ঢাকা ০৩:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫

রাতেও সূর্যের আলো যেসব দেশে

  • আপডেট সময় : ০৭:২০:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫
  • ১৯ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়ে, বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে নরওয়ের ত্রোসমো ও স্বালবার্ড, আইসল্যান্ডের রেকজাভিক, কানাডার ইয়ুকুন, ফিনল্যান্ডের কয়েকটি অঞ্চল এবং রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে সূর্য পুরোপুরি অস্ত যায় না। এতে করে রাতও দিনের মতো ঝলমলে আলোয় আলোকিত থাকে। সূর্যের আলো এতটাই স্পষ্ট থাকে যে কানাডার ইয়ুকুনে রাত সাড়ে ১০টায় বেসবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়। যা ১৯০৬ সাল থেকে চলে আসছে।

যে স্টেডিয়ামে খেলা আয়োজন করা হয় সেখানে কোনো ফ্লাডলাইটের আলো জ্বালানো হয় না। কিছু কিছু অঞ্চলের মানুষ পার্টি, বিভিন্ন আয়োজন, পুলে সাঁতার কাটাসহ অন্যান্যভাবে সময় ব্যয় করেন। এই সময়টাকে তারা মূলত উপভোগ করেন। তবে রাতের বেলাও যেহেতু সূর্যের আলো থাকে তাহলে সেখানকার মানুষ কোন সময়টায় ঘুমান, এ নিয়ে অনেকের প্রশ্ন থাকে। এছাড়া রাতের অন্ধকার ছাড়া অনেকের ঘুম ধরে না, তারা কীভাবে ঘুমান, তা নিয়েও অনেকের প্রশ্ন থাকে।

জানা গেছে, যারা সূর্যের আলোতে ঘুমাতে পারেন না তারা ঘর অন্ধকার করে দেয় এমন পর্দা ব্যবহার করেন, ঘুমানোর মাস্ক ব্যবহার করেন। আর অন্যরা শুধুমাত্র ক্লান্তি থেকেই ঘুমিয়ে পড়েন। যেহেতু সূর্যের আলো বেশি সময় থাকে। এই সময়টা তারা বাইরে কাটান। এতে শরীরে ক্লান্তি চলে আসে। তখন এমনিতেই অনেকে ঘুমিয়ে পড়েন।

এছাড়া স্থানীয় মানুষ যে সময়টায় ঘুমিয়ে অভ্যস্থ, সেই সময়টাতেই ঘুমিয়ে পড়ার চেষ্টা করেন। অর্থাৎ কারও যদি রাত ১০টায় শুয়ে পড়ার অভ্যাস থাকে তাহলে তিনি ওই সময়টাতেই বিছানায় চলে যান। আর যারা এই সময়টাকে কাজে লাগাতে চান তারা সেভাবে নিজেদের দৈনন্দিক সূচি সাজিয়ে নেন।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

রাতেও সূর্যের আলো যেসব দেশে

আপডেট সময় : ০৭:২০:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক : বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়ে, বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে নরওয়ের ত্রোসমো ও স্বালবার্ড, আইসল্যান্ডের রেকজাভিক, কানাডার ইয়ুকুন, ফিনল্যান্ডের কয়েকটি অঞ্চল এবং রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে সূর্য পুরোপুরি অস্ত যায় না। এতে করে রাতও দিনের মতো ঝলমলে আলোয় আলোকিত থাকে। সূর্যের আলো এতটাই স্পষ্ট থাকে যে কানাডার ইয়ুকুনে রাত সাড়ে ১০টায় বেসবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়। যা ১৯০৬ সাল থেকে চলে আসছে।

যে স্টেডিয়ামে খেলা আয়োজন করা হয় সেখানে কোনো ফ্লাডলাইটের আলো জ্বালানো হয় না। কিছু কিছু অঞ্চলের মানুষ পার্টি, বিভিন্ন আয়োজন, পুলে সাঁতার কাটাসহ অন্যান্যভাবে সময় ব্যয় করেন। এই সময়টাকে তারা মূলত উপভোগ করেন। তবে রাতের বেলাও যেহেতু সূর্যের আলো থাকে তাহলে সেখানকার মানুষ কোন সময়টায় ঘুমান, এ নিয়ে অনেকের প্রশ্ন থাকে। এছাড়া রাতের অন্ধকার ছাড়া অনেকের ঘুম ধরে না, তারা কীভাবে ঘুমান, তা নিয়েও অনেকের প্রশ্ন থাকে।

জানা গেছে, যারা সূর্যের আলোতে ঘুমাতে পারেন না তারা ঘর অন্ধকার করে দেয় এমন পর্দা ব্যবহার করেন, ঘুমানোর মাস্ক ব্যবহার করেন। আর অন্যরা শুধুমাত্র ক্লান্তি থেকেই ঘুমিয়ে পড়েন। যেহেতু সূর্যের আলো বেশি সময় থাকে। এই সময়টা তারা বাইরে কাটান। এতে শরীরে ক্লান্তি চলে আসে। তখন এমনিতেই অনেকে ঘুমিয়ে পড়েন।

এছাড়া স্থানীয় মানুষ যে সময়টায় ঘুমিয়ে অভ্যস্থ, সেই সময়টাতেই ঘুমিয়ে পড়ার চেষ্টা করেন। অর্থাৎ কারও যদি রাত ১০টায় শুয়ে পড়ার অভ্যাস থাকে তাহলে তিনি ওই সময়টাতেই বিছানায় চলে যান। আর যারা এই সময়টাকে কাজে লাগাতে চান তারা সেভাবে নিজেদের দৈনন্দিক সূচি সাজিয়ে নেন।