রসঙ্গে আরও বলেন, আমি মনে করি তাদের কূটনৈতিক সমর্থন, রাজনৈতিক সমর্থন ও রাশিয়ার জন্যে বস্তুগত সমর্থন নিশ্চিতভাবে এ যুদ্ধ অবসানে আমাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে যাবে। রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম প্রশ্ন করেছেন, পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে পা রাখলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে কিনা, কারণ তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
এর জবাবে ব্লিংকেন বলেন, তিনি আশা করছেন না পুতিন যুক্তরাষ্ট্রে সফরে আসবেন। সানফ্রান্সিসকোতে নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় এশিয়া প্যাসিফিক ইকোনমিক কোঅপারেশন ফোরামের শীর্ষ সম্মেলনে পুতিনকে আমন্ত্রণের সম্ভাবনা খুব কম বলেই তিনি উল্লেখ করেন। যদিও রাশিয়াও এ ফোরামের অংশ। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র হেগ ভিত্তিক আইসিসি’র সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়। তাই ব্লিংকেন বলেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে পুতিন যদি অন্য কোন দেশ ভ্রমণে যায় তবে সেসব দেশকে যুক্তরাষ্ট্র উৎসাহিত করবে তাকে হস্তান্তর করতে। ব্লিংকেন বলেন, আমি মনে করি যারা এ আদালতের সদস্য তাদের এ দায়িত্ব পালনে বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ইইউ ও মেক্সিকোর ওপর ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেন ট্রাম্প

রাশিয়াকে সামরিক সহায়তার ক্ষেত্রে চীন সীমা অতিক্রম করেনি: ব্লিংকেন

আপডেট সময় : ০২:৩৫:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩

প্রত্যাশা ডেস্ক ঃ মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী এন্টনি ব্লিংকেন বলেছেন, চীন কূটনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করলেও রাশিয়াকে যথেষ্ট পরিমাণে সামরিক সহায়তা দেয়নি। এ ক্ষেত্রে দেশটি সীমা অতিক্রম করেনি। চীন রাশিয়াকে ‘প্রাণঘাতী সহায়তা’ দিয়েছে কিনা সিনেট কমিটিতে এ ধরনের এক প্রশ্নের জবাবে বুধবার ব্লিংকেন এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, আমরা আজ যেমনটা বলছি, আমরা তাদেরকে সীমা ছাড়াতে দেখিনি।
ব্লিংকেন কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রকাশ্যে সতর্ক করে বলেছেন, ইউক্রেনে যুদ্ধের জন্যে চীন রাশিয়ার অস্ত্র দেয়ার অুনরোধ বিবেচনা করছে। কিছু সংবাদ মাধ্যমেও আভাস দেয়া হয়েছে, চীনা কোম্পানীসমূহ সীমিত পরিমাণে মস্কোকে অস্ত্র সরবরাহ করেছে। এদিকে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং চলতি সপ্তাহে মস্কো সফরকালে যুদ্ধবিরতির যে প্রস্তাব দিয়েছেন, তাকে সন্দেহের চোখে দেখছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের আশংকা রাশিয়া বিরতির এ সময়কে তাদের বাহিনী পুনর্গঠনের কাজে ব্যবহার করবে। ব্লিংকেন চীন প্রসঙ্গে আরও বলেন, আমি মনে করি তাদের কূটনৈতিক সমর্থন, রাজনৈতিক সমর্থন ও রাশিয়ার জন্যে বস্তুগত সমর্থন নিশ্চিতভাবে এ যুদ্ধ অবসানে আমাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে যাবে। রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম প্রশ্ন করেছেন, পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে পা রাখলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে কিনা, কারণ তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
এর জবাবে ব্লিংকেন বলেন, তিনি আশা করছেন না পুতিন যুক্তরাষ্ট্রে সফরে আসবেন। সানফ্রান্সিসকোতে নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় এশিয়া প্যাসিফিক ইকোনমিক কোঅপারেশন ফোরামের শীর্ষ সম্মেলনে পুতিনকে আমন্ত্রণের সম্ভাবনা খুব কম বলেই তিনি উল্লেখ করেন। যদিও রাশিয়াও এ ফোরামের অংশ। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র হেগ ভিত্তিক আইসিসি’র সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়। তাই ব্লিংকেন বলেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে পুতিন যদি অন্য কোন দেশ ভ্রমণে যায় তবে সেসব দেশকে যুক্তরাষ্ট্র উৎসাহিত করবে তাকে হস্তান্তর করতে। ব্লিংকেন বলেন, আমি মনে করি যারা এ আদালতের সদস্য তাদের এ দায়িত্ব পালনে বাধ্যবাধকতা রয়েছে।