ঢাকা ১২:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

রানির মৃত্যুর পর ‘গ্রেট স্টার’ হীরা ফেরত চেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা

  • আপডেট সময় : ০১:১৪:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৭৬ বার পড়া হয়েছে

বিদেশের খবর ডেস্ক : রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর ব্রিটিশ রাজমুকুটে শোভা পাওয়া বেশ কিছু হীরা ফেরত দেওয়ার দাবি উঠেছে। এবার দক্ষিণ আফ্রিকা এ দলে যোগ দিয়েছে। জানা মতে, পরিষ্কারভাবে কাটা সবচেয়ে বড় হীরা ‘গ্রেট স্টার অব আফ্রিকা’ ফেরত চেয়েছে দেশটি।
হীরাটি কালিনান ওয়ান নামেও পরিচিত। ১৯০৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি খনি থেকে তুলে আনা বড় একটি হীরক খ- কেটে কালিনান ওয়ান বের করা হয়েছিল, জানিয়েছে সিএনএন।
ওই হীরক খ-টি কেটে নয়টি টুকরা বের করা হয়েছিল যার সবগুলোই কালিনান নামে পরিচিত। কালিনান ওয়ান এর সবচেয়ে বড় অংশ।
আফ্রিকার তৎকালীন ঔপনিবেশিক শাসকরা ব্রিটিশ রাজপরিবারকে কালিনান ওয়ান বা গ্রেট স্টার হীরাটি দিয়েছিল। বর্তমানে রানির রাজদ-ে এটি শোভা পাচ্ছে।
সিএনএনের খবর অনুযায়ী, হীরাটি ফেরত দেওয়ার দাবি জানিয়ে চেঞ্জ ডট অর্গে একটি অনলাইন পিটিশন চালু করা হয়েছে এবং এ পর্যন্ত ৬ হাজারের বেশি মানুষ তাতে স্বাক্ষর করেছেন।
থান্দুক্সলো সাবেলো নামের দক্ষিণ আফ্রিকার এক আন্দোলনকারী স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, “কালিনান হীরা অবিলম্বে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ফেরত দিতে হবে। আমাদের দেশের ও অন্যান্য দেশের খনিজ আমাদের জনগণের খরচে ব্রিটেনের লাভ অব্যাহত রেখেছে।”
দক্ষিণ আফ্রিকার পার্লামেন্টের সদস্য ভায়োলভেথু জাঙ্গুলা এক টুইটে ‘ব্রিটেনের মাধ্যমে হওয়া সব ক্ষতির ক্ষতিপূরণের’ দাবি করেছেন এবং ‘ব্রিটেনের চুরি করা সব সোনা, হীরা ফেরত’ চেয়েছেন।
এক প্রতিবেদনে এবিসি নিউজ জানিয়েছে, ৫৩০ দশমিক ২ ক্যারেটের পানির ফোটার আকৃতির হীরাটি ক্রসের একটি দ-ের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে, ১৬০০ শতকের এই দ-টি রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানের সময় ব্যবহার করা হতো।
টাওয়ার অব লন্ডনের জুয়েল হাউসে হীরাটি জনসম্মুখে প্রদর্শনীর জন্য রাখা হয়েছে বলে এবিসি জানিয়েছে।
হীরাটির প্রকৃত আর্থিক মূল্য পরিষ্কার নয়, তবে এর বিরলতা ও ইতিহাস একে অমূল্য করে তুলেছে। ব্রিটিশ রাজপরিবারের হাতে থাকা বেশ কিছু হীরা সংশ্লিষ্ট দেশকে ফেরত দেওয়ার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বহু ব্যবহারকারী দাবি তুলেছেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

রানির মৃত্যুর পর ‘গ্রেট স্টার’ হীরা ফেরত চেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা

আপডেট সময় : ০১:১৪:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

বিদেশের খবর ডেস্ক : রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর ব্রিটিশ রাজমুকুটে শোভা পাওয়া বেশ কিছু হীরা ফেরত দেওয়ার দাবি উঠেছে। এবার দক্ষিণ আফ্রিকা এ দলে যোগ দিয়েছে। জানা মতে, পরিষ্কারভাবে কাটা সবচেয়ে বড় হীরা ‘গ্রেট স্টার অব আফ্রিকা’ ফেরত চেয়েছে দেশটি।
হীরাটি কালিনান ওয়ান নামেও পরিচিত। ১৯০৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি খনি থেকে তুলে আনা বড় একটি হীরক খ- কেটে কালিনান ওয়ান বের করা হয়েছিল, জানিয়েছে সিএনএন।
ওই হীরক খ-টি কেটে নয়টি টুকরা বের করা হয়েছিল যার সবগুলোই কালিনান নামে পরিচিত। কালিনান ওয়ান এর সবচেয়ে বড় অংশ।
আফ্রিকার তৎকালীন ঔপনিবেশিক শাসকরা ব্রিটিশ রাজপরিবারকে কালিনান ওয়ান বা গ্রেট স্টার হীরাটি দিয়েছিল। বর্তমানে রানির রাজদ-ে এটি শোভা পাচ্ছে।
সিএনএনের খবর অনুযায়ী, হীরাটি ফেরত দেওয়ার দাবি জানিয়ে চেঞ্জ ডট অর্গে একটি অনলাইন পিটিশন চালু করা হয়েছে এবং এ পর্যন্ত ৬ হাজারের বেশি মানুষ তাতে স্বাক্ষর করেছেন।
থান্দুক্সলো সাবেলো নামের দক্ষিণ আফ্রিকার এক আন্দোলনকারী স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, “কালিনান হীরা অবিলম্বে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ফেরত দিতে হবে। আমাদের দেশের ও অন্যান্য দেশের খনিজ আমাদের জনগণের খরচে ব্রিটেনের লাভ অব্যাহত রেখেছে।”
দক্ষিণ আফ্রিকার পার্লামেন্টের সদস্য ভায়োলভেথু জাঙ্গুলা এক টুইটে ‘ব্রিটেনের মাধ্যমে হওয়া সব ক্ষতির ক্ষতিপূরণের’ দাবি করেছেন এবং ‘ব্রিটেনের চুরি করা সব সোনা, হীরা ফেরত’ চেয়েছেন।
এক প্রতিবেদনে এবিসি নিউজ জানিয়েছে, ৫৩০ দশমিক ২ ক্যারেটের পানির ফোটার আকৃতির হীরাটি ক্রসের একটি দ-ের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে, ১৬০০ শতকের এই দ-টি রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানের সময় ব্যবহার করা হতো।
টাওয়ার অব লন্ডনের জুয়েল হাউসে হীরাটি জনসম্মুখে প্রদর্শনীর জন্য রাখা হয়েছে বলে এবিসি জানিয়েছে।
হীরাটির প্রকৃত আর্থিক মূল্য পরিষ্কার নয়, তবে এর বিরলতা ও ইতিহাস একে অমূল্য করে তুলেছে। ব্রিটিশ রাজপরিবারের হাতে থাকা বেশ কিছু হীরা সংশ্লিষ্ট দেশকে ফেরত দেওয়ার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বহু ব্যবহারকারী দাবি তুলেছেন।