ঢাকা ১০:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ,পোষ্য কোটা বাতিলসহ ৩ দাবিতে প্রশাসন ভবনে তালা

  • আপডেট সময় : ০৬:১৮:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫
  • ২৪ বার পড়া হয়েছে

রাবি সংবাদদাতা : সব ধরনের পোষ্য কোটা বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনে তালা দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনে শিক্ষার্থীরা তালা লাগিয়ে দেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক মো. আখতার হোসেন মজুমদার। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আগে পাঁচ শতাংশ পোষ্য কোটা থাকলেও ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সন্তানদের জন্য কোটা থাকছে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত ভর্তি কমিটির জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছেলে-মেয়ে কোটার হার পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। কেবলমাত্র সহায়ক ও সাধারণ কর্মচারীদের ছেলে-মেয়েদের জন্য এক শতাংশ কোটা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি সব ধরণের পোষ্য কোটাই বাতিল করতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার অবস্থান কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, রাবির অন্যতম সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, “পোষ্য কোটা মানেই অযোগ্যদের সুযোগ করে দেওয়া। এটা জাতির জন্য ক্ষতিকর। এরপরও পোষ্য কোটা রাখতে চাইলে দেশের সব দরিদ্র মানুষের সন্তানের জন্য পোষ্য কোটা রাখতে হবে।” অবস্থান কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত রয়েছেন। এসময় তাদের ‘পোষ্য কোটার বিরুদ্ধে, লড়াই হবে একসাথে’, ‘আপোষ না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘দালালদের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে’, ‘মেধাবীদের কান্না, আর না আর না’, ‘আবুসাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। শিক্ষার্থীদের অন্য দুইটি দাবি হলো- ফ্যাসিস্ট শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিচারের আওতায় আনা এবং দুইজন ফ্যাসিবাদী শিক্ষককে সহকারী প্রক্টর নিয়োগ দেওয়ার জন্য উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে উন্মুক্ত স্থানে কারণ দর্শানো।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ,পোষ্য কোটা বাতিলসহ ৩ দাবিতে প্রশাসন ভবনে তালা

আপডেট সময় : ০৬:১৮:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫

রাবি সংবাদদাতা : সব ধরনের পোষ্য কোটা বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনে তালা দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনে শিক্ষার্থীরা তালা লাগিয়ে দেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক মো. আখতার হোসেন মজুমদার। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আগে পাঁচ শতাংশ পোষ্য কোটা থাকলেও ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সন্তানদের জন্য কোটা থাকছে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত ভর্তি কমিটির জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছেলে-মেয়ে কোটার হার পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। কেবলমাত্র সহায়ক ও সাধারণ কর্মচারীদের ছেলে-মেয়েদের জন্য এক শতাংশ কোটা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি সব ধরণের পোষ্য কোটাই বাতিল করতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার অবস্থান কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, রাবির অন্যতম সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, “পোষ্য কোটা মানেই অযোগ্যদের সুযোগ করে দেওয়া। এটা জাতির জন্য ক্ষতিকর। এরপরও পোষ্য কোটা রাখতে চাইলে দেশের সব দরিদ্র মানুষের সন্তানের জন্য পোষ্য কোটা রাখতে হবে।” অবস্থান কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত রয়েছেন। এসময় তাদের ‘পোষ্য কোটার বিরুদ্ধে, লড়াই হবে একসাথে’, ‘আপোষ না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘দালালদের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে’, ‘মেধাবীদের কান্না, আর না আর না’, ‘আবুসাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। শিক্ষার্থীদের অন্য দুইটি দাবি হলো- ফ্যাসিস্ট শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিচারের আওতায় আনা এবং দুইজন ফ্যাসিবাদী শিক্ষককে সহকারী প্রক্টর নিয়োগ দেওয়ার জন্য উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে উন্মুক্ত স্থানে কারণ দর্শানো।