ঢাকা ১০:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

রানের বন্যা বইয়ে টেস্টের বর্ষসেরা রুট

  • আপডেট সময় : ১১:২৬:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাট হাতে গত বছরটা জো রুটের কেটেছে স্বপ্নের মতো। বইয়ে দিয়েছেন রানের বন্যা। সেটির দারুণ এক স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি। আইসিসির ২০২১ সালের পুরুষ বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতেছেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক। বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থা আইসিসির ওয়েবসাইটে সোমবার টেস্টের বর্ষসেরা হিসেবে রুটের নাম ঘোষণা করা হয়। শ্রীলঙ্কার দিমুথ করুনারতেœ, ভারতের রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও নিউ জিল্যান্ডের কাইল জেমিসনকে পেছনে ফেলে সেরা হয়েছেন তিনি। দ্বিতীয় ইংলিশ ক্রিকেটার হিসেবে এই পুরস্কার জিতলেন রুট। ২০১১ সালে জিতেছিলেন সাবেক অধিনায়ক অ্যালেস্টার কুক। ২০২১ সালে টেস্টে ইংল্যান্ডের সময়টা ভালো না কাটলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে উজ্জ্বল ছিলেন রুট। লাল বলের ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের মেরুদ- হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি। অনেক সময় একাই দাঁড়িয়ে গেছেন উইকেটে। গত বছর ১৫ টেস্টে ৬১ গড়ে রুটের রান ১ হাজার ৭০৮। হাজার রানও নেই আর কারও। ৪টি ফিফটির সঙ্গে সেঞ্চুরি ৬টি, যার দুটি আবার ডাবল। ইতিহাসের মাত্র তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে এক বছরে ১ হাজার ৭০০ রান তার। ২০০৬ সালে মোহাম্মদ ইউসুফের ১ হাজার ৭৮৮ ও ১৯৭৬ সালে ভিভ রিচার্ডসের ১ হাজার ৭১০ রান আছে রুটের ওপরে।
রুট বছরের শুরুটাই করেন গল টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২২৮ রানের ম্যারাথন ইনিংস দিয়ে। একই মাঠে পরের টেস্টে খেলেন ১৮৬ রানের আরেকটি দুর্দান্ত ইনিংস। সেই ফর্ম তিনি ধরে রাখেন ভারত সফরেও। চেন্নাইয়ে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে করেন ডাবল সেঞ্চুরি। প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে শততম টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরির অনন্য কীর্তি গড়েন তিনি। ভারতের পেস ও স্পিন আক্রমণ সামলে খেলেন ২১৮ রানের ইনিংস। ৩৭৭ বলে ১৯ চার ও ২ ছক্কায় গড়েছিলেন দারুণ ইনিংসটি, যা প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডকে এনে দিয়েছিল ৫৭৮ রানের বড় সংগ্রহ। পরে ম্যাচটি জিতে নেয় তারা ২২৭ রানে। দেশের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজেও আলো ছড়ান তিনি। প্রথম তিন টেস্টেই করেন সেঞ্চুরি। কোভিডের প্রভাবে পঞ্চম টেস্ট স্থগিত হওয়ার আগে চার টেস্টে ৯৪ গড়ে ৫৬৪ রান করে সিরিজের সর্বোচ্চ স্কোরার তিনিই। ওই সিরিজের পারফরম্যান্সে আইসিসি টেস্ট ব্যাটসম্যানদের র‌্যাঙ্কিংয়ে প্রায় ছয় বছর পর শীর্ষে ফেরেন রুট। পরে যদিও তাকে ছাড়িয়ে যান অস্ট্রেলিয়ার মার্নাস লাবুশেন। শুধু ব্যাটিং নয়, বল হাতেও গত বছর আলো ছড়িয়ে রুট নেন ১৪ উইকেট। ক্যারিয়ারে প্রথম কোনো বছরে তার উইকেট সংখ্যা স্পর্শ করে দুই অঙ্ক। আহমেদাবাদে ভারতের বিপক্ষে মাত্র ৮ রান দিয়ে তিনি নেন ৫ উইকেট। টেস্ট ইতিহাসে যা কোনো স্পিনারের সবচেয়ে কম রান দিয়ে ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড। সব মিলিয়ে রুটের টেস্টের বর্ষসেরা হওয়াটা তাই অনুমিতই ছিল।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

