ঢাকা ১০:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

রাত পোহালেই ঈদ

  • আপডেট সময় : ০১:৪৯:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ জুন ২০২৩
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে রাজধানীসহ সারাদেশে মুসলিম সম্প্রদায় ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন।
মহান আল্লাহর অপার অনুগ্রহ লাভের আশায় ঈদের জামাত শেষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কুরবানি করবেন। নামাজ শেষে মুসল্লিদের অনেকেই যাবেন কবরস্থানে। চির বিদায় নেওয়া স্বজনদের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে অশ্রুসজল চোখে এই আনন্দের দিনে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে আল্লাহর দরবারে আকুতি জানাবেন।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীসহ বিশ্বের সকল মুসলমানদের আন্তরিক অভিনন্দন ও মোবারকবাদ জানিয়ে পৃথক বাণী দিয়েছেন।
এবার হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত হবে সকাল ৭টায়। জাতীয় ঈদগাহে নামাজ আদায় করার জন্য ঢাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
ঝড়-বৃষ্টি হলেও ঈদগাহের প্রধান জামাতে সমস্যা হবে না: রাজধানীতে কোরবানির ঈদের প্রধান জামাতের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে জানিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, নামাজের সময় ঝড় বৃষ্টি হলেও যাতে সমস্যা না হয় সে ব্যবস্থা নিয়েছে করপোরেশন। সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে জামাতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আমি আসন্ন ঈদুল আজহার উপলক্ষে সবাই অগ্রিম ঈদের শুভেচ্ছা জানাই এবং সকলকেই আমি আমন্ত্রণ করব যেন জাতীয় ঈদগাহে এসে ঢাকাবাসী এই ঈদের জামাতে অংশ গ্রহণ করেন।
“এটি আমাদের বড় উদযাপন… ঈদের জামাত। সবাই যাতে স্বচ্ছন্দে জামাতে অংশগ্রহণ করতে পারেন, সেই আয়োজন আমরা শেষ করে ফেলেছি।” মেয়র বলেন, প্রায় ৩৫ হাজার মানুষের একসঙ্গে নামাজ পড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে ঈদগাহে। সুষ্ঠু পরিবেশে সুন্দরভাবে সবাই ঈদ জামাতে অংশ নিতে পারবেন বলেই তার বিশ্বাস। দেশে কোরবানির ঈদ উদযাপিত হবে বৃহস্পতিবার। তার আগে গতকাল মঙ্গলবার সকালে জাতীয় ঈদগাহের প্রস্তুতি দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মেয়র তাপস। দক্ষিণ সিটি করপোরেশন আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত হবে সকাল সাড়ে ৭টায়। তবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকলে ঈদগাহের বদলে আধাঘণ্টা পিছিয়ে সকাল ৮টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রধান জামাত হবে। মন্ত্রিসভার সদস্য, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদসহ সব শ্রেণি পেশার মানুষ ঈদের প্রধান জামাতে অংশ নেবেন। সেজন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে ইতোমধ্যে। এবার ঈদের দিনটি পড়েছে আষাঢ়ের ঠিক মাঝামাঝি সময়ে। আর গত কয়েকদিন ধরেই ঢাকা বৃষ্টি ঝরছে। আবহাওযার গতিক জেনে ঈদের নামাজের সময় বিরূপ আবহাওয়া শঙ্কা করছেন তাপস। তিনি বলেন, “আসন্ন ঈদুল আজহায় আমরা প্রতিকূল আবহাওয়া আশঙ্কা করছি। আমরা আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে যেটা জানতে পেরেছি যে, ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে, ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে।”
তাহলে ঈদগাহে প্রধান জামাত করা সম্ভব হবে কী না প্রশ্নে তাপস বলেন, “সেই প্রেক্ষিতে কোনো রকম যেন কোনো সমস্যা না হয় এজন্যই আজকে আমাদের এই পরিদর্শন। এই পরিদর্শনে যেটুকু সমস্যা রয়েছে সেগুলো সংশোধনের জন্য নির্দেশনা আমরা দিয়েছি। “ঝড় হলেও যেন মুসল্লিরা সুষ্ঠুভাবে জামাতে অংশগ্রহণ করতে পারে, সেই ব্যবস্থা আমরা করেছি। কোথাও কোনোভাবে পানি না পড়ে এবং পানি পড়ার যেটা জায়গা সেখান থেকে যাতে জলাবদ্ধতা না হয় সেদিকেও আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি, সকল কার্য্ক্রম নিয়েছি।”
