ঢাকা ০৪:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

রাজপথে আসছি, ১৪৪ ধারা দিলেও ভাঙব: মান্না

  • আপডেট সময় : ১০:১১:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৯০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ওমিক্রন বিধি-নিধিষের আগে বিএনপি রাজপথে নেমেছিল। হাজার হাজার মানুষ জনসভায় যোগ দিচ্ছিল। কোথাও ১৪৪ ধারা জারি করলেও তা ভেঙে সভা হয়েছে। এখন বিধি-নিষেধ নাই। আমরা রাজপথে আসছি।
সরকারকে উদ্দেশ করে মান্না বলেন, এইবার ১৪৪ ধারা দেন, আমরাও ভেঙে ফেলে দেখিয়ে দেব। কোনো বিধি-নিষেধের সামনে মাথানত করব না।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে মান্না এসব কথা বলেন। ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, নিপুন রায় চৌধুরীসহ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ উপজেলা শাখার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং সাম্প্রদায়িক উষ্কানিদাতা কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি আব্দুস সালামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে’ এ কর্মসূচির আয়োজন করে নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম।
মান্না বলেন, আজ হোক কাল হোক এই সরকার যাবেই। এরপর যে সরকার আসবে অর্থাৎ কেয়ারটেকার সরকার হতে পারে। তিন মাস তারা ক্ষমতায় থাকবে, তারপর তারা নির্বাচন দেবে। সারাদেশে এই সরকারের ওসি-এসপি-ডিসিরা যে অত্যাচার নির্যাতন করেছে তারাই দায়িত্বে থেকে নির্বাচন পরিচালনা করবে না। তাদেরকেও বদলানো হবে। তিন মাসে প্রশাসনও বদলাবে। সচিবালয়ে যারা আছে, তাদের বদলাতে হবে। সারাদেশ থেকে লুট করে বাংলাদেশকে যারা নিঃস্ব করে ফেলেছে তাদের বিচার করা হবে।
‘কেউ কেউ বলেন, আওয়ামী লীগ এত বড় সংগঠন নতুন সরকার গড়লে আওয়ামী লীগকে রাখবেন না? আমি বলি আওয়ামী লীগ নয়; আওয়ামী লীগের কিছুই ওই সরকারে থাকতে পারবে না।’ বলেন মান্না।
আওয়ামী লীগ বা অন্য কোনো দলের বিরুদ্ধে আমাদের কোনো রাগ নেই উল্লেখ করে মান্না বলেন, ‘যে চোর, তার চুরির বিচার হবে না? যে অন্যায়ভাবে আমার ভাইকে হত্যা করেছে, গুম করেছে, খুন করেছে তাদের বিচার হবে না? এদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য এই আন্দোলন করছি না। কারা খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর মুখেও বিদেশে চিকিৎসা করতে দিলো না, ওরা এমনি এমনি পার পেয়ে যাবে? না।’
রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে মান্না বলেন, ‘এই আন্দোলন কেবল আওয়ামী লীগকে সরিয়ে দেওয়ার আন্দোলন নয়; আমরা দেশটার ভালো করতে চাই। দেশে গণতন্ত্র, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই।
‘দেখেন দুদকের একজন কর্মকর্তা যিনি দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে মামলা দিয়েছেন। সেই কর্মকতাকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে। এই দুদক কর্মকর্তার পক্ষে সরকার কেন কোনো কথা বলছে না? কারণ, এই সরকার দুর্নীতি করে। এই সরকার একেক সময় একেক রূপ ধারন করে। আজ এর পক্ষে বলবে, কাল ওর বিপক্ষে বলবে। চট্টগ্রামে চীন নাকি একটি শহর বানিয়ে দেবে। আমার একটাই বক্তব্য আমার দেশের জমি কাউকে দেওয়া যাবে না। এই সরকার নানাভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাইছে। এদের সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।’
স্বৈরাচারকে হটিয়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার আহ্বান জানিয়ে মান্না বলেন, ‘আমি দেশের সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানাব, আপনারা আন্দোলনের জন্য তৈরি হোন, ঐক্যবদ্ধ হোন। সামনে স্বাধীনতার মাস, এই মাসে আমাদেরকে লড়াই করতে হবে। যেন স্বৈরাচারকে হটিয়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে পারি।’
নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আহ্বায়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান এই কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন। সঞ্চালক ছিলেন বিএনপির যুববিষয়ক সহসম্পাদক নেওয়াজ আলী। আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম, খায়রুল কবির খোকন, সরফত আলী সপু, আজিজুল বারী হেলাল, সাইফুল আলম নিরব, ডা. রফিকুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম খান রবি, মশিউর রহমান বিপ্লব প্রমুখ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

