ঢাকা ০৪:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

রাজশাহী অঞ্চলের অধ্যক্ষদের নিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মশালা

  • আপডেট সময় : ১০:১০:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩
  • ৮১ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহী অঞ্চলের সকল অধিভুক্ত সরকারি-বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষবৃন্দকে নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। সোমবার রাজশাহীর মনিবাজারস্থ শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান অডিটোরিয়ামে ‘শিক্ষা ব্যবস্থাপনা ও শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন বিষয়ক কর্মশালা ও মতবিনিময়’ শীর্ষক এই কর্মশালা দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি। রাজশাহী অঞ্চলের ৪০৬টি কলেজের অধ্যক্ষ এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালায় উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে বিভিন্ন সমস্যা, সম্ভাবনা ও সুপারিশ তুলে ধরে বক্তব্য দেন অধ্যক্ষবৃন্দ। কর্মশালায় সরকারি, বেসরকারি, প্রফেশনাল কলেজগুলোর অধ্যক্ষরা ৮টি গ্রুপে ভাগ হয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার মানোন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। তারা ইতোমধ্যে অ্যাকাডেমিক এবং ফিজিক্যাল মাস্টার প্লান প্রণয়ন করেছে। কর্মমুখী ১৩টি পিজিডি কোর্স চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ১৯টি শর্ট কোর্স চালু করতে যাচ্ছে। এসব খুবই ভালো উদ্যোগ। কর্মমুখী শিক্ষা নিশ্চিতে এসব উদ্যোগ কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। কারণ বর্তমান সময়ে একজন শিক্ষার্থীকে অবশ্যই ভাষা, সফ্ট স্কিল, আইসিটি ও অন্ট্রাপ্রেনারশিপ শিখতে হবে। তা নাহলে বিশ্বের নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা কঠিন হয়ে পাড়বে। ’ শিক্ষার নানা উদ্যোগের কথা জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষায় রূপান্তর ঘটতে যাচ্ছে। শিখন এবং পঠন পদ্ধতিতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। আমরা এবছর ২৬টি নতুন বই রচনা করেছি। এগুলোতে ভুল থাকলে আমরা পরিবর্তন করব। কিন্তু একটি পক্ষ গুজব ছড়িয়ে পরিবেশ অশান্ত করতে চায়। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সঠিক তথ্য জানতে হবে, জানাতে হবে। যেসব তথ্য পাঠ্যবইতে নেই সেসব তথ্যকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে পাঠ্যবইয়ে রয়েছে বলে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, যা মোটেই সত্য নয়।’
সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘শিক্ষার মানোন্নয়ন আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। এজন্য আমরা নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সময়ের চাহিদার নিরিখে নতুন নতুন পিজিডি কোর্স এবং কর্মমুখী শর্ট কোর্স চালু করতে যাচ্ছি। কিন্তু নতুন কোর্সগুলো পড়ানোর জন্য আমাদের দক্ষ শিক্ষকের অভাব আছে। এসব শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে উপযুক্ত করে গড়ে তোলাও একটা বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ একজন শিক্ষক তো একদিনে তৈরি হয় না। এর পেছনে অনেক শ্রম, মেধা ও সময় ব্যয় করতে হয়। আমরা নতুন কর্মমুখী কোর্স আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে চালু করব। এর মধ্যেই শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এজন্য মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে শিক্ষকদেরকেই।’
সকল সীমাবদ্ধতা জয়ের প্রত্যয় ব্যক্ত করে এই সমাজবিজ্ঞানী বলেন, ‘আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে অনেক। এই সীমাবদ্ধতাকে ওভার কাম করে এগোতে হবে। বাস্তবিক পক্ষে বৈষম্যহীন সমাজ পৃথিবীর বিভিন্ন উন্নত দেশ এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে পারেনি। আমরা এটিকে হয়তো কমিয়ে আনতে পারি। কিন্তু সেটি নির্মূল করা অনেক কঠিন। কেননা মনুষ্য সৃষ্ট এই সমাজে বহুদিন ধরে পুঁজিবাদী ব্যবস্থার যে প্রবর্তন হয়েছে এবং শ্রেণি তৈরি হয়েছে সেটি একেবারেই স্ট্রাকচার্ড। সেটি ভাঙার একমাত্র পথ শিক্ষায় আলোকিত হওয়া। একজন মানুষ মার্জিত, রুচিশীল, শিক্ষিত ও দক্ষ হয়ে উঠলেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একজন ওবামা যেমন করে কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হতে পারে, তেমনি শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করা এবং দক্ষতা বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে আমার এই শ্রেণি কাঠামো ভেঙে দিতে পারি। মার্কিন সমাজেও সেদিন গুলি করে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। সুতরাং সব সমাজেই যেমন লিবারেল অ্যাপ্রোচের উদাহরণ আছে, তেমনি অসম্ভব রকমের কনজারভেটিব ক্রুয়েল এক্সামপল আছে। আমরা কোনো দেশের বা সমাজের নেতিবাচক উপমা গ্রহণ করব না। আমরা ইতিবাচক সকল উদ্যোগকে সামনে রেখে এগিয়ে যাব।’
বিশ্বে বাংলাদেশ মানবিকতার রোল মডেল উল্লেখ করে উপাচার্য আরও বলেন, ‘পৃথিবী যখন যুদ্ধ করে, মানুষ হত্যা করে আমরা তখন লাখো শরণার্থীকে আশ্রয় দেই। আমাদের একটা অপরিমেয় শক্তি আছে। যখন পাশ্চাত্যের মানুষের হাতে ভ্যাকসিন আছে কিন্তু তারা তা গ্রহণ করে না। আর আমাদের গরিব মানুষেরা লাইন দিয়ে ভ্যাকসিন নেয়। কোভিড জয় করে। এটি তো একটা সম্ভাবনার দেশ। অপার সম্ভাবনার দেশ। আমি এই দেশ নিয়ে শুধুই সম্ভাবনা দেখি। আসুন আমরা সম্মিলিতভাবে কাজ করতে পারলে শিক্ষায় আমূল পরিবর্তন নিশ্চিত করতে পারব, আপনারাই (শিক্ষক) সেটির নেতৃত্ব দেবেন। গড়ে তুলব অপূর্ব বাংলাদেশ।’ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন- স্থানীয় সংসদ সদস্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা এমপি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গোলাম কবীর, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহ আজম প্রমুখ। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেনের সঞ্চালনায় কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ও রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. জোবাইদা আয়েশা সিদ্দিকা, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জামান, তথ্যপ্রযুক্তি দপ্তরের পরিচালক মো. মুমিনুল ইসলাম, রাজশাহী আঞ্চলিক কেন্দ্রের পরিচালক মো. ফয়জুল করিম মনির প্রমুখ। কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন দপ্তরের পরিচালক রফিকুল আকবর। অনুষ্ঠান শেষে রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অন্তর্বর্তী সরকার ভালো কাজ করছে, আমাদের পথ দেখাচ্ছে: ফখরুল