রানের বন্যা বইয়ে টেস্টের বর্ষসেরা রুট

আপডেট সময় : ১১:২৬:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২

ক্রীড়া ডেস্ক : টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাট হাতে গত বছরটা জো রুটের কেটেছে স্বপ্নের মতো। বইয়ে দিয়েছেন রানের বন্যা। সেটির দারুণ এক স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি। আইসিসির ২০২১ সালের পুরুষ বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতেছেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক। বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থা আইসিসির ওয়েবসাইটে সোমবার টেস্টের বর্ষসেরা হিসেবে রুটের নাম ঘোষণা করা হয়। শ্রীলঙ্কার দিমুথ করুনারতেœ, ভারতের রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও নিউ জিল্যান্ডের কাইল জেমিসনকে পেছনে ফেলে সেরা হয়েছেন তিনি। দ্বিতীয় ইংলিশ ক্রিকেটার হিসেবে এই পুরস্কার জিতলেন রুট। ২০১১ সালে জিতেছিলেন সাবেক অধিনায়ক অ্যালেস্টার কুক। ২০২১ সালে টেস্টে ইংল্যান্ডের সময়টা ভালো না কাটলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে উজ্জ্বল ছিলেন রুট। লাল বলের ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের মেরুদ- হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি। অনেক সময় একাই দাঁড়িয়ে গেছেন উইকেটে। গত বছর ১৫ টেস্টে ৬১ গড়ে রুটের রান ১ হাজার ৭০৮। হাজার রানও নেই আর কারও। ৪টি ফিফটির সঙ্গে সেঞ্চুরি ৬টি, যার দুটি আবার ডাবল। ইতিহাসের মাত্র তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে এক বছরে ১ হাজার ৭০০ রান তার। ২০০৬ সালে মোহাম্মদ ইউসুফের ১ হাজার ৭৮৮ ও ১৯৭৬ সালে ভিভ রিচার্ডসের ১ হাজার ৭১০ রান আছে রুটের ওপরে।
রুট বছরের শুরুটাই করেন গল টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২২৮ রানের ম্যারাথন ইনিংস দিয়ে। একই মাঠে পরের টেস্টে খেলেন ১৮৬ রানের আরেকটি দুর্দান্ত ইনিংস। সেই ফর্ম তিনি ধরে রাখেন ভারত সফরেও। চেন্নাইয়ে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে করেন ডাবল সেঞ্চুরি। প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে শততম টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরির অনন্য কীর্তি গড়েন তিনি। ভারতের পেস ও স্পিন আক্রমণ সামলে খেলেন ২১৮ রানের ইনিংস। ৩৭৭ বলে ১৯ চার ও ২ ছক্কায় গড়েছিলেন দারুণ ইনিংসটি, যা প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডকে এনে দিয়েছিল ৫৭৮ রানের বড় সংগ্রহ। পরে ম্যাচটি জিতে নেয় তারা ২২৭ রানে। দেশের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজেও আলো ছড়ান তিনি। প্রথম তিন টেস্টেই করেন সেঞ্চুরি। কোভিডের প্রভাবে পঞ্চম টেস্ট স্থগিত হওয়ার আগে চার টেস্টে ৯৪ গড়ে ৫৬৪ রান করে সিরিজের সর্বোচ্চ স্কোরার তিনিই। ওই সিরিজের পারফরম্যান্সে আইসিসি টেস্ট ব্যাটসম্যানদের র‌্যাঙ্কিংয়ে প্রায় ছয় বছর পর শীর্ষে ফেরেন রুট। পরে যদিও তাকে ছাড়িয়ে যান অস্ট্রেলিয়ার মার্নাস লাবুশেন। শুধু ব্যাটিং নয়, বল হাতেও গত বছর আলো ছড়িয়ে রুট নেন ১৪ উইকেট। ক্যারিয়ারে প্রথম কোনো বছরে তার উইকেট সংখ্যা স্পর্শ করে দুই অঙ্ক। আহমেদাবাদে ভারতের বিপক্ষে মাত্র ৮ রান দিয়ে তিনি নেন ৫ উইকেট। টেস্ট ইতিহাসে যা কোনো স্পিনারের সবচেয়ে কম রান দিয়ে ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড। সব মিলিয়ে রুটের টেস্টের বর্ষসেরা হওয়াটা তাই অনুমিতই ছিল।