ঢাকা ১০:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

রাজশাহী ও সিলেটে ভোট আজ

  • আপডেট সময় : ০১:২৫:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০২৩
  • ১০৭ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : রাজশাহী ও সিলেট সিটি করেপোরেশনের ভোট সুষ্ঠু করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। এর অংশ হিসেবে ভোটগ্রহণের ইভিএম মেশিনসহ নির্বাচনের উপকরণ পাঠানো হচ্ছে কেন্দ্রে কেন্দ্রে।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে সিলেট নগরীর উপশহরে আবুল মাল আব্দুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্স থেকে কেন্দ্রগুলোর দায়িত্বপাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছে নির্বাচনী উপকরণ বুঝিয়ে দেওয়া শুরু হয়। আজ বুধবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু করবেন প্রিজাইডিং অফিসাররা।
অপরদিকে রাজশাহী নিউ গভঃ ডিগ্রি কলেজ থেকে রিটার্নিং অফিসার দেলোয়ার হোসেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে কেন্দ্রগুলোতে ভোটগ্রহণের সরঞ্জাম পাঠানোর কার্যক্রম শুরু করেন।
দুই সিটির ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার নির্বাচনী সরঞ্জাম বুঝে নেন। এরপর কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাদের কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হয়। এ সময় সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সাল কাদির জানান, ভোট শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে; নির্বাচনে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।
নির্বাচনের নিরাপত্তার দায়িত্বে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, আনসার এবং আর্মড পুলিশ নিয়োজিত থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট এবং পুরো নির্বাচনী এলাকায় সাতজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন।
অপরদিকে রাজশাহীর রিটার্নিং অফিসার দেলোয়ার হোসেন বলেন, ভোটগ্রহণের দায়িত্বে থাকবেন ৩ হাজার ৬১৪ জন কর্মকর্তা। ভোট কেন্দ্রগুলোতে স্থাপন করা হয়েছে ১ হাজার ৫৬০টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। ইভিএম মেশিন থাকছে এক হাজার ৭৩০টি। তিনি প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, “সরঞ্জাম পৌঁছার পর কেন্দ্রে কেন্দ্রে ইভিএম পরীক্ষা করে প্রস্তুত রাখবেন।”
জাতীয় নির্বাচনের আগে গাজীপুর, খুলনা ও বরিশালের পর শেষ ধাপে বুধবার ভোট হচ্ছে সিলেট ও রাজশাহী সিটিতে। এ দুই সিটি নির্বাচনেও ভোট হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএমে। কেন্দ্রে ভোট পরিস্থিতি এবারও সিসি ক্যামেরায় দেখবে কমিশন।
নির্বাচন কার্যালয় থেকে জানা গেছে, সিলেট সিটির মেয়র পদে আটজন প্রার্থী রয়েছেন। ৪২টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৭৩ জন, ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদে ৮৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
৭৯ দশমিক ৫০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই নগরীতে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৬০৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৫৩ হাজার ৭৬৩ জন এবং নারী ২ লাখ ৩২ হাজার ৮৪২ জন। মোট ভোটকেন্দ্র ১৯০টি এবং ভোটকক্ষ ১ হাজার ৩৬৪টি। ২০০২ সালে সিলেট সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর এখন পর্যন্ত চারবার নির্বাচন হয়েছে। ২০০৩ সালে প্রথম নির্বাচনে বিজয়ী বদর উদ্দিন কামরান, ২০০৮ সালের দ্বিতীয় নির্বাচনেও কারাগার থেকে মেয়র নির্বাচিত হন। ২০১৩ সাল থেকে মেয়র পদে আছেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী। তবে এবার তিনি দলের সিদ্ধান্ত মেনে নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন না।
