ঢাকা ০৮:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৪ মে ২০২৫

রাফিনিয়া-লোপেসের গোলে বার্সেলোনার দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন

  • আপডেট সময় : ০৫:৩৪:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫
  • ৩ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক: ভাইয়াদলিদের বিপক্ষে হোঁচট খেয়েও শক্ত প্রত্যাবর্তনে জয় তুলে নিয়ে লা লিগার পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে নিজের অবস্থান আরও মজবুত করল বার্সেলোনা। রাফিনিয়া ও ফের্মিন লোপেসের গোলে ২-১ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে হান্সি ফ্লিকের দল। লা লিগার দুই মেরুর দুই দল -একদিকে অবনমন নিশ্চিত হওয়া রিয়াল ভাইয়াদলিদ, অন্যদিকে শিরোপার লড়াইয়ে থাকা বার্সেলোনা।

ম্যাচের শুরুতেই চমকে দিয়েছিল স্বাগতিকরা, তবে শেষ হাসি হেসেছে অতিথিরাই। শনিবার রাতে ভাইয়াদলিদের মাঠে অনুষ্ঠিত ম্যাচে জয় পেয়েছে কাতালান ক্লাবটি। ম্যাচের মাত্র ষষ্ঠ মিনিটেই গোল করে এগিয়ে যায় ভাইয়াদলিদ। ইভান সানচেসের নেওয়া অপেক্ষাকৃত সাধারণ শটটি ডিফেন্ডার রোনাল্ড আরাউহোর গায়ে লেগে দিক পরিবর্তন করে ভয়ঙ্কর রূপ নেয় এবং পরাস্ত হন বার্সা অধিনায়ক মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন। চোট কাটিয়ে ২২২ দিন পর মাঠে ফেরা এই গোলরক্ষক গোলটি ঠেকাতে ছিলেন একপ্রকার অক্ষম।

প্রথমার্ধে একচেটিয়া দখল থাকলেও (৮২% বল দখল), গোলের দেখা পায়নি বার্সা। ভাইয়াদলিদের জমাট রক্ষণে আটকে যায় ইয়ামাল, আনসু ফাতি, লোপেসদের প্রচেষ্টা। প্রথম ৪৫ মিনিটে তারা নিয়েছিল ১৫টি শট, যার মাত্র ৩টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে, স্বাগতিকদের দুটি শটই ছিল টার্গেটে। হান্সি ফ্লিক এই ম্যাচে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ম্যাচ থেকে ৯টি পরিবর্তন আনেন। শুধু পেদ্রি ও জেরার্দ মার্তিন ছিলেন আগের একাদশে। এত পরিবর্তনের পরও বার্সার খেলায় বড় ধরনের ছন্দপতন হয়নি।

দ্বিতীয়ার্ধে রাফিনিয়া ও ফ্রেংকি ডি ইয়ংকে নামিয়ে আক্রমণে গতি আনেন কোচ ফ্লিক। ফল মেলে দ্রুতই। ৫৪তম মিনিটে ইয়ামালের এক দুর্দান্ত ক্রসে গোলরক্ষকের ভুল কাজে লাগিয়ে বুক দিয়ে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ঠা-া মাথায় গোল করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রাফিনিয়া। ম্যাচে সমতা ফেরায় বার্সা। এর ছয় মিনিট পর ফের্মিন লোপেস ডি বক্সের ঠিক ভেতর থেকে মার্তিনের পাসে দূরের পোস্ট বরাবর নিখুঁত শটে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। এই তরুণ মিডফিল্ডার ধীরে ধীরে বার্সার গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হয়ে উঠছেন। ম্যাচের ৬৯তম মিনিটে দুর্দান্ত এক ড্রিবলিংয়ের পর এক্তর ফোর্তের শট গোলপোস্টে লেগে ফিরে আসে। ভাগ্য ভালো ছিল ভাইয়াদলিদের। এরপর ৭৪তম মিনিটে স্বাগতিকদের হয়ে হুয়ানমি লাতাসার নেওয়া নিশ্চিত একটি গোল টের স্টেগেন দারুণ রিফ্লেক্সে ঠেকিয়ে দেন। এর ছয় মিনিট পর ইয়ামালের শট গোললাইন থেকে ক্লিয়ার করেন ইতালিয়ান ডিফেন্ডার আন্তোনিও কান্দেলা।