রাজপথে আসছি, ১৪৪ ধারা দিলেও ভাঙব: মান্না

আপডেট সময় : ১০:১১:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ওমিক্রন বিধি-নিধিষের আগে বিএনপি রাজপথে নেমেছিল। হাজার হাজার মানুষ জনসভায় যোগ দিচ্ছিল। কোথাও ১৪৪ ধারা জারি করলেও তা ভেঙে সভা হয়েছে। এখন বিধি-নিষেধ নাই। আমরা রাজপথে আসছি।
সরকারকে উদ্দেশ করে মান্না বলেন, এইবার ১৪৪ ধারা দেন, আমরাও ভেঙে ফেলে দেখিয়ে দেব। কোনো বিধি-নিষেধের সামনে মাথানত করব না।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে মান্না এসব কথা বলেন। ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, নিপুন রায় চৌধুরীসহ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ উপজেলা শাখার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং সাম্প্রদায়িক উষ্কানিদাতা কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি আব্দুস সালামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে’ এ কর্মসূচির আয়োজন করে নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম।
মান্না বলেন, আজ হোক কাল হোক এই সরকার যাবেই। এরপর যে সরকার আসবে অর্থাৎ কেয়ারটেকার সরকার হতে পারে। তিন মাস তারা ক্ষমতায় থাকবে, তারপর তারা নির্বাচন দেবে। সারাদেশে এই সরকারের ওসি-এসপি-ডিসিরা যে অত্যাচার নির্যাতন করেছে তারাই দায়িত্বে থেকে নির্বাচন পরিচালনা করবে না। তাদেরকেও বদলানো হবে। তিন মাসে প্রশাসনও বদলাবে। সচিবালয়ে যারা আছে, তাদের বদলাতে হবে। সারাদেশ থেকে লুট করে বাংলাদেশকে যারা নিঃস্ব করে ফেলেছে তাদের বিচার করা হবে।
‘কেউ কেউ বলেন, আওয়ামী লীগ এত বড় সংগঠন নতুন সরকার গড়লে আওয়ামী লীগকে রাখবেন না? আমি বলি আওয়ামী লীগ নয়; আওয়ামী লীগের কিছুই ওই সরকারে থাকতে পারবে না।’ বলেন মান্না।
আওয়ামী লীগ বা অন্য কোনো দলের বিরুদ্ধে আমাদের কোনো রাগ নেই উল্লেখ করে মান্না বলেন, ‘যে চোর, তার চুরির বিচার হবে না? যে অন্যায়ভাবে আমার ভাইকে হত্যা করেছে, গুম করেছে, খুন করেছে তাদের বিচার হবে না? এদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য এই আন্দোলন করছি না। কারা খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর মুখেও বিদেশে চিকিৎসা করতে দিলো না, ওরা এমনি এমনি পার পেয়ে যাবে? না।’
রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে মান্না বলেন, ‘এই আন্দোলন কেবল আওয়ামী লীগকে সরিয়ে দেওয়ার আন্দোলন নয়; আমরা দেশটার ভালো করতে চাই। দেশে গণতন্ত্র, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই।
‘দেখেন দুদকের একজন কর্মকর্তা যিনি দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে মামলা দিয়েছেন। সেই কর্মকতাকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে। এই দুদক কর্মকর্তার পক্ষে সরকার কেন কোনো কথা বলছে না? কারণ, এই সরকার দুর্নীতি করে। এই সরকার একেক সময় একেক রূপ ধারন করে। আজ এর পক্ষে বলবে, কাল ওর বিপক্ষে বলবে। চট্টগ্রামে চীন নাকি একটি শহর বানিয়ে দেবে। আমার একটাই বক্তব্য আমার দেশের জমি কাউকে দেওয়া যাবে না। এই সরকার নানাভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাইছে। এদের সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।’
স্বৈরাচারকে হটিয়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার আহ্বান জানিয়ে মান্না বলেন, ‘আমি দেশের সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানাব, আপনারা আন্দোলনের জন্য তৈরি হোন, ঐক্যবদ্ধ হোন। সামনে স্বাধীনতার মাস, এই মাসে আমাদেরকে লড়াই করতে হবে। যেন স্বৈরাচারকে হটিয়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে পারি।’
নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আহ্বায়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান এই কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন। সঞ্চালক ছিলেন বিএনপির যুববিষয়ক সহসম্পাদক নেওয়াজ আলী। আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম, খায়রুল কবির খোকন, সরফত আলী সপু, আজিজুল বারী হেলাল, সাইফুল আলম নিরব, ডা. রফিকুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম খান রবি, মশিউর রহমান বিপ্লব প্রমুখ।