সিলেটের মাঠে ২৬০০ পুলিশ: সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরবচ্ছিন্ন করতে নগরীতে প্রায় ২৬০০ পুলিশ সদস্য মাঠে আছে বলে জানিয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটন কমিশনার মো. ইলিয়াছ শরিফ। মঙ্গলবার সকালে পুলিশ লাইন্সে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, মাঠে রয়েছেন ১৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ৪২টি ওয়ার্ডে ৪২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। নির্বাচনে কোনো বিশৃঙ্খলা হলে তারা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবেন। নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে একজন পরিদর্শক, একজন উপ-পরিদর্শক ও পাঁচজন পুলিশ সদস্য এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডে একজন পরিদর্শক, একজন উপ-পরিদর্শক ও চারজন পুলিশ সদস্য এবং সাতজন নারী ও সাতজন পুরুষসহ মোট ১৪ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি জানান, নির্বাচন উপলক্ষে প্রতি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে পুলিশের ৪২টি মোবাইল টিম, প্রতি তিনটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে ১৪টি স্ট্রাইকিং টিম এবং প্রতি থানায় একটি করে ছয়টি রিজার্ভ স্ট্রাইকিং টিম থাকবে। পাশাপাশি থাকবে দুই ওয়ার্ডে একটি করে র‌্যাবের মোট ২২টি ও পাঁচ ওয়ার্ডে এক প্লাটুন করে মোট ১০ প্লাটুন বিজিবির টহল থাকবে। এ সময় পুলিশ কমিশনার নির্বিঘেœ ভোটদানের জন্য ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান।
রাজশাহীর মাঠে সাড়ে ৫০০০ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: এদিকে, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইন্সে সকালে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের ব্রিফিং করেন পুলিশ কমিশনার আনিসুর রহমান। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে এবার রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন হবে শান্তিপূর্ণ। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করবে করা হবে না। ভোট অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ করতে বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ ও ব্যাটালিয়ান আনসার সদস্যদের সমন্বয়ে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। আনিসুর রহমান বলেন, নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন ২৫০ জন র‌্যাব ও বিজিবির ১০ প্লাটুন সদস্য। এ ছাড়া নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে তিন হাজার ৫১৪ জন পুলিশ, এক হাজার ৯৩৫ আনসার সদস্য। থাকবেন ৩০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তথ্য: নির্বাচন কার্যালয় থেকে জানা গেছে, সিলেট সিটির মেয়র পদে আটজন প্রার্থী রয়েছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির মো. নজরুল ইসলাম (বাবুল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মাহমুদুল হাসান, জাকের পার্টির প্রার্থী মো. জহিরুল আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা, মো. শাহ জাহান মিয়া, মো. ছালাহ উদ্দিন এবং মো. আবদুল হানিফ। এ ছাড়া ৪২টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৭৩ জন এবং ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদে ৮৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৭৯ দশমিক ৫০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই নগরীতে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৬০৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৫৩ হাজার ৭৬৩ জন এবং নারী ২ লাখ ৩২ হাজার ৮৪২ জন। মোট ভোটকেন্দ্র ১৯০টি এবং ভোটকক্ষ ১ হাজার ৩৬৪টি। ২০০২ সালে সিলেট সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর এখন পর্যন্ত চারবার নির্বাচন হয়েছে। ২০০৩ সালে প্রথম নির্বাচনে বিজয়ী বদর উদ্দিন কামরান, ২০০৮ সালের দ্বিতীয় নির্বাচনেও কারাগার থেকে মেয়র নির্বাচিত হন। ২০১৩ সাল থেকে মেয়র পদে আছেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী। তবে এবার তিনি দলের সিদ্ধান্ত মেনে নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন না।
রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তথ্য: এ নির্বাচনে মেয়র পদে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুরশিদ আলম, জাকের পার্টির এ কে এম আনোয়ার হোসেন এবং জাতীয় পার্টির সাইফুল ইসলাম স্বপন। এ ছাড়া ৩০টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১১ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৪৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই সিটিতে ভোটার আছেন তিন লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন এবং নারী এক লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন এবং ট্রান্সজেন্ডার ভোটার আছেন ৬ জন। এ ছাড়া নতুন ৩০ হাজার ১৫৭ জন ভোটার এবার প্রথমবারের মত এই নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

