ঢাকা ০৫:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

রান্নার শখ থেকেই ই-কমার্স ব্যবসায়ী তানজিনা

  • আপডেট সময় : ১১:১৪:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ১২৫ বার পড়া হয়েছে

শিরীন সুলতানা অরুণা : তানজিনা আক্তার। তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা রাঙামাটির কাঠালতলী উপজেলার আলম ডক ইয়ার্ডে। পরিবারের বড় সন্তান হওয়ায় পড়াশোনার গ-িটাও পেরিয়েছেন অনেক আগেই। স্নাতক শেষ করে চাকরির পিছনে না ছুটে রান্নার শখ থেকে হয়ে উঠেছেন ই-কমার্স ব্যবসায়ী।
ব্যবসার শুরুটা অফলাইনে হলেও বর্তমানে অনলাইনে ফেসবুক পেজে ‘দিয়াস কিচেন’-এর মাধ্যমে ব্যবসা করছেন তানজিনা। তার পেজের প্রধান পণ্য সমুচা ও কাবাব। এছাড়াও তিনি ফ্রোজেন খাবার, পিঠা ও বিভিন্ন আচার নিয়েও ব্যবসা করছেন।
তানজিনা আক্তার বলেন, ‘মাস্টার্স শেষ করার পর চাকরি খুঁজছিলাম কিন্তু বর্তমানে চাকরির বাজারের প্রতিযোগিতায় অনেক যুবক-যুবতিই বেকার। চিন্তা করলাম কিছু না কিছু আমার করতেই হবে। এমতাবস্থায় পেলাম ব্যবসা নির্ভর ফেসবুক গ্রুপ উই’র (উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরাম) দেখা। রান্না যেহেতু আমার সখ এবং নেশা, এই নেশাটাকে আমি আমার পেশায় পরিনত করার চিন্তায় ব্যবসার শুরু। আলহামদুলিল্লাহ, প্রতিবেশিদের থেকে বেশ ভালো সাড়া পেয়েছি। তারপর অনলাইনে শুরু করলাম আমার ব্যবসা, তাতেও মাশাআল্লাহ ভালোই সাড়া পাচ্ছি। এভাবেই ব্যবসা শুরুর চার মাসের মাথায় লাখ টাকার পণ্য বিক্রি করতে পেরেছিলাম।’
তিনি বলেন, ‘আসলে বাইরের খাবারে যে পরিমাণ ভেজাল, এই ভেজালের ভিড়ে নির্ভেজাল খাবার তৈরির চিন্তা। মনে হলো নিজেও ফ্রেশ খাবো অন্যদের ও ফ্রেশ খাওয়াবো। বলতে পারেন এটা একটা সামাজিক সেবা। এই সেবায় নিজকে নিয়োজিত করার ইচ্ছা থেকেই খাবার নিয়ে ব্যবসার শুরু করেছিলাম। প্রথমে আমার পরিবার, পরবর্তীতে উই’র তিন পার্বত্য জেলার ডিস্ট্রিক্ট হেড শিরীন সুলতানা অরুনা আন্টি ও দুলাল আংকেলের অনুপ্রেরণায় আজকে আমি এই পর্যায়ে এসেছি। বর্তমানে আমার ব্যবসা ভালোই চলছে, আমার নিজ জেলার উইবাসীরা আমাকে খুব সাপোর্ট করছে। যার জন্য আমি সকলের কাছে কৃতজ্ঞ। বর্তমানে আমার এই অবস্থানে আমি অনেক আনন্দিত।’
একজন উদ্যোক্তা হিসেবে তানজিনা তার ব্যবসাকে আরো প্রসার করতে চান। যাতে করে তার দ্বারা আরো কিছু মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং বেকারত্ব দূর হয়। এভাবেই তিনি মানসম্মত ও মুখরোচক খাবার পরিবেশনের মাধ্যমে সুনাম অর্জন করে নিজেকে নিয়ে গিয়েছে সফলতার দ্বারপ্রান্তে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

