আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যসভার শূন্য দুই আসনে রাজ্যের বাইরের দুই প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁরা হলেন সুস্মিতা দেব ও লুইজিনহো ফেলেইরো। তৃণমূলের এমন পদক্ষেপের পর সমালোচনায় মেতেছে বিজেপি। কারণ, রাজ্যে গত বিধানসভা নির্বাচনে ‘বহিরাগত’ প্রার্থীদের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়েছিল তৃণমূলই।
সুস্মিতা আসামের কাছাড় জেলার সাবেক সাংসদ ও বিধায়ক। সম্প্রতি কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তিনি। তাঁর বাবা সন্তোষ মোহন দেব ছিলেন ভারতে কংগ্রেস জমানার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। অপর দিকে রাজ্যসভার অপর শূন্য আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন গোয়ার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো। তিনিও সদ্য কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
তৃণমূলের এমন সিদ্ধান্তের পর সমালোচনায় মেতেছেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা বিরোধীদলীয় নেতা ও বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। দলটির নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, ‘বাংলার মেয়ে (মমতা) রাজ্যসভার আসন বাংলার নেতাদের বাদ দিয়ে বহিরাগতদের দিলেন। এটা কি দিদির আদর্শবিরোধী নয়? তিনি তো এবার বিধানসভা নির্বাচনে বহিরাগত প্রার্থীদের নিয়ে ঝড় তুলেছিলেন রাজ্যজুড়ে।’
শুভেন্দু প্রশ্ন তোলেন, ‘এবার কি বাংলার মানুষ জবাব দেবেন না? বাঙালিরা কি এই বঞ্চনার জবাব দেবেন না? তৃণমূলের টিকিটে এই নেতাদের আসাম, ত্রিপুরা বা গোয়ায় জেতার সম্ভাবনা না থাকায় মমতা মনোনয়ন দিয়ে বহিরাগতদের দলে নিলেন। তাই বলছি, বাংলাকে কেন বঞ্চিত করা হলো?’
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় গত নির্বাচনে বিজেপিকে পরাস্ত করতে ‘বহিরাগত তত্ত্ব’ তুলে রাজ্যব্যাপী আলোচনার সৃষ্টি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের বাইরের প্রার্থীকে মনোনয়ন দিলেই তাঁকে বহিরাগত তকমা দিয়েছিলেন তৃণমূলের নেতা–কর্মীরা। এ নিয়ে ভালো সাড়া পান মমতা। বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিল তৃণমূল।
রাজ্যসভার শূন্য আসনে পশ্চিমবঙ্গের বাইরের দুই প্রার্থীকে মনোনয়ন দিল তৃণমূল
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