ঢাকা ০১:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

রাজশাহীতে বেড়েছে মাদক চোরাচালান

  • আপডেট সময় : ০৮:৫০:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪
  • ৯০ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহী সংবাদদাতা: রাজশাহীতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে বেড়েছে মাদক চোরাচালান। পুলিশের চেকপোস্ট, টহল ও নিয়মিত অভিযান না থাকায় নগরীতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে মাদক কারবারিরা। রাজশাহী সীমান্ত দিয়ে সহজেই মাদকের চালানগুলো চলে আসে।
জেলার পবা উপজেলার হরিপুর ও হরিয়ান ইউনিয়নে পদ্মা নদীর চরসীমান্ত দিয়ে মাদক চোরাচালান বেড়েছে বলে জানায় স্থানীয় বাসিন্দারা।এক বাসিন্দা বলেন, সরকার পতনের পর মাদক কারবারিরা স্বাচ্ছন্দ্যে এই রুটে দিয়ে মাদক পরিবহন করছে।
জানা গেছে, হরিপুর ইউনিয়নের চর মাঝারদিয়া দিয়ে মাদকের চালান ঢুকছে রাজশাহীতে। মাদক পরিবহনে সমস্যা না থাকায় সহজেই তা ছড়িয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন ইউনিয়নের মাদক বিক্রাতাদের কাছে।
মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে উল্লেখ করে দামকুড়া থানা অফিসার ইনচার্জ রবিউল ইসলাম বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি থাকায় মাদকের বিস্তার বেড়ে গেছে। এখন যেহেতু থানা কার্যক্রম আবার স্বাভাবিক হচ্ছে তাই পুনরায় মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলছে। চরমাঝারদিয়াড়ে আমাদের বিশেষ নজর আছে। সেখানেও অভিযান চলবে।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন জানান, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে মোট মাদক মামলা হয়েছে ২৭টি, এজাহারনামীয় আসামি ৪৫ জন এবং গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩৫ জনকে। গত দুই মাসে মাদকের বিস্তারের বিষয়ে তিনি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আবারও জিরো টলারেন্স গ্রহণ করা হবে।
মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে জানিয়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান শুরু হয়েছে। মাদকের বিস্তার রোধে পুলিশ বাহিনী কাজ করছে। মাদকের সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইননুযায়ী সব্বোর্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পেঁয়াজের ঝাঁজে দিশাহারা ক্রেতা
এদিকে রাজশাহীর বাজারে ঊর্ধ্বমুখী পেঁয়াজের বাজার। দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমার অজুহাতে বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়তি বলে জানান বিক্রেতারা। পেঁয়াজ কিনতেই দিশাহারা ক্রেতারা। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকায়।
গতকাল রোববার সকালে নগরীর সাহেববাজার, নওদাপাড়া, উপশহর নিউমার্কেট, পবা উপজেলার খড়খড়ি বাজার, নওহাটা বাজার পরিদর্শন করে দেখে গেছে, বাজারে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজের দাম। দেশি পেঁয়াজে মণভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার ২০০ থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকায়। আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৪ হাজার থেকে ৪ হাজার ৮০০ টাকায়।
বিক্রেতারা জানান, মৌসুম শেষে কৃষকের ঘরে এখন পেঁয়াজের মজুত কম। ফলে বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কম হচ্ছে। আবার অতিবৃষ্টির কারণে নতুন পেঁয়াজ বপণে দেরি হচ্ছে। অন্যদিকে আমাদানি করা পেঁয়াজের দামও কিছুটা বাড়তি। এসব কারণে বাজারে এখন পেঁয়াজের দাম বেশি। ।
ক্রেতা সাজু হোসেন বলেন, পেঁয়াজ ছাড়া তরকারি রান্না করা যায় না। পেঁয়াজ আমাদের কিনতেই হয়। বর্তমান সরকার যদি বাইরের দেশ থেকে হলেও পেয়াঁজ আমদানি করে আনে তাহলে একটু কম দামে আমরা পাই। পেঁয়াজ কিনতেই সব টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে।
রাজশাহী জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী পরিচালক মাসুম আলী জানান পেঁয়াজের মৌসুম শেষ মুর্হুতে হওয়ায় বাজারে দাম বাড়তি। দাম নিয়ন্ত্রণ রাখতে আমরা কাজ করছি। পেঁয়াজের মৌসুম শেষ হওয়ায় এখন বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়তি। আমরা পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতে নিয়মিত বাজার মনিটর করছি।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নতুন আপদ ‘মব সন্ত্রাস’, আতঙ্কে সারা দেশ