শেষ মুহূর্তে রাফিনিয়া দুটি ফ্রি-কিক পেয়েও লক্ষ্যভ্রষ্ট হন। তবে জয় আর কেউ আটকাতে পারেনি কাতালানদের। ৩৪ ম্যাচে ২৫ জয় ও ৪ ড্রয়ে বার্সার সংগ্রহ এখন ৭৯ পয়েন্ট। এক ম্যাচ কম খেলা রেয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট ৭২। ফলে শীর্ষে থাকার লড়াইয়ে ৭ পয়েন্টে এগিয়ে গেল বার্সেলোনা।

গত অগাস্টে দুই দলের আগের সাক্ষাতে রাফিনিয়ার হ্যাটট্রিকে ৭-০ ব্যবধানে জিতেছিল বার্সা, যা এখনো চলতি মৌসুমে তাদের সবচেয়ে বড় জয়। তবে ২০২৩ সালে ভাইয়াদলিদের মাঠে বার্সা ৩-১ গোলে হেরে তিক্ত অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছিল। তাই এবারের জয়টা ছিল আত্মবিশ্বাস ফেরানোর মতোই। বার্সেলোনা এখন ঘুরে দাঁড়ানো আত্মবিশ্বাস আর পয়েন্ট ব্যবধান ধরে রাখার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে শিরোপার দিকে। পরবর্তী ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ আরও শক্তিশালী, তবে ফ্লিকের দল যেভাবে বারবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, তাতে আশা দেখতেই পারে কাতালান সমর্থকরা।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

রাফিনিয়া-লোপেসের গোলে বার্সেলোনার দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন

আপডেট সময় : ০৫:৩৪:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

ক্রীড়া ডেস্ক: ভাইয়াদলিদের বিপক্ষে হোঁচট খেয়েও শক্ত প্রত্যাবর্তনে জয় তুলে নিয়ে লা লিগার পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে নিজের অবস্থান আরও মজবুত করল বার্সেলোনা। রাফিনিয়া ও ফের্মিন লোপেসের গোলে ২-১ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে হান্সি ফ্লিকের দল। লা লিগার দুই মেরুর দুই দল -একদিকে অবনমন নিশ্চিত হওয়া রিয়াল ভাইয়াদলিদ, অন্যদিকে শিরোপার লড়াইয়ে থাকা বার্সেলোনা।

ম্যাচের শুরুতেই চমকে দিয়েছিল স্বাগতিকরা, তবে শেষ হাসি হেসেছে অতিথিরাই। শনিবার রাতে ভাইয়াদলিদের মাঠে অনুষ্ঠিত ম্যাচে জয় পেয়েছে কাতালান ক্লাবটি। ম্যাচের মাত্র ষষ্ঠ মিনিটেই গোল করে এগিয়ে যায় ভাইয়াদলিদ। ইভান সানচেসের নেওয়া অপেক্ষাকৃত সাধারণ শটটি ডিফেন্ডার রোনাল্ড আরাউহোর গায়ে লেগে দিক পরিবর্তন করে ভয়ঙ্কর রূপ নেয় এবং পরাস্ত হন বার্সা অধিনায়ক মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন। চোট কাটিয়ে ২২২ দিন পর মাঠে ফেরা এই গোলরক্ষক গোলটি ঠেকাতে ছিলেন একপ্রকার অক্ষম।