নিরাপত্তা নিয়ে মেয়র বলেন, “আমরা কোনো নাশকতামূলক কিছু আশঙ্কা করছি না। তারপরেও আমাদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তারাও এই ঈদগাহ পরিদর্শন করবেন এবং সামগ্রিক নিরবিচ্ছিন্ন নিশ্ছিদ্র যে নিরাপত্তার ব্যবস্থা, সেটার কার্য্ক্রম নিচ্ছে।”
ঈদগাহ ময়দানে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসিয়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে জানিয়ে মেয়র বলেন, “আমরা মনে করি, খুব শান্তিপূর্ণভাবে জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।” জামাতের অন্যান্য প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তাপস বলেন, ঈদগাহে প্যান্ডেল করা হয়েছে, ‘ঈদ মোবারক’ লেখা ব্যানারও রয়েছে। আর প্যান্ডেলের নিচে কার্পেট বিছানোর পাশাপাশি সিলিং ফ্যান, লাইট ও মাইকের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঈদগাহ প্রাঙ্গনে মুসল্লিদের অজুর ব্যবস্থা করার পাশাপাশি, স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র এবং পুলিশ ও র‌্যাবের কন্টোল রুমও স্থাপন করা হয়েছে।
ঈদের তৃতীয় দিন কোরবানি না করার অনুরোধ মেয়র তাপসের: বর্জ্য অপসারণের সুবিধার্থে ঢাকায় ঈদের তৃতীয় দিন পর্যন্ত পশু কোরবানি না করার অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। ঈদের আগে জাতীয় ঈদগাহ মাঠের প্রস্তুতি দেখতে গিয়ে মঙ্গলবার সকালে তিনি সাংবাদিকদের সামনে এ বিষয়ে কথা বলেন। ময়র বলেন, “ঈদুল আজহা উপলক্ষে আমরা ব্যাপক কর্মযজ্ঞের প্রস্তুতি নিয়েছি কোরবানির পশুর বর্জ অপসারণের জন্য। আমি বিনীত নিবেদন করব, যাতে করে দুই দিনের মধ্যেই ঈদের দিন ও পরবর্তী দিনের মধ্যেই যেন সকল পশু কোরবানির কার্য্ক্রম সম্পন্ন করা হয়।
“তৃতীয় দিনের জন্য যেন পশু কোরবানির জন্য রাখা না হয়, দ্বিতীয় দিনের মধ্যেই সকল পশু কোরবানির কার্য্ক্রমটা যেন সম্পন্ন করা হয়।” তৃতীয় দিনে কোরবানি হলে বর্জ অপসারণের জটিলতা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমরা দেখেছি অনেকদিন ধরেই তৃতীয় দিনে অনেকে পশু জবাই দিয়ে থাকেন। সেই জায়গাটাতে আমি মনে করছি যে, তৃতীয় দিন হলে আমাদের জন্য দূরুহ হয়ে যাবে। “কারণ সকল কার্য্ক্রম ৭২ ঘণ্টা পরে কিন্তু বিশ্রাম দিতে হবে। একটানা ৭২ ঘণ্টা চলবে। সেজন্য এটা অমানবিক হয়ে যায় যে তাদেরকে (পরিচ্ছন্নতা কর্মী) দিয়ে আবার কাজ করানো। সেজন্য আমি এই বিনীত অনুরোধ করেছি।”
ঈদের আগের রাত থেকেই অপসারণ শুরু: ঢাকা দক্ষিণ সিটি এলাকায় ঈদের আগের রাত থেকেই বর্জ অপসারণ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র তাপস। “রাত ১২টার পর থেকে পশুর হাটের বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম আমাদের শুরু হবে। পরদিন ঈদের দিন দুপুর ২টা থেকে আমাদের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে আমরা তদারকি শুরু করব।” মেয়র বলেন, “আপনারা লক্ষ করেছেন, গতবছরও আমি যেটা বলেছিলাম যে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমরা বর্জ্য অপসারণ করব; আমরা সেটা সফলভাবে করতে পেরেছি। এবারও আমাদের সেরকম প্রস্তুতি। “আমরা প্রায় সাড়ে তিনশ যন্ত্রপাতি ব্যবহার করব। প্রায় ১০ হাজার জনবল মাঠপর্যায় নিয়োজিত থাকবে। আমরা কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে কার্যক্রম তদারকি করব। আমাদের কর্মকর্তাদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অঞ্চল ভিত্তিক, ওয়ার্ড ভিত্তিক ও হাটভিত্তিক তদারকি করার জন্য। সুতরাং সকল প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি। ইনশাল্লাহ আমরা এবারও সফল হব।” বর্জ্য নির্দিষ্ট জায়গায় রাখার জন্য যারা কোরবানি দেবেন তাদের ব্যাগ, ব্লিচিং পাউডার ও স্যাভলন দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান মেয়র।

