নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে কোনো মতামত দিতে চায় না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তারা কোনো রাজনৈতিক বক্তব্যের ওপর মন্তব্যও করতে চায় না।
ইসি পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আন্দোলনের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বুধবার (২১ মে) দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি দাবি করেন, ইসি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করছে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশনের সভা শেষে এই নির্বাচন কমিশনার যখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন, তখন ভবনের প্রবেশমুখে বিক্ষোভ করছিলেন এনসিপির নেতা-কর্মীরা। ইসি পুনর্গঠনের দাবির বিষয়টি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে আমরা কোনো মতামত দিতে চাই না।’
কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে এনসিপি প্রশ্ন তুলেছে। এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, কোনো রাজনৈতিক বক্তব্যের ওপর তাঁরা মন্তব্য করতে চান না। তবে নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করছে, করে যাবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে করার দাবির বিষয়ে আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘আ সিকুয়েন্সিং অব ইলেকশন, কোