ঢাকা ০৩:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
ডিএমপির সংবাদ সম্মেলন

রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নয়, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে সোহাগ হত্যা

  • আপডেট সময় : ০৯:০৮:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
  • ১২ বার পড়া হয়েছে

ডিএমপির সংবাদ সম্মেলন -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ হত্যাকাণ্ডে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নেই। মূলত ব্যবসাযীক দ্বন্দ্ব থেকেই তাকে হত্যা করা হয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সোহাগ বিগত সরকারের সময় সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ভাগ্নে পিল্লু কমিশনারের ছত্রছায়ায় বিদ্যুতের চোরাই তার কেনাবেচা করতো। ৫ আগস্টের পর তার এই ব্যবসায় ভাগ বসাতে চায় তারই পরিচিতজনরা। এ নিয়েই তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি; যা থেকে মব সৃষ্টি করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, গত ৯ জুলাই বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে প্রকাশ্য লাল চাঁন ওরফে সোহাগকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর ৯৯৯-এ কল পেয়ে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সঙ্গে সঙ্গে ফাঁড়িতে খবর দেন। ইনচার্জ এসআই সরোয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং সন্দেহভাজন মাহমুদুল হাসান মহিন ও তারেক রহমান রবিনকে গ্রেফতার করেন। পরে সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্যের ভিত্তিতে আরো কয়েকজনকে শনাক্ত করে অভিযান চালিয়ে মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি জানান, ভিডিও ফুটেজে পাথর নিক্ষেপকারীকে শনাক্ত করা গেলেও পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছিল না। তবে পুলিশের বিশেষ টিমের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে ১৫ জুলাই পটুয়াখালী থেকে মো. রেজওয়ান উদ্দিন অভি নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। তার বাবার নাম মনোরঞ্জন বস, মায়ের নাম বিউটি দেব মিলা। তিনি একজন ধর্মান্তরিত মুসলিম বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার।

খসড়া এজাহার ঘিরে বিভ্রান্তি: এজাহার নিয়ে বিভ্রান্তির বিষয়ে তিনি বলেন, প্রথমে নিহতের সাবেক স্ত্রী থানায় গিয়ে মামলা করতে চেয়েছিলেন। পরে তার সৎ ভাই রনি ও বড় বোন মঞ্জু আরা বেগম থানায় যান। তারা ২৩ জনকে আসামি করে একটি খসড়া এজাহার প্রস্তুত করেন। পরে মূল বাদি মঞ্জু আরা পাঁচ জনের নাম বাদ দিয়ে এবং একজনের নাম যোগ করে মোট ১৯ জনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত এজাহার দায়ের করেন। খসড়া এজাহারের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা বিভ্রান্তির জন্ম দেয়।

হত্যার পেছনে বিদ্যুৎ চোরাচালানের ভাগ-বিতর্ক: ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এসএন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, নিহত সোহাগ এক সময় সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ভাগ্নে পিল্লু কমিশনারের ছত্রচ্ছায়ায় মিটফোর্ড এলাকায় চোরাই বিদ্যুতের তারের ব্যবসা করতেন। তবে ৫ আগস্টের পর ওই ব্যবসায় ভাগ বসাতে চায় তারই পরিচিত কয়েকজন। এই নিয়েই দ্বন্দ্ব তৈরি হয়, যা শেষ পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডে গড়ায়। তবে এতে নির্বাচনি কোনো বিষয় জড়িত নয়।

ডিএমপি কমিশনার জানান, এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। তদন্তের স্বার্থে গ্রেফতার ব্যক্তিদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে, সে জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো ছিলেন– ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অ্যাডমিন) ফারুক আহমেদ, লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন এবং মিডিয়া বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

পাথর নিক্ষেপকারী সেই ব্যক্তি গ্রেফতার: মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার ঘটনায় পাথর নিক্ষেপকারীদের মধ্যে আরো একজনকে পটুয়াখালীর ইটবাড়িয়া থেকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। বুধবার (১৬ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাজেদুল ইসলাম। তবে গ্রেফতার যুবকের নাম জানায়নি পুলিশ। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘ডিবি পুলিশের একটি দল মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাতে সোহাগ হত্যা মামলার এক আসামিকে ইটবাড়িয়া থেকে ধরে নিয়ে গেছে। অন্য জেলায় অভিযান থাকায় এ মুহূর্তে তার নাম প্রকাশ করা সম্ভব নয়।’ ডিবি পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, এর আগে গ্রেফতার অন্যান্য আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় নিশ্চিত হয়ে রাতে তারা পটুয়াখালীতে অবস্থান নেয়। পরে ইটবাড়িয়া এলাকার একটি বাসা থেকে ওই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। আটক আসামি ব্যবসায়ী সোহাগের নিথর দেহের ওপর পাথর নিক্ষেপ করেছিলেন এমন তথ্য তারা নিশ্চিত হয়েছেন। গ্রেফতার হওয়া আসামির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আরো একজনকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে সূত্রটি। এ নিয়ে সোহাগ হত্যাকাণ্ডের মামলায় ৯ জন আসামি গ্রেফতার হলো। এর আগে, ১৪ জুলাই র‌্যাব-১১ ও র‌্যাব-১০-এর যৌথ অভিযানে আলোচিত মিটফোর্ডের ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি মো. নান্নু কাজীকে (৩৩) নারায়ণগঞ্জের বন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়।