রাজশাহীতে বেড়েছে মাদক চোরাচালান

আপডেট সময় : ০৮:৫০:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪

রাজশাহী সংবাদদাতা: রাজশাহীতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে বেড়েছে মাদক চোরাচালান। পুলিশের চেকপোস্ট, টহল ও নিয়মিত অভিযান না থাকায় নগরীতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে মাদক কারবারিরা। রাজশাহী সীমান্ত দিয়ে সহজেই মাদকের চালানগুলো চলে আসে।
জেলার পবা উপজেলার হরিপুর ও হরিয়ান ইউনিয়নে পদ্মা নদীর চরসীমান্ত দিয়ে মাদক চোরাচালান বেড়েছে বলে জানায় স্থানীয় বাসিন্দারা।এক বাসিন্দা বলেন, সরকার পতনের পর মাদক কারবারিরা স্বাচ্ছন্দ্যে এই রুটে দিয়ে মাদক পরিবহন করছে।
জানা গেছে, হরিপুর ইউনিয়নের চর মাঝারদিয়া দিয়ে মাদকের চালান ঢুকছে রাজশাহীতে। মাদক পরিবহনে সমস্যা না থাকায় সহজেই তা ছড়িয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন ইউনিয়নের মাদক বিক্রাতাদের কাছে।
মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে উল্লেখ করে দামকুড়া থানা অফিসার ইনচার্জ রবিউল ইসলাম বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি থাকায় মাদকের বিস্তার বেড়ে গেছে। এখন যেহেতু থানা কার্যক্রম আবার স্বাভাবিক হচ্ছে তাই পুনরায় মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলছে। চরমাঝারদিয়াড়ে আমাদের বিশেষ নজর আছে। সেখানেও অভিযান চলবে।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন জানান, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে মোট মাদক মামলা হয়েছে ২৭টি, এজাহারনামীয় আসামি ৪৫ জন এবং গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩৫ জনকে। গত দুই মাসে মাদকের বিস্তারের বিষয়ে তিনি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আবারও জিরো টলারেন্স গ্রহণ করা হবে।
মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে জানিয়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান শুরু হয়েছে। মাদকের বিস্তার রোধে পুলিশ বাহিনী কাজ করছে। মাদকের সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইননুযায়ী সব্বোর্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পেঁয়াজের ঝাঁজে দিশাহারা ক্রেতা
এদিকে রাজশাহীর বাজারে ঊর্ধ্বমুখী পেঁয়াজের বাজার। দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমার অজুহাতে বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়তি বলে জানান বিক্রেতারা। পেঁয়াজ কিনতেই দিশাহারা ক্রেতারা। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকায়।
গতকাল রোববার সকালে নগরীর সাহেববাজার, নওদাপাড়া, উপশহর নিউমার্কেট, পবা উপজেলার খড়খড়ি বাজার, নওহাটা বাজার পরিদর্শন করে দেখে গেছে, বাজারে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজের দাম। দেশি পেঁয়াজে মণভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার ২০০ থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকায়। আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৪ হাজার থেকে ৪ হাজার ৮০০ টাকায়।
বিক্রেতারা জানান, মৌসুম শেষে কৃষকের ঘরে এখন পেঁয়াজের মজুত কম। ফলে বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কম হচ্ছে। আবার অতিবৃষ্টির কারণে নতুন পেঁয়াজ বপণে দেরি হচ্ছে। অন্যদিকে আমাদানি করা পেঁয়াজের দামও কিছুটা বাড়তি। এসব কারণে বাজারে এখন পেঁয়াজের দাম বেশি। ।
ক্রেতা সাজু হোসেন বলেন, পেঁয়াজ ছাড়া তরকারি রান্না করা যায় না। পেঁয়াজ আমাদের কিনতেই হয়। বর্তমান সরকার যদি বাইরের দেশ থেকে হলেও পেয়াঁজ আমদানি করে আনে তাহলে একটু কম দামে আমরা পাই। পেঁয়াজ কিনতেই সব টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে।
রাজশাহী জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী পরিচালক মাসুম আলী জানান পেঁয়াজের মৌসুম শেষ মুর্হুতে হওয়ায় বাজারে দাম বাড়তি। দাম নিয়ন্ত্রণ রাখতে আমরা কাজ করছি। পেঁয়াজের মৌসুম শেষ হওয়ায় এখন বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়তি। আমরা পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতে নিয়মিত বাজার মনিটর করছি।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