ঢাকা ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫

রাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু : ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

  • আপডেট সময় : ০২:৩৮:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর ২০২২
  • ১০০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী এমজিএম শাহরিয়ারের মৃত্যুর ঘটনায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের চিকিৎসকদের অবহেলার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে এ কমিটিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। বুধবার (১৯ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ প্রশাসন ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যৌথভাবে আলোচনায় বসে এ তদন্ত কমিটি গঠন করে।
তদন্ত কমিটি সদস্যরা হলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা এম তারেক নূর, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আসাবুল হক, রাজশাহী বিভাগীয় উপ-পুলিশ কমিশনার ক্রাইম, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ড. নওশাদ আলি ও মেডিকেল কলেজের একজন সিনিয়র চিকিৎসক।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে রাজশাহী বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার আবুল কালাম সিদ্দিক বলেন, আমরা তিন দিনের সময় চাইছি। তোমরা আমাদের তিন দিন সময় দিয়ে সাহায্য করবে। শিক্ষার্থীরা ন্যায়বিচার পাবেন বলে আশ্বস্ত করেন তিনি। যারা আহত তাদের চিকিৎসার সব দায়িত্ব রামেক প্রশাসন নিয়েছে বলেও তিনি জানান।
ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে রাবির মার্কেটিং বিভাগের সভাপতি ও ব্যবসা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো ফরিদুল ইসলাম বলেন, আমরা বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত সাপেক্ষে রিপোর্ট পেশ করা হবে। মেডিকেল কলেজের সিসি ক্যামেরা ও ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে রিপোর্ট তৈরি করা হবে। এসময় শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। বুধবার রাত ৮টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) হবিবুর রহমান হলের তৃতীয় তলার বারান্দা থেকে পড়ে এমজিএম শাহরিয়ার নামের এক শিক্ষার্থী আহত হন। পরে শিক্ষার্থীরা তাকে রামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। শাহরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি দিনাজপুরের বিরল উপজেলায়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ৪০ মিনিট বিলম্বে এসে গুরুতর আহত রাবি শিক্ষার্থীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রামেক হাসপাতালের ওয়ার্ড ও পরিচালকের কক্ষের সামনের অংশে ভাঙচুর করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসকরাও শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হয়। এতে রাবির চার শিক্ষার্থী আহত হন।
আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা ইন্টার্ন চিকিৎসকদের
এদিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা আল্টিমেটাম দিয়ে আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করেছেন। আজ শুক্রবার সকাল থেকে তারা চিকিৎসাসেবা দেবেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রামেক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা শেষে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ইমরান হোসেন এ কথা জানান। তিনি বলেন, বুধবার সন্ত্রাসীরা ডাক্তারদের ওপর হামলা চালায়। ডাক্তারদের খুঁজে খুঁজে মারার চেষ্টা করে। ফলে ডাক্তাররা নিরাপত্তা বিবেচনায় নিয়ে ডিউটি থেকে বিরত থাকি।
তবে, রোগীদের কথা বিবেচনা এবং কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর নিরাপত্তা নিয়ে আস্বস্ত হওয়ায় কাজে ফিরছি। শুক্রবার থেকে রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে। তবে জরুরি চিকিৎসা শুরু হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীরা গ্রেফতার না হলে শনিবার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের মাধ্যমে কঠোর আন্দোলনে যাওয়া হবে।
আলোচনার বিষয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, আমরা তাদের বুঝাতে সক্ষম হয়েছি। তারা আজ জরুরি চিকিৎসাসেবা দেবে। কাল থেকে পুরোপুরি কাজে ফিরবে।
ক্যাম্পাস থেকে শাহরিয়ারের চিরবিদায়
এদিকে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সহপাঠীদের কাঁদিয়ে ক্যাম্পাস থেকে শেষ বিদায় নিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এমজিএম শাহরিয়ার। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ চত্বরে জানাজা শেষে তার মরদেহ নিয়ে একটি লাশবাহী গাড়ি দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় তার গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এদিকে শাহরিয়ারে মৃত্যুতে শোকে মূহ্যমান হয়ে পড়েছেন তার সহপাঠীরা। কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গেছে অনেককে। তার আত্মীয়-স্বজনের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছিল মতিহারের সবুজ ক্যাম্পাস। শাহরিয়ারের এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না তার সহপাঠীরা। শাহরিয়ারকে শেষ বিদায় জানাতে অনেকেই ভিড় করেন লাশবাহী গাড়ির চারপাশে।
এর আগে সকাল ৯টায় কেন্দ্রীয় মসজিদে শাহরিয়ারের জানাজায় সম্পন্ন হয়। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. সুলতান উল-ইসলাম, মার্কেটিং বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফরিদুল ইসলাম, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার ও নিহত শাহরিয়ারের বড় ভাই, চাচাতো ভাই, সহপাঠীসহ কয়েকশ শিক্ষক-শিক্ষার্থী।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসির নির্বাচন বাতিলের ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ আসছে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন

রাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু : ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

আপডেট সময় : ০২:৩৮:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী এমজিএম শাহরিয়ারের মৃত্যুর ঘটনায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের চিকিৎসকদের অবহেলার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে এ কমিটিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। বুধবার (১৯ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ প্রশাসন ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যৌথভাবে আলোচনায় বসে এ তদন্ত কমিটি গঠন করে।
তদন্ত কমিটি সদস্যরা হলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা এম তারেক নূর, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আসাবুল হক, রাজশাহী বিভাগীয় উপ-পুলিশ কমিশনার ক্রাইম, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ড. নওশাদ আলি ও মেডিকেল কলেজের একজন সিনিয়র চিকিৎসক।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে রাজশাহী বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার আবুল কালাম সিদ্দিক বলেন, আমরা তিন দিনের সময় চাইছি। তোমরা আমাদের তিন দিন সময় দিয়ে সাহায্য করবে। শিক্ষার্থীরা ন্যায়বিচার পাবেন বলে আশ্বস্ত করেন তিনি। যারা আহত তাদের চিকিৎসার সব দায়িত্ব রামেক প্রশাসন নিয়েছে বলেও তিনি জানান।
ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে রাবির মার্কেটিং বিভাগের সভাপতি ও ব্যবসা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো ফরিদুল ইসলাম বলেন, আমরা বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত সাপেক্ষে রিপোর্ট পেশ করা হবে। মেডিকেল কলেজের সিসি ক্যামেরা ও ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে রিপোর্ট তৈরি করা হবে। এসময় শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। বুধবার রাত ৮টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) হবিবুর রহমান হলের তৃতীয় তলার বারান্দা থেকে পড়ে এমজিএম শাহরিয়ার নামের এক শিক্ষার্থী আহত হন। পরে শিক্ষার্থীরা তাকে রামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। শাহরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি দিনাজপুরের বিরল উপজেলায়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ৪০ মিনিট বিলম্বে এসে গুরুতর আহত রাবি শিক্ষার্থীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রামেক হাসপাতালের ওয়ার্ড ও পরিচালকের কক্ষের সামনের অংশে ভাঙচুর করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসকরাও শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হয়। এতে রাবির চার শিক্ষার্থী আহত হন।
আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা ইন্টার্ন চিকিৎসকদের
এদিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা আল্টিমেটাম দিয়ে আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করেছেন। আজ শুক্রবার সকাল থেকে তারা চিকিৎসাসেবা দেবেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রামেক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা শেষে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ইমরান হোসেন এ কথা জানান। তিনি বলেন, বুধবার সন্ত্রাসীরা ডাক্তারদের ওপর হামলা চালায়। ডাক্তারদের খুঁজে খুঁজে মারার চেষ্টা করে। ফলে ডাক্তাররা নিরাপত্তা বিবেচনায় নিয়ে ডিউটি থেকে বিরত থাকি।
তবে, রোগীদের কথা বিবেচনা এবং কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর নিরাপত্তা নিয়ে আস্বস্ত হওয়ায় কাজে ফিরছি। শুক্রবার থেকে রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে। তবে জরুরি চিকিৎসা শুরু হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীরা গ্রেফতার না হলে শনিবার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের মাধ্যমে কঠোর আন্দোলনে যাওয়া হবে।
আলোচনার বিষয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, আমরা তাদের বুঝাতে সক্ষম হয়েছি। তারা আজ জরুরি চিকিৎসাসেবা দেবে। কাল থেকে পুরোপুরি কাজে ফিরবে।
ক্যাম্পাস থেকে শাহরিয়ারের চিরবিদায়
এদিকে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সহপাঠীদের কাঁদিয়ে ক্যাম্পাস থেকে শেষ বিদায় নিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এমজিএম শাহরিয়ার। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ চত্বরে জানাজা শেষে তার মরদেহ নিয়ে একটি লাশবাহী গাড়ি দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় তার গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এদিকে শাহরিয়ারে মৃত্যুতে শোকে মূহ্যমান হয়ে পড়েছেন তার সহপাঠীরা। কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গেছে অনেককে। তার আত্মীয়-স্বজনের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছিল মতিহারের সবুজ ক্যাম্পাস। শাহরিয়ারের এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না তার সহপাঠীরা। শাহরিয়ারকে শেষ বিদায় জানাতে অনেকেই ভিড় করেন লাশবাহী গাড়ির চারপাশে।
এর আগে সকাল ৯টায় কেন্দ্রীয় মসজিদে শাহরিয়ারের জানাজায় সম্পন্ন হয়। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. সুলতান উল-ইসলাম, মার্কেটিং বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফরিদুল ইসলাম, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার ও নিহত শাহরিয়ারের বড় ভাই, চাচাতো ভাই, সহপাঠীসহ কয়েকশ শিক্ষক-শিক্ষার্থী।