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

রাত পোহালেই ঈদ

আপডেট সময় : ০১:৪৯:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ জুন ২০২৩

প্রত্যাশা ডেস্ক : আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে রাজধানীসহ সারাদেশে মুসলিম সম্প্রদায় ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন।
মহান আল্লাহর অপার অনুগ্রহ লাভের আশায় ঈদের জামাত শেষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কুরবানি করবেন। নামাজ শেষে মুসল্লিদের অনেকেই যাবেন কবরস্থানে। চির বিদায় নেওয়া স্বজনদের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে অশ্রুসজল চোখে এই আনন্দের দিনে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে আল্লাহর দরবারে আকুতি জানাবেন।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীসহ বিশ্বের সকল মুসলমানদের আন্তরিক অভিনন্দন ও মোবারকবাদ জানিয়ে পৃথক বাণী দিয়েছেন।
এবার হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত হবে সকাল ৭টায়। জাতীয় ঈদগাহে নামাজ আদায় করার জন্য ঢাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
ঝড়-বৃষ্টি হলেও ঈদগাহের প্রধান জামাতে সমস্যা হবে না: রাজধানীতে কোরবানির ঈদের প্রধান জামাতের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে জানিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, নামাজের সময় ঝড় বৃষ্টি হলেও যাতে সমস্যা না হয় সে ব্যবস্থা নিয়েছে করপোরেশন। সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে জামাতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আমি আসন্ন ঈদুল আজহার উপলক্ষে সবাই অগ্রিম ঈদের শুভেচ্ছা জানাই এবং সকলকেই আমি আমন্ত্রণ করব যেন জাতীয় ঈদগাহে এসে ঢাকাবাসী এই ঈদের জামাতে অংশ গ্রহণ করেন।
“এটি আমাদের বড় উদযাপন… ঈদের জামাত। সবাই যাতে স্বচ্ছন্দে জামাতে অংশগ্রহণ করতে পারেন, সেই আয়োজন আমরা শেষ করে ফেলেছি।” মেয়র বলেন, প্রায় ৩৫ হাজার মানুষের একসঙ্গে নামাজ পড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে ঈদগাহে। সুষ্ঠু পরিবেশে সুন্দরভাবে সবাই ঈদ জামাতে অংশ নিতে পারবেন বলেই তার বিশ্বাস। দেশে কোরবানির ঈদ উদযাপিত হবে বৃহস্পতিবার। তার আগে গতকাল মঙ্গলবার সকালে জাতীয় ঈদগাহের প্রস্তুতি দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মেয়র তাপস। দক্ষিণ সিটি করপোরেশন আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত হবে সকাল সাড়ে ৭টায়। তবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকলে ঈদগাহের বদলে আধাঘণ্টা পিছিয়ে সকাল ৮টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রধান জামাত হবে। মন্ত্রিসভার সদস্য, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদসহ সব শ্রেণি পেশার মানুষ ঈদের প্রধান জামাতে অংশ নেবেন। সেজন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে ইতোমধ্যে। এবার ঈদের দিনটি পড়েছে আষাঢ়ের ঠিক মাঝামাঝি সময়ে। আর গত কয়েকদিন ধরেই ঢাকা বৃষ্টি ঝরছে। আবহাওযার গতিক জেনে ঈদের নামাজের সময় বিরূপ আবহাওয়া শঙ্কা করছেন তাপস। তিনি বলেন, “আসন্ন ঈদুল আজহায় আমরা প্রতিকূল আবহাওয়া আশঙ্কা করছি। আমরা আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে যেটা জানতে পেরেছি যে, ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে, ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে।”
তাহলে ঈদগাহে প্রধান জামাত করা সম্ভব হবে কী না প্রশ্নে তাপস বলেন, “সেই প্রেক্ষিতে কোনো রকম যেন কোনো সমস্যা না হয় এজন্যই আজকে আমাদের এই পরিদর্শন। এই পরিদর্শনে যেটুকু সমস্যা রয়েছে সেগুলো সংশোধনের জন্য নির্দেশনা আমরা দিয়েছি। “ঝড় হলেও যেন মুসল্লিরা সুষ্ঠুভাবে জামাতে অংশগ্রহণ করতে পারে, সেই ব্যবস্থা আমরা করেছি। কোথাও কোনোভাবে পানি না পড়ে এবং পানি পড়ার যেটা জায়গা সেখান থেকে যাতে জলাবদ্ধতা না হয় সেদিকেও আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি, সকল কার্য্ক্রম নিয়েছি।”