প্রধান উপদেষ্টা হতাশ-ক্ষুব্ধ, ‘পদত্যাগ’ নিয়ে আলোচনা

রাজশাহী ও সিলেটে ভোট আজ

আপডেট সময় : ০১:২৫:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০২৩

প্রত্যাশা ডেস্ক : রাজশাহী ও সিলেট সিটি করেপোরেশনের ভোট সুষ্ঠু করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। এর অংশ হিসেবে ভোটগ্রহণের ইভিএম মেশিনসহ নির্বাচনের উপকরণ পাঠানো হচ্ছে কেন্দ্রে কেন্দ্রে।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে সিলেট নগরীর উপশহরে আবুল মাল আব্দুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্স থেকে কেন্দ্রগুলোর দায়িত্বপাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছে নির্বাচনী উপকরণ বুঝিয়ে দেওয়া শুরু হয়। আজ বুধবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু করবেন প্রিজাইডিং অফিসাররা।
অপরদিকে রাজশাহী নিউ গভঃ ডিগ্রি কলেজ থেকে রিটার্নিং অফিসার দেলোয়ার হোসেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে কেন্দ্রগুলোতে ভোটগ্রহণের সরঞ্জাম পাঠানোর কার্যক্রম শুরু করেন।
দুই সিটির ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার নির্বাচনী সরঞ্জাম বুঝে নেন। এরপর কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাদের কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হয়। এ সময় সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সাল কাদির জানান, ভোট শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে; নির্বাচনে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।
নির্বাচনের নিরাপত্তার দায়িত্বে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, আনসার এবং আর্মড পুলিশ নিয়োজিত থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট এবং পুরো নির্বাচনী এলাকায় সাতজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন।
অপরদিকে রাজশাহীর রিটার্নিং অফিসার দেলোয়ার হোসেন বলেন, ভোটগ্রহণের দায়িত্বে থাকবেন ৩ হাজার ৬১৪ জন কর্মকর্তা। ভোট কেন্দ্রগুলোতে স্থাপন করা হয়েছে ১ হাজার ৫৬০টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। ইভিএম মেশিন থাকছে এক হাজার ৭৩০টি। তিনি প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, “সরঞ্জাম পৌঁছার পর কেন্দ্রে কেন্দ্রে ইভিএম পরীক্ষা করে প্রস্তুত রাখবেন।”
জাতীয় নির্বাচনের আগে গাজীপুর, খুলনা ও বরিশালের পর শেষ ধাপে বুধবার ভোট হচ্ছে সিলেট ও রাজশাহী সিটিতে। এ দুই সিটি নির্বাচনেও ভোট হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএমে। কেন্দ্রে ভোট পরিস্থিতি এবারও সিসি ক্যামেরায় দেখবে কমিশন।
নির্বাচন কার্যালয় থেকে জানা গেছে, সিলেট সিটির মেয়র পদে আটজন প্রার্থী রয়েছেন। ৪২টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৭৩ জন, ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদে ৮৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
৭৯ দশমিক ৫০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই নগরীতে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৬০৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৫৩ হাজার ৭৬৩ জন এবং নারী ২ লাখ ৩২ হাজার ৮৪২ জন। মোট ভোটকেন্দ্র ১৯০টি এবং ভোটকক্ষ ১ হাজার ৩৬৪টি। ২০০২ সালে সিলেট সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর এখন পর্যন্ত চারবার নির্বাচন হয়েছে। ২০০৩ সালে প্রথম নির্বাচনে বিজয়ী বদর উদ্দিন কামরান, ২০০৮ সালের দ্বিতীয় নির্বাচনেও কারাগার থেকে মেয়র নির্বাচিত হন। ২০১৩ সাল থেকে মেয়র পদে আছেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী। তবে এবার তিনি দলের সিদ্ধান্ত মেনে নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন না।