রান্নার শখ থেকেই ই-কমার্স ব্যবসায়ী তানজিনা

আপডেট সময় : ১১:১৪:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

শিরীন সুলতানা অরুণা : তানজিনা আক্তার। তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা রাঙামাটির কাঠালতলী উপজেলার আলম ডক ইয়ার্ডে। পরিবারের বড় সন্তান হওয়ায় পড়াশোনার গ-িটাও পেরিয়েছেন অনেক আগেই। স্নাতক শেষ করে চাকরির পিছনে না ছুটে রান্নার শখ থেকে হয়ে উঠেছেন ই-কমার্স ব্যবসায়ী।
ব্যবসার শুরুটা অফলাইনে হলেও বর্তমানে অনলাইনে ফেসবুক পেজে ‘দিয়াস কিচেন’-এর মাধ্যমে ব্যবসা করছেন তানজিনা। তার পেজের প্রধান পণ্য সমুচা ও কাবাব। এছাড়াও তিনি ফ্রোজেন খাবার, পিঠা ও বিভিন্ন আচার নিয়েও ব্যবসা করছেন।
তানজিনা আক্তার বলেন, ‘মাস্টার্স শেষ করার পর চাকরি খুঁজছিলাম কিন্তু বর্তমানে চাকরির বাজারের প্রতিযোগিতায় অনেক যুবক-যুবতিই বেকার। চিন্তা করলাম কিছু না কিছু আমার করতেই হবে। এমতাবস্থায় পেলাম ব্যবসা নির্ভর ফেসবুক গ্রুপ উই’র (উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরাম) দেখা। রান্না যেহেতু আমার সখ এবং নেশা, এই নেশাটাকে আমি আমার পেশায় পরিনত করার চিন্তায় ব্যবসার শুরু। আলহামদুলিল্লাহ, প্রতিবেশিদের থেকে বেশ ভালো সাড়া পেয়েছি। তারপর অনলাইনে শুরু করলাম আমার ব্যবসা, তাতেও মাশাআল্লাহ ভালোই সাড়া পাচ্ছি। এভাবেই ব্যবসা শুরুর চার মাসের মাথায় লাখ টাকার পণ্য বিক্রি করতে পেরেছিলাম।’
তিনি বলেন, ‘আসলে বাইরের খাবারে যে পরিমাণ ভেজাল, এই ভেজালের ভিড়ে নির্ভেজাল খাবার তৈরির চিন্তা। মনে হলো নিজেও ফ্রেশ খাবো অন্যদের ও ফ্রেশ খাওয়াবো। বলতে পারেন এটা একটা সামাজিক সেবা। এই সেবায় নিজকে নিয়োজিত করার ইচ্ছা থেকেই খাবার নিয়ে ব্যবসার শুরু করেছিলাম। প্রথমে আমার পরিবার, পরবর্তীতে উই’র তিন পার্বত্য জেলার ডিস্ট্রিক্ট হেড শিরীন সুলতানা অরুনা আন্টি ও দুলাল আংকেলের অনুপ্রেরণায় আজকে আমি এই পর্যায়ে এসেছি। বর্তমানে আমার ব্যবসা ভালোই চলছে, আমার নিজ জেলার উইবাসীরা আমাকে খুব সাপোর্ট করছে। যার জন্য আমি সকলের কাছে কৃতজ্ঞ। বর্তমানে আমার এই অবস্থানে আমি অনেক আনন্দিত।’
একজন উদ্যোক্তা হিসেবে তানজিনা তার ব্যবসাকে আরো প্রসার করতে চান। যাতে করে তার দ্বারা আরো কিছু মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং বেকারত্ব দূর হয়। এভাবেই তিনি মানসম্মত ও মুখরোচক খাবার পরিবেশনের মাধ্যমে সুনাম অর্জন করে নিজেকে নিয়ে গিয়েছে সফলতার দ্বারপ্রান্তে।