নিরাপত্তা নিয়ে মেয়র বলেন, “আমরা কোনো নাশকতামূলক কিছু আশঙ্কা করছি না। তারপরেও আমাদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তারাও এই ঈদগাহ পরিদর্শন করবেন এবং সামগ্রিক নিরবিচ্ছিন্ন নিশ্ছিদ্র যে নিরাপত্তার ব্যবস্থা, সেটার কার্য্ক্রম নিচ্ছে।”
ঈদগাহ ময়দানে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসিয়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে জানিয়ে মেয়র বলেন, “আমরা মনে করি, খুব শান্তিপূর্ণভাবে জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।” জামাতের অন্যান্য প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তাপস বলেন, ঈদগাহে প্যান্ডেল করা হয়েছে, ‘ঈদ মোবারক’ লেখা ব্যানারও রয়েছে। আর প্যান্ডেলের নিচে কার্পেট বিছানোর পাশাপাশি সিলিং ফ্যান, লাইট ও মাইকের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঈদগাহ প্রাঙ্গনে মুসল্লিদের অজুর ব্যবস্থা করার পাশাপাশি, স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র এবং পুলিশ ও র‌্যাবের কন্টোল রুমও স্থাপন করা হয়েছে।
ঈদের তৃতীয় দিন কোরবানি না করার অনুরোধ মেয়র তাপসের: বর্জ্য অপসারণের সুবিধার্থে ঢাকায় ঈদের তৃতীয় দিন পর্যন্ত পশু কোরবানি না করার অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। ঈদের আগে জাতীয় ঈদগাহ মাঠের প্রস্তুতি দেখতে গিয়ে মঙ্গলবার সকালে তিনি সাংবাদিকদের সামনে এ বিষয়ে কথা বলেন। ময়র বলেন, “ঈদুল আজহা উপলক্ষে আমরা ব্যাপক কর্মযজ্ঞের প্রস্তুতি নিয়েছি কোরবানির পশুর বর্জ অপসারণের জন্য। আমি বিনীত নিবেদন করব, যাতে করে দুই দিনের মধ্যেই ঈদের দিন ও পরবর্তী দিনের মধ্যেই যেন সকল পশু কোরবানির কার্য্ক্রম সম্পন্ন করা হয়।
“তৃতীয় দিনের জন্য যেন পশু কোরবানির জন্য রাখা না হয়, দ্বিতীয় দিনের মধ্যেই সকল পশু কোরবানির কার্য্ক্রমটা যেন সম্পন্ন করা হয়।” তৃতীয় দিনে কোরবানি হলে বর্জ অপসারণের জটিলতা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমরা দেখেছি অনেকদিন ধরেই তৃতীয় দিনে অনেকে পশু জবাই দিয়ে থাকেন। সেই জায়গাটাতে আমি মনে করছি যে, তৃতীয় দিন হলে আমাদের জন্য দূরুহ হয়ে যাবে। “কারণ সকল কার্য্ক্রম ৭২ ঘণ্টা পরে কিন্তু বিশ্রাম দিতে হবে। একটানা ৭২ ঘণ্টা চলবে। সেজন্য এটা অমানবিক হয়ে যায় যে তাদেরকে (পরিচ্ছন্নতা কর্মী) দিয়ে আবার কাজ করানো। সেজন্য আমি এই বিনীত অনুরোধ করেছি।”
ঈদের আগের রাত থেকেই অপসারণ শুরু: ঢাকা দক্ষিণ সিটি এলাকায় ঈদের আগের রাত থেকেই বর্জ অপসারণ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র তাপস। “রাত ১২টার পর থেকে পশুর হাটের বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম আমাদের শুরু হবে। পরদিন ঈদের দিন দুপুর ২টা থেকে আমাদের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে আমরা তদারকি শুরু করব।” মেয়র বলেন, “আপনারা লক্ষ করেছেন, গতবছরও আমি যেটা বলেছিলাম যে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমরা বর্জ্য অপসারণ করব; আমরা সেটা সফলভাবে করতে পেরেছি। এবারও আমাদের সেরকম প্রস্তুতি। “আমরা প্রায় সাড়ে তিনশ যন্ত্রপাতি ব্যবহার করব। প্রায় ১০ হাজার জনবল মাঠপর্যায় নিয়োজিত থাকবে। আমরা কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে কার্যক্রম তদারকি করব। আমাদের কর্মকর্তাদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অঞ্চল ভিত্তিক, ওয়ার্ড ভিত্তিক ও হাটভিত্তিক তদারকি করার জন্য। সুতরাং সকল প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি। ইনশাল্লাহ আমরা এবারও সফল হব।” বর্জ্য নির্দিষ্ট জায়গায় রাখার জন্য যারা কোরবানি দেবেন তাদের ব্যাগ, ব্লিচিং পাউডার ও স্যাভলন দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান মেয়র।