ঢাকা ০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫

রাজৈর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স খসে পড়ছে ছাদের পলেস্তারা

  • আপডেট সময় : ১২:০৮:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৩
  • ১৫৫ বার পড়া হয়েছে

মাদারীপুর সংবাদদাতা: মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের ভিতরে স্টাফ রুমের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে। এ সময় টের পেয়ে রুম থেকে বের হওয়ায় স্বাস্থ্যকর্মী সাইদুর রহমান প্রাণে বেঁচে যায়। বুধবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। এর পর থেকেই আতঙ্কে রয়েছে কর্তব্যরত চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মী ও সাধারণ রোগীরা। এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মাদারীপুর স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ। সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, জরুরি বিভাগের ভিতরে স্বাস্থ্য কর্মীদের রেস্ট রুমের ফ্লোর জুড়ে বালু-খোয়া-সিমেন্টের তৈরি পলেস্তারা ছড়িয়ে জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। উপরে তাকাতেই দেখা যায় ছাদের নিচের অংশ খসে পড়ায় রড বের হয়ে আছে। রড জং ধরে যাওয়ায় ছাদের উপরের অংশও যেকোন সময় ধসে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রোগীরা জানায়, যেকোন সময় ছাদ ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা এখানে চিকিৎসা নিতে এসেছি। কিন্তু ছাদ ভেঙে পড়ার খবর শোনার পর থেকে খুব ভয়ে আছি। এখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এখানে থাকতে হচ্ছে। আমরা সরকারের কাছে নতুন ভবনের দাবি জানাই। স্বাস্থ্যকর্মী সাইদুর রহমান জানান, রাতে জরুরি বিভাগে আমার ডিউটি ছিল। রোগী না থাকায় রেস্ট নেয়ার জন্য স্টাফ রেস্ট রুমে ঢুকে একটু শুয়েছিলাম। এ সময় উপর থেকে আমার গায়ে বালু পড়ায় তাড়াতাড়ি জরুরি বিভাগের রুমে চলে আসি এবং সাথে সাথে ছাদের পলেস্তারাগুলো খসে বিছানার উপর পড়ে। বছরখানেক আগেও হাসপাতালে সংস্কার কাজ করেছে। কিন্তু তা ভালো হয়নি। যদি আমি মারা যেতাম তাহলে আমার পরিবারের কি হতো? এখন যেকোনো সময় জরুরী বিভাগের ছাদও ধসে পড়তে পারে। আমরা খুব ঝুঁকির মধ্যে আছি। আমরা দ্রুত এর একটা সমাধান চাই। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আমিনা নুসরাত জাহান বলেন, অলৌকিকভাবে আমাদের স্টাফটা বেচে গেছে। আমরা রাতেই এইচইডিকে ভিডিও পাঠিয়েছি এবং আজকে চিঠি লেখা হয়েছে। তারা দ্রুত সংস্কার করে দিবেন বলে জানিয়েছেন। এর আগে সংস্কারের কাজে কোন গাফলতি ছিল কিনা? জানতে চাইলে তিনি জানান, গাফলতি না, তবে সেই সময় রোগীর প্রচুর চাপ থাকায় ওই অংশে ভালো ভাবে কাজ করানো সম্ভব হয়নি। আসলে ভবনের টেম্পার নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা নতুন ভবন চাচ্ছি। মাদারীপুর স্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের সাব-এষ্টিমেটর মিলন বলেন, পুরাতন বিল্ডিং তাই ছাদ ভেঙে পড়ছে, দেখছি আমরা। সংস্কারের কাজে কোন গাফলতি হয়েছে কিনা এবং ঠিকাদারকে ছিল? জিজ্ঞেস করায় তিনি বলেন, ওটাতো অনেক পুরাতন বিল্ডিং। তাই কোথাও একটু ভেঙে পরতেই পারে। আমরা ওখানে গিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেবো।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজৈর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স খসে পড়ছে ছাদের পলেস্তারা

আপডেট সময় : ১২:০৮:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৩

মাদারীপুর সংবাদদাতা: মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের ভিতরে স্টাফ রুমের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে। এ সময় টের পেয়ে রুম থেকে বের হওয়ায় স্বাস্থ্যকর্মী সাইদুর রহমান প্রাণে বেঁচে যায়। বুধবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। এর পর থেকেই আতঙ্কে রয়েছে কর্তব্যরত চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মী ও সাধারণ রোগীরা। এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মাদারীপুর স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ। সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, জরুরি বিভাগের ভিতরে স্বাস্থ্য কর্মীদের রেস্ট রুমের ফ্লোর জুড়ে বালু-খোয়া-সিমেন্টের তৈরি পলেস্তারা ছড়িয়ে জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। উপরে তাকাতেই দেখা যায় ছাদের নিচের অংশ খসে পড়ায় রড বের হয়ে আছে। রড জং ধরে যাওয়ায় ছাদের উপরের অংশও যেকোন সময় ধসে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রোগীরা জানায়, যেকোন সময় ছাদ ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা এখানে চিকিৎসা নিতে এসেছি। কিন্তু ছাদ ভেঙে পড়ার খবর শোনার পর থেকে খুব ভয়ে আছি। এখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এখানে থাকতে হচ্ছে। আমরা সরকারের কাছে নতুন ভবনের দাবি জানাই। স্বাস্থ্যকর্মী সাইদুর রহমান জানান, রাতে জরুরি বিভাগে আমার ডিউটি ছিল। রোগী না থাকায় রেস্ট নেয়ার জন্য স্টাফ রেস্ট রুমে ঢুকে একটু শুয়েছিলাম। এ সময় উপর থেকে আমার গায়ে বালু পড়ায় তাড়াতাড়ি জরুরি বিভাগের রুমে চলে আসি এবং সাথে সাথে ছাদের পলেস্তারাগুলো খসে বিছানার উপর পড়ে। বছরখানেক আগেও হাসপাতালে সংস্কার কাজ করেছে। কিন্তু তা ভালো হয়নি। যদি আমি মারা যেতাম তাহলে আমার পরিবারের কি হতো? এখন যেকোনো সময় জরুরী বিভাগের ছাদও ধসে পড়তে পারে। আমরা খুব ঝুঁকির মধ্যে আছি। আমরা দ্রুত এর একটা সমাধান চাই। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আমিনা নুসরাত জাহান বলেন, অলৌকিকভাবে আমাদের স্টাফটা বেচে গেছে। আমরা রাতেই এইচইডিকে ভিডিও পাঠিয়েছি এবং আজকে চিঠি লেখা হয়েছে। তারা দ্রুত সংস্কার করে দিবেন বলে জানিয়েছেন। এর আগে সংস্কারের কাজে কোন গাফলতি ছিল কিনা? জানতে চাইলে তিনি জানান, গাফলতি না, তবে সেই সময় রোগীর প্রচুর চাপ থাকায় ওই অংশে ভালো ভাবে কাজ করানো সম্ভব হয়নি। আসলে ভবনের টেম্পার নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা নতুন ভবন চাচ্ছি। মাদারীপুর স্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের সাব-এষ্টিমেটর মিলন বলেন, পুরাতন বিল্ডিং তাই ছাদ ভেঙে পড়ছে, দেখছি আমরা। সংস্কারের কাজে কোন গাফলতি হয়েছে কিনা এবং ঠিকাদারকে ছিল? জিজ্ঞেস করায় তিনি বলেন, ওটাতো অনেক পুরাতন বিল্ডিং। তাই কোথাও একটু ভেঙে পরতেই পারে। আমরা ওখানে গিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেবো।