ঢাকা ০৪:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫

রাজবাড়ীতে বিনামূল্যে টাইফয়েডের টিকা পাবে ৩ লাখ ১২ হাজার শিশু

  • আপডেট সময় : ০৩:৩২:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১৩ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

রাজবাড়ী সংবাদদাতা: রাজবাড়ী জেলায় ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী ৩ লাখ ১১ হাজার ৭২১ জন শিশু বিনামূল্যে টাইফয়েড টিকা পাবে। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি। যদিও কর্মসূচির সময় এক মাস, তবে মোট ১৮ কর্মদিবস কার্যক্রম চলবে। এর মধ্যে ১০ দিন টিকা দেওয়া হবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং বাকি ৮ দিন কমিউনিটি পর্যায়ে। ৩ লাখেরও বেশি শিশুর মধ্যে ২ লাখ ১২ হাজার ৫৮৮ জন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এবং ৯৯ হাজার ১৩৩ জন কমিউনিটিতে টিকা পাবে।

জেলার ৪২টি ইউনিয়নের ১২৮টি ওয়ার্ডে মোট ১ হাজার ৬৬টি টিকাদান কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলার অস্থায়ী কেন্দ্র ১ হাজার ২৪টি, পৌরসভার কেন্দ্র ৩৬টি এবং স্থায়ী কেন্দ্র ৬টি।

কর্মসূচির শুরুতে টাইফয়েড রোগের ভয়াবহতা ও টিকার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে একটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. সোহেল শেখ।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন ডা. এস এম মাসুদ। উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী আব্দুল কুদ্দুস বাবু, সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম হিরন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রতিনিধি ডা. এরফান আহমেদ এবং জেলা ইপিআই সুপারিন্টেনডেন্ট মুহাম্মদ কামাল হোসেন।

সিভিল সার্জন ডা. এস এম মাসুদ বলেন, টাইফয়েড একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ। এই টিকা সম্পূর্ণ নিরাপদ ও পরীক্ষিত, এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। শিশুরা যেন এই টিকা গ্রহণ থেকে বাদ না পড়ে, সে বিষয়ে অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে। সরকার এই ভ্যাকসিন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সরবরাহ করছে।

সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মোকারেমা মানজুরা। এ সময় জেলায় কর্মরত ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

এসি/আপ্র/৩০/০৯/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

র‌্যাবের ওপর হামলা করে সন্ত্রাসী সাহেব আলীকে ছিনিয়ে নিলো সহযোগীরা

রাজবাড়ীতে বিনামূল্যে টাইফয়েডের টিকা পাবে ৩ লাখ ১২ হাজার শিশু

আপডেট সময় : ০৩:৩২:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাজবাড়ী সংবাদদাতা: রাজবাড়ী জেলায় ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী ৩ লাখ ১১ হাজার ৭২১ জন শিশু বিনামূল্যে টাইফয়েড টিকা পাবে। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি। যদিও কর্মসূচির সময় এক মাস, তবে মোট ১৮ কর্মদিবস কার্যক্রম চলবে। এর মধ্যে ১০ দিন টিকা দেওয়া হবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং বাকি ৮ দিন কমিউনিটি পর্যায়ে। ৩ লাখেরও বেশি শিশুর মধ্যে ২ লাখ ১২ হাজার ৫৮৮ জন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এবং ৯৯ হাজার ১৩৩ জন কমিউনিটিতে টিকা পাবে।

জেলার ৪২টি ইউনিয়নের ১২৮টি ওয়ার্ডে মোট ১ হাজার ৬৬টি টিকাদান কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলার অস্থায়ী কেন্দ্র ১ হাজার ২৪টি, পৌরসভার কেন্দ্র ৩৬টি এবং স্থায়ী কেন্দ্র ৬টি।

কর্মসূচির শুরুতে টাইফয়েড রোগের ভয়াবহতা ও টিকার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে একটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. সোহেল শেখ।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন ডা. এস এম মাসুদ। উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী আব্দুল কুদ্দুস বাবু, সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম হিরন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রতিনিধি ডা. এরফান আহমেদ এবং জেলা ইপিআই সুপারিন্টেনডেন্ট মুহাম্মদ কামাল হোসেন।

সিভিল সার্জন ডা. এস এম মাসুদ বলেন, টাইফয়েড একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ। এই টিকা সম্পূর্ণ নিরাপদ ও পরীক্ষিত, এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। শিশুরা যেন এই টিকা গ্রহণ থেকে বাদ না পড়ে, সে বিষয়ে অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে। সরকার এই ভ্যাকসিন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সরবরাহ করছে।

সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মোকারেমা মানজুরা। এ সময় জেলায় কর্মরত ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

এসি/আপ্র/৩০/০৯/২০২৫