ঢাকা ০৬:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫

রাব্বীর গোলে শেখ রাসেলের শুভসূচনা

  • আপডেট সময় : ০২:৩২:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২১
  • ১০০ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া প্রতিবেদক : দুই মাস সাত দিন বিরতির পর মাঠে ফিরল ফুটবল। তবে ঘাসের মাঠে নয়, টার্ফে। টার্ফে খেলার অনভ্যস্ততার কারণে ফুটবলের স্বাভাবিক গতি হলো ব্যাহত। জমল না ম্যাচ। তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে অচেনা টার্ফে কিছুটা মানিয়ে নিয়ে স্বাধীনতা কাপে ঠিকই জয়ে শুরু পেল শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে গতকাল শনিবার ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে উত্তর বারিধারাকে ১-০ গোলে হারিয়েছে শেখ রাসেল। দ্বিতীয়ার্ধে জয়সূচক গোলটি করেন মান্নাফ রাব্বী। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের মাঠে খোঁড়াখুঁড়ি চলায় বাধ্য হয়েই মৌসুম শুরুর টুর্নামেন্টটি আয়োজন করা হচ্ছে এই টার্ফে। প্রথমার্ধের সুযোগ তৈরি করতে পারে কেবল শেখ রাসেলই, কিন্তু ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় গোল পায়নি ২০১২-১৩ মৌসুমে ঘরোয়া ট্রেবল জয়ীরা। চতুর্দশ মিনিটে সাদউদ্দিনের বাড়ানো বলে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড এইলতন ডি সৌজা মাথা ছোঁয়ালেও তা পোস্টের বেশ বাইরে যায়। ৩৩তম মিনিটে দারুণ সুযোগ নষ্ট করেন মোহাম্মদ জুয়েল। ডান দিকে সাদউদ্দিনের কাট ব্যাক ধরে ক্রস বাড়ান রাব্বী। বক্সের মধ্যে ঠিকঠাক শট নিতে পারেননি জুয়েল। সামনে তখন ছিল কেবল গোলরক্ষক সাইফুল ইসলাম খান। বিরতির বাঁশি বাজার আগ মুহূর্তে দি সৌজার পাস ধরে গোলরক্ষক বরাবর শট নেন রাব্বী। ৫৮তম মিনিটে গোলের অপেক্ষা ফুরায় শেখ রাসেলের। বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণ ওঠা পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড ইসমাইল রুতি দি সিলভার চিপ শট ছিল জালের দিকেই। দুই ডিফেন্ডার পিছু নেন বলের, পোস্ট ছেড়ে কিছুটা বেরিয়ে এসেছিলেন সাইফুলও। রাব্বী টোকায় আগুয়ান গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে জালে জড়িয়ে দেন বল। ৭০তম মিনিটে কিরগিজস্তানের ডিফেন্ডার আইজার আকমেদভের হেড গোললাইন থেকে ফেরান জুবায়ের রহমান। একটু পর রাকিব সরকারের বক্সের একটু বাইরে থেকে জোরালো শট ফিরিয়ে দলকে জয়ের পথে রাখেন আশরাফুল ইসলাম রানা। ম্যাচে এর বাইরে তেমন কোনো পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয়নি শেখ রাসেল গোলরক্ষককে। শেষ দিকে সাইফুলের দৃঢ়তায় ব্যবধান দ্বিগুণ হয়নি। বাঁ দিক দিয়ে একক প্রচেষ্টায় আক্রমণে ওঠা আলিসনের শট ফেরানোর পর রুতির ফিরতি শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান বারিধারা গোলরক্ষক।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

রাব্বীর গোলে শেখ রাসেলের শুভসূচনা

আপডেট সময় : ০২:৩২:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২১

ক্রীড়া প্রতিবেদক : দুই মাস সাত দিন বিরতির পর মাঠে ফিরল ফুটবল। তবে ঘাসের মাঠে নয়, টার্ফে। টার্ফে খেলার অনভ্যস্ততার কারণে ফুটবলের স্বাভাবিক গতি হলো ব্যাহত। জমল না ম্যাচ। তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে অচেনা টার্ফে কিছুটা মানিয়ে নিয়ে স্বাধীনতা কাপে ঠিকই জয়ে শুরু পেল শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে গতকাল শনিবার ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে উত্তর বারিধারাকে ১-০ গোলে হারিয়েছে শেখ রাসেল। দ্বিতীয়ার্ধে জয়সূচক গোলটি করেন মান্নাফ রাব্বী। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের মাঠে খোঁড়াখুঁড়ি চলায় বাধ্য হয়েই মৌসুম শুরুর টুর্নামেন্টটি আয়োজন করা হচ্ছে এই টার্ফে। প্রথমার্ধের সুযোগ তৈরি করতে পারে কেবল শেখ রাসেলই, কিন্তু ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় গোল পায়নি ২০১২-১৩ মৌসুমে ঘরোয়া ট্রেবল জয়ীরা। চতুর্দশ মিনিটে সাদউদ্দিনের বাড়ানো বলে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড এইলতন ডি সৌজা মাথা ছোঁয়ালেও তা পোস্টের বেশ বাইরে যায়। ৩৩তম মিনিটে দারুণ সুযোগ নষ্ট করেন মোহাম্মদ জুয়েল। ডান দিকে সাদউদ্দিনের কাট ব্যাক ধরে ক্রস বাড়ান রাব্বী। বক্সের মধ্যে ঠিকঠাক শট নিতে পারেননি জুয়েল। সামনে তখন ছিল কেবল গোলরক্ষক সাইফুল ইসলাম খান। বিরতির বাঁশি বাজার আগ মুহূর্তে দি সৌজার পাস ধরে গোলরক্ষক বরাবর শট নেন রাব্বী। ৫৮তম মিনিটে গোলের অপেক্ষা ফুরায় শেখ রাসেলের। বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণ ওঠা পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড ইসমাইল রুতি দি সিলভার চিপ শট ছিল জালের দিকেই। দুই ডিফেন্ডার পিছু নেন বলের, পোস্ট ছেড়ে কিছুটা বেরিয়ে এসেছিলেন সাইফুলও। রাব্বী টোকায় আগুয়ান গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে জালে জড়িয়ে দেন বল। ৭০তম মিনিটে কিরগিজস্তানের ডিফেন্ডার আইজার আকমেদভের হেড গোললাইন থেকে ফেরান জুবায়ের রহমান। একটু পর রাকিব সরকারের বক্সের একটু বাইরে থেকে জোরালো শট ফিরিয়ে দলকে জয়ের পথে রাখেন আশরাফুল ইসলাম রানা। ম্যাচে এর বাইরে তেমন কোনো পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয়নি শেখ রাসেল গোলরক্ষককে। শেষ দিকে সাইফুলের দৃঢ়তায় ব্যবধান দ্বিগুণ হয়নি। বাঁ দিক দিয়ে একক প্রচেষ্টায় আক্রমণে ওঠা আলিসনের শট ফেরানোর পর রুতির ফিরতি শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান বারিধারা গোলরক্ষক।