সিলেটের মাঠে ২৬০০ পুলিশ: সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরবচ্ছিন্ন করতে নগরীতে প্রায় ২৬০০ পুলিশ সদস্য মাঠে আছে বলে জানিয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটন কমিশনার মো. ইলিয়াছ শরিফ। মঙ্গলবার সকালে পুলিশ লাইন্সে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, মাঠে রয়েছেন ১৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ৪২টি ওয়ার্ডে ৪২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। নির্বাচনে কোনো বিশৃঙ্খলা হলে তারা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবেন। নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে একজন পরিদর্শক, একজন উপ-পরিদর্শক ও পাঁচজন পুলিশ সদস্য এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডে একজন পরিদর্শক, একজন উপ-পরিদর্শক ও চারজন পুলিশ সদস্য এবং সাতজন নারী ও সাতজন পুরুষসহ মোট ১৪ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি জানান, নির্বাচন উপলক্ষে প্রতি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে পুলিশের ৪২টি মোবাইল টিম, প্রতি তিনটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে ১৪টি স্ট্রাইকিং টিম এবং প্রতি থানায় একটি করে ছয়টি রিজার্ভ স্ট্রাইকিং টিম থাকবে। পাশাপাশি থাকবে দুই ওয়ার্ডে একটি করে র‌্যাবের মোট ২২টি ও পাঁচ ওয়ার্ডে এক প্লাটুন করে মোট ১০ প্লাটুন বিজিবির টহল থাকবে। এ সময় পুলিশ কমিশনার নির্বিঘেœ ভোটদানের জন্য ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান।
রাজশাহীর মাঠে সাড়ে ৫০০০ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: এদিকে, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইন্সে সকালে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের ব্রিফিং করেন পুলিশ কমিশনার আনিসুর রহমান। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে এবার রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন হবে শান্তিপূর্ণ। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করবে করা হবে না। ভোট অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ করতে বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ ও ব্যাটালিয়ান আনসার সদস্যদের সমন্বয়ে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। আনিসুর রহমান বলেন, নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন ২৫০ জন র‌্যাব ও বিজিবির ১০ প্লাটুন সদস্য। এ ছাড়া নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে তিন হাজার ৫১৪ জন পুলিশ, এক হাজার ৯৩৫ আনসার সদস্য। থাকবেন ৩০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তথ্য: নির্বাচন কার্যালয় থেকে জানা গেছে, সিলেট সিটির মেয়র পদে আটজন প্রার্থী রয়েছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির মো. নজরুল ইসলাম (বাবুল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মাহমুদুল হাসান, জাকের পার্টির প্রার্থী মো. জহিরুল আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা, মো. শাহ জাহান মিয়া, মো. ছালাহ উদ্দিন এবং মো. আবদুল হানিফ। এ ছাড়া ৪২টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৭৩ জন এবং ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদে ৮৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৭৯ দশমিক ৫০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই নগরীতে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৬০৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৫৩ হাজার ৭৬৩ জন এবং নারী ২ লাখ ৩২ হাজার ৮৪২ জন। মোট ভোটকেন্দ্র ১৯০টি এবং ভোটকক্ষ ১ হাজার ৩৬৪টি। ২০০২ সালে সিলেট সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর এখন পর্যন্ত চারবার নির্বাচন হয়েছে। ২০০৩ সালে প্রথম নির্বাচনে বিজয়ী বদর উদ্দিন কামরান, ২০০৮ সালের দ্বিতীয় নির্বাচনেও কারাগার থেকে মেয়র নির্বাচিত হন। ২০১৩ সাল থেকে মেয়র পদে আছেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী। তবে এবার তিনি দলের সিদ্ধান্ত মেনে নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন না।
রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তথ্য: এ নির্বাচনে মেয়র পদে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুরশিদ আলম, জাকের পার্টির এ কে এম আনোয়ার হোসেন এবং জাতীয় পার্টির সাইফুল ইসলাম স্বপন। এ ছাড়া ৩০টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১১ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৪৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই সিটিতে ভোটার আছেন তিন লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন এবং নারী এক লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন এবং ট্রান্সজেন্ডার ভোটার আছেন ৬ জন। এ ছাড়া নতুন ৩০ হাজার ১৫৭ জন ভোটার এবার প্রথমবারের মত এই নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।