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ডিএমপির সংবাদ সম্মেলন

রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নয়, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে সোহাগ হত্যা

আপডেট সময় : ০৯:০৮:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ হত্যাকাণ্ডে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নেই। মূলত ব্যবসাযীক দ্বন্দ্ব থেকেই তাকে হত্যা করা হয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সোহাগ বিগত সরকারের সময় সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ভাগ্নে পিল্লু কমিশনারের ছত্রছায়ায় বিদ্যুতের চোরাই তার কেনাবেচা করতো। ৫ আগস্টের পর তার এই ব্যবসায় ভাগ বসাতে চায় তারই পরিচিতজনরা। এ নিয়েই তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি; যা থেকে মব সৃষ্টি করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, গত ৯ জুলাই বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে প্রকাশ্য লাল চাঁন ওরফে সোহাগকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর ৯৯৯-এ কল পেয়ে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সঙ্গে সঙ্গে ফাঁড়িতে খবর দেন। ইনচার্জ এসআই সরোয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং সন্দেহভাজন মাহমুদুল হাসান মহিন ও তারেক রহমান রবিনকে গ্রেফতার করেন। পরে সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্যের ভিত্তিতে আরো কয়েকজনকে শনাক্ত করে অভিযান চালিয়ে মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি জানান, ভিডিও ফুটেজে পাথর নিক্ষেপকারীকে শনাক্ত করা গেলেও পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছিল না। তবে পুলিশের বিশেষ টিমের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে ১৫ জুলাই পটুয়াখালী থেকে মো. রেজওয়ান উদ্দিন অভি নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। তার বাবার নাম মনোরঞ্জন বস, মায়ের নাম বিউটি দেব মিলা। তিনি একজন ধর্মান্তরিত মুসলিম বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার।

খসড়া এজাহার ঘিরে বিভ্রান্তি: এজাহার নিয়ে বিভ্রান্তির বিষয়ে তিনি বলেন, প্রথমে নিহতের সাবেক স্ত্রী থানায় গিয়ে মামলা করতে চেয়েছিলেন। পরে তার সৎ ভাই রনি ও বড় বোন মঞ্জু আরা বেগম থানায় যান। তারা ২৩ জনকে আসামি করে একটি খসড়া এজাহার প্রস্তুত করেন। পরে মূল বাদি মঞ্জু আরা পাঁচ জনের নাম বাদ দিয়ে এবং একজনের নাম যোগ করে মোট ১৯ জনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত এজাহার দায়ের করেন। খসড়া এজাহারের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা বিভ্রান্তির জন্ম দেয়।

হত্যার পেছনে বিদ্যুৎ চোরাচালানের ভাগ-বিতর্ক: ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এসএন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, নিহত সোহাগ এক সময় সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ভাগ্নে পিল্লু কমিশনারের ছত্রচ্ছায়ায় মিটফোর্ড এলাকায় চোরাই বিদ্যুতের তারের ব্যবসা করতেন। তবে ৫ আগস্টের পর ওই ব্যবসায় ভাগ বসাতে চায় তারই পরিচিত কয়েকজন। এই নিয়েই দ্বন্দ্ব তৈরি হয়, যা শেষ পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডে গড়ায়। তবে এতে নির্বাচনি কোনো বিষয় জড়িত নয়।

ডিএমপি কমিশনার জানান, এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। তদন্তের স্বার্থে গ্রেফতার ব্যক্তিদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে, সে জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো ছিলেন– ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অ্যাডমিন) ফারুক আহমেদ, লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন এবং মিডিয়া বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

পাথর নিক্ষেপকারী সেই ব্যক্তি গ্রেফতার: মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার ঘটনায় পাথর নিক্ষেপকারীদের মধ্যে আরো একজনকে পটুয়াখালীর ইটবাড়িয়া থেকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। বুধবার (১৬ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাজেদুল ইসলাম। তবে গ্রেফতার যুবকের নাম জানায়নি পুলিশ। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘ডিবি পুলিশের একটি দল মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাতে সোহাগ হত্যা মামলার এক আসামিকে ইটবাড়িয়া থেকে ধরে নিয়ে গেছে। অন্য জেলায় অভিযান থাকায় এ মুহূর্তে তার নাম প্রকাশ করা সম্ভব নয়।’ ডিবি পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, এর আগে গ্রেফতার অন্যান্য আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় নিশ্চিত হয়ে রাতে তারা পটুয়াখালীতে অবস্থান নেয়। পরে ইটবাড়িয়া এলাকার একটি বাসা থেকে ওই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। আটক আসামি ব্যবসায়ী সোহাগের নিথর দেহের ওপর পাথর নিক্ষেপ করেছিলেন এমন তথ্য তারা নিশ্চিত হয়েছেন। গ্রেফতার হওয়া আসামির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আরো একজনকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে সূত্রটি। এ নিয়ে সোহাগ হত্যাকাণ্ডের মামলায় ৯ জন আসামি গ্রেফতার হলো। এর আগে, ১৪ জুলাই র‌্যাব-১১ ও র‌্যাব-১০-এর যৌথ অভিযানে আলোচিত মিটফোর্ডের ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি মো. নান্নু কাজীকে (৩৩) নারায়ণগঞ্জের বন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়।