রাজশাহী অঞ্চলের অধ্যক্ষদের নিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মশালা

আপডেট সময় : ১০:১০:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩

রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহী অঞ্চলের সকল অধিভুক্ত সরকারি-বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষবৃন্দকে নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। সোমবার রাজশাহীর মনিবাজারস্থ শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান অডিটোরিয়ামে ‘শিক্ষা ব্যবস্থাপনা ও শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন বিষয়ক কর্মশালা ও মতবিনিময়’ শীর্ষক এই কর্মশালা দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি। রাজশাহী অঞ্চলের ৪০৬টি কলেজের অধ্যক্ষ এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালায় উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে বিভিন্ন সমস্যা, সম্ভাবনা ও সুপারিশ তুলে ধরে বক্তব্য দেন অধ্যক্ষবৃন্দ। কর্মশালায় সরকারি, বেসরকারি, প্রফেশনাল কলেজগুলোর অধ্যক্ষরা ৮টি গ্রুপে ভাগ হয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার মানোন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। তারা ইতোমধ্যে অ্যাকাডেমিক এবং ফিজিক্যাল মাস্টার প্লান প্রণয়ন করেছে। কর্মমুখী ১৩টি পিজিডি কোর্স চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ১৯টি শর্ট কোর্স চালু করতে যাচ্ছে। এসব খুবই ভালো উদ্যোগ। কর্মমুখী শিক্ষা নিশ্চিতে এসব উদ্যোগ কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। কারণ বর্তমান সময়ে একজন শিক্ষার্থীকে অবশ্যই ভাষা, সফ্ট স্কিল, আইসিটি ও অন্ট্রাপ্রেনারশিপ শিখতে হবে। তা নাহলে বিশ্বের নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা কঠিন হয়ে পাড়বে। ’ শিক্ষার নানা উদ্যোগের কথা জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষায় রূপান্তর ঘটতে যাচ্ছে। শিখন এবং পঠন পদ্ধতিতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। আমরা এবছর ২৬টি নতুন বই রচনা করেছি। এগুলোতে ভুল থাকলে আমরা পরিবর্তন করব। কিন্তু একটি পক্ষ গুজব ছড়িয়ে পরিবেশ অশান্ত করতে চায়। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সঠিক তথ্য জানতে হবে, জানাতে হবে। যেসব তথ্য পাঠ্যবইতে নেই সেসব তথ্যকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে পাঠ্যবইয়ে রয়েছে বলে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, যা মোটেই সত্য নয়।’
সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘শিক্ষার মানোন্নয়ন আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। এজন্য আমরা নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সময়ের চাহিদার নিরিখে নতুন নতুন পিজিডি কোর্স এবং কর্মমুখী শর্ট কোর্স চালু করতে যাচ্ছি। কিন্তু নতুন কোর্সগুলো পড়ানোর জন্য আমাদের দক্ষ শিক্ষকের অভাব আছে। এসব শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে উপযুক্ত করে গড়ে তোলাও একটা বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ একজন শিক্ষক তো একদিনে তৈরি হয় না। এর পেছনে অনেক শ্রম, মেধা ও সময় ব্যয় করতে হয়। আমরা নতুন কর্মমুখী কোর্স আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে চালু করব। এর মধ্যেই শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এজন্য মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে শিক্ষকদেরকেই।’
সকল সীমাবদ্ধতা জয়ের প্রত্যয় ব্যক্ত করে এই সমাজবিজ্ঞানী বলেন, ‘আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে অনেক। এই সীমাবদ্ধতাকে ওভার কাম করে এগোতে হবে। বাস্তবিক পক্ষে বৈষম্যহীন সমাজ পৃথিবীর বিভিন্ন উন্নত দেশ এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে পারেনি। আমরা এটিকে হয়তো কমিয়ে আনতে পারি। কিন্তু সেটি নির্মূল করা অনেক কঠিন। কেননা মনুষ্য সৃষ্ট এই সমাজে বহুদিন ধরে পুঁজিবাদী ব্যবস্থার যে প্রবর্তন হয়েছে এবং শ্রেণি তৈরি হয়েছে সেটি একেবারেই স্ট্রাকচার্ড। সেটি ভাঙার একমাত্র পথ শিক্ষায় আলোকিত হওয়া। একজন মানুষ মার্জিত, রুচিশীল, শিক্ষিত ও দক্ষ হয়ে উঠলেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একজন ওবামা যেমন করে কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হতে পারে, তেমনি শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করা এবং দক্ষতা বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে আমার এই শ্রেণি কাঠামো ভেঙে দিতে পারি। মার্কিন সমাজেও সেদিন গুলি করে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। সুতরাং সব সমাজেই যেমন লিবারেল অ্যাপ্রোচের উদাহরণ আছে, তেমনি অসম্ভব রকমের কনজারভেটিব ক্রুয়েল এক্সামপল আছে। আমরা কোনো দেশের বা সমাজের নেতিবাচক উপমা গ্রহণ করব না। আমরা ইতিবাচক সকল উদ্যোগকে সামনে রেখে এগিয়ে যাব।’
বিশ্বে বাংলাদেশ মানবিকতার রোল মডেল উল্লেখ করে উপাচার্য আরও বলেন, ‘পৃথিবী যখন যুদ্ধ করে, মানুষ হত্যা করে আমরা তখন লাখো শরণার্থীকে আশ্রয় দেই। আমাদের একটা অপরিমেয় শক্তি আছে। যখন পাশ্চাত্যের মানুষের হাতে ভ্যাকসিন আছে কিন্তু তারা তা গ্রহণ করে না। আর আমাদের গরিব মানুষেরা লাইন দিয়ে ভ্যাকসিন নেয়। কোভিড জয় করে। এটি তো একটা সম্ভাবনার দেশ। অপার সম্ভাবনার দেশ। আমি এই দেশ নিয়ে শুধুই সম্ভাবনা দেখি। আসুন আমরা সম্মিলিতভাবে কাজ করতে পারলে শিক্ষায় আমূল পরিবর্তন নিশ্চিত করতে পারব, আপনারাই (শিক্ষক) সেটির নেতৃত্ব দেবেন। গড়ে তুলব অপূর্ব বাংলাদেশ।’ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন- স্থানীয় সংসদ সদস্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা এমপি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গোলাম কবীর, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহ আজম প্রমুখ। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেনের সঞ্চালনায় কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ও রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. জোবাইদা আয়েশা সিদ্দিকা, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জামান, তথ্যপ্রযুক্তি দপ্তরের পরিচালক মো. মুমিনুল ইসলাম, রাজশাহী আঞ্চলিক কেন্দ্রের পরিচালক মো. ফয়জুল করিম মনির প্রমুখ। কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন দপ্তরের পরিচালক রফিকুল আকবর। অনুষ্ঠান শেষে রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।