ঢাকা ০৩:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

রামু ঘটনার ১০ বছর, ত্রুটিপূর্ণ চার্জশিটে থমকে আছে বিচার

  • আপডেট সময় : ০৩:০৩:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৬৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া গুজবের জেরে কক্সবাজারের রামুর ১২টি বৌদ্ধবিহার ও বসতিতে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ১০ বছর পূর্ণ হলো আজ। সাক্ষীদের সাক্ষ্যদানে অনীহা ও ত্রুটিপূর্ণ চার্জশিটে থমকে আছে বিচার। জড়িতদের শাস্তির পাশাপাশি মানুষের সম্প্রীতি অটুট থাকুক, এমনটাই দাবি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের। ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর। ইসলাম ধর্ম অবমাননার একটি ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে রামুর ১২টি বৌদ্ধমন্দির ও ৩০টি বসতঘরে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে দুষ্কৃতকারীরা। চলে ভাঙচুর ও লুটপাট। ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়া ও টেকনাফে আরও ৭টি বৌদ্ধবিহার ও ১১টি বসতঘরে হামলা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়েছিল। পুড়ে যাওয়া বৌদ্ধবিহার-বসতবাড়ি নির্মাণ করে দিয়েছিল সরকার। আশ্বাস ছিল দ্রুত বিচারের। হামলার ঘটনায় রামু, উখিয়া ও টেকনাফে ১৯টি মামলা হয়। আপসের ভিত্তিতে একটি মামলা প্রত্যাহার হলেও সাক্ষীর অভাবে আটকে গেছে পুলিশের করা ১৮টি মামলার বিচারকাজ। চার্জশিটে ত্রুটি থাকায় পুনঃতদন্তে পাঠানো হয়েছে তিনটি মামলা। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে চান না বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষরা। প্রকৃত অপরাধীর শাস্তির দাবিও জানান তারা।
যে বৌদ্ধ তরুণ উত্তম বড়ুয়ার ফেসবুক আইডির মাধ্যমে বিতর্কিত ছবি ছড়ানোর গুজব ওঠে, গত দশ বছরেও তার কোনো খোঁজ পায়নি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। ফেসবুকসহ তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে যেন আর কোন সহিংসতা না হয়, সে বিষয়ে সজাগ থাকার কথা বলছেন সবাই।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বজ্রপাতে একদিনে ১০ জনের মৃত্যু

রামু ঘটনার ১০ বছর, ত্রুটিপূর্ণ চার্জশিটে থমকে আছে বিচার

আপডেট সময় : ০৩:০৩:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া গুজবের জেরে কক্সবাজারের রামুর ১২টি বৌদ্ধবিহার ও বসতিতে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ১০ বছর পূর্ণ হলো আজ। সাক্ষীদের সাক্ষ্যদানে অনীহা ও ত্রুটিপূর্ণ চার্জশিটে থমকে আছে বিচার। জড়িতদের শাস্তির পাশাপাশি মানুষের সম্প্রীতি অটুট থাকুক, এমনটাই দাবি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের। ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর। ইসলাম ধর্ম অবমাননার একটি ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে রামুর ১২টি বৌদ্ধমন্দির ও ৩০টি বসতঘরে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে দুষ্কৃতকারীরা। চলে ভাঙচুর ও লুটপাট। ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়া ও টেকনাফে আরও ৭টি বৌদ্ধবিহার ও ১১টি বসতঘরে হামলা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়েছিল। পুড়ে যাওয়া বৌদ্ধবিহার-বসতবাড়ি নির্মাণ করে দিয়েছিল সরকার। আশ্বাস ছিল দ্রুত বিচারের। হামলার ঘটনায় রামু, উখিয়া ও টেকনাফে ১৯টি মামলা হয়। আপসের ভিত্তিতে একটি মামলা প্রত্যাহার হলেও সাক্ষীর অভাবে আটকে গেছে পুলিশের করা ১৮টি মামলার বিচারকাজ। চার্জশিটে ত্রুটি থাকায় পুনঃতদন্তে পাঠানো হয়েছে তিনটি মামলা। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে চান না বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষরা। প্রকৃত অপরাধীর শাস্তির দাবিও জানান তারা।
যে বৌদ্ধ তরুণ উত্তম বড়ুয়ার ফেসবুক আইডির মাধ্যমে বিতর্কিত ছবি ছড়ানোর গুজব ওঠে, গত দশ বছরেও তার কোনো খোঁজ পায়নি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। ফেসবুকসহ তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে যেন আর কোন সহিংসতা না হয়, সে বিষয়ে সজাগ থাকার কথা বলছেন সবাই।