প্রথমার্ধে একচেটিয়া দখল থাকলেও (৮২% বল দখল), গোলের দেখা পায়নি বার্সা। ভাইয়াদলিদের জমাট রক্ষণে আটকে যায় ইয়ামাল, আনসু ফাতি, লোপেসদের প্রচেষ্টা। প্রথম ৪৫ মিনিটে তারা নিয়েছিল ১৫টি শট, যার মাত্র ৩টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে, স্বাগতিকদের দুটি শটই ছিল টার্গেটে। হান্সি ফ্লিক এই ম্যাচে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ম্যাচ থেকে ৯টি পরিবর্তন আনেন। শুধু পেদ্রি ও জেরার্দ মার্তিন ছিলেন আগের একাদশে। এত পরিবর্তনের পরও বার্সার খেলায় বড় ধরনের ছন্দপতন হয়নি।

দ্বিতীয়ার্ধে রাফিনিয়া ও ফ্রেংকি ডি ইয়ংকে নামিয়ে আক্রমণে গতি আনেন কোচ ফ্লিক। ফল মেলে দ্রুতই। ৫৪তম মিনিটে ইয়ামালের এক দুর্দান্ত ক্রসে গোলরক্ষকের ভুল কাজে লাগিয়ে বুক দিয়ে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ঠা-া মাথায় গোল করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রাফিনিয়া। ম্যাচে সমতা ফেরায় বার্সা। এর ছয় মিনিট পর ফের্মিন লোপেস ডি বক্সের ঠিক ভেতর থেকে মার্তিনের পাসে দূরের পোস্ট বরাবর নিখুঁত শটে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। এই তরুণ মিডফিল্ডার ধীরে ধীরে বার্সার গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হয়ে উঠছেন। ম্যাচের ৬৯তম মিনিটে দুর্দান্ত এক ড্রিবলিংয়ের পর এক্তর ফোর্তের শট গোলপোস্টে লেগে ফিরে আসে। ভাগ্য ভালো ছিল ভাইয়াদলিদের। এরপর ৭৪তম মিনিটে স্বাগতিকদের হয়ে হুয়ানমি লাতাসার নেওয়া নিশ্চিত একটি গোল টের স্টেগেন দারুণ রিফ্লেক্সে ঠেকিয়ে দেন। এর ছয় মিনিট পর ইয়ামালের শট গোললাইন থেকে ক্লিয়ার করেন ইতালিয়ান ডিফেন্ডার আন্তোনিও কান্দেলা।

শেষ মুহূর্তে রাফিনিয়া দুটি ফ্রি-কিক পেয়েও লক্ষ্যভ্রষ্ট হন। তবে জয় আর কেউ আটকাতে পারেনি কাতালানদের। ৩৪ ম্যাচে ২৫ জয় ও ৪ ড্রয়ে বার্সার সংগ্রহ এখন ৭৯ পয়েন্ট। এক ম্যাচ কম খেলা রেয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট ৭২। ফলে শীর্ষে থাকার লড়াইয়ে ৭ পয়েন্টে এগিয়ে গেল বার্সেলোনা।

গত অগাস্টে দুই দলের আগের সাক্ষাতে রাফিনিয়ার হ্যাটট্রিকে ৭-০ ব্যবধানে জিতেছিল বার্সা, যা এখনো চলতি মৌসুমে তাদের সবচেয়ে বড় জয়। তবে ২০২৩ সালে ভাইয়াদলিদের মাঠে বার্সা ৩-১ গোলে হেরে তিক্ত অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছিল। তাই এবারের জয়টা ছিল আত্মবিশ্বাস ফেরানোর মতোই। বার্সেলোনা এখন ঘুরে দাঁড়ানো আত্মবিশ্বাস আর পয়েন্ট ব্যবধান ধরে রাখার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে শিরোপার দিকে। পরবর্তী ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ আরও শক্তিশালী, তবে ফ্লিকের দল যেভাবে বারবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, তাতে আশা দেখতেই পারে কাতালান সমর্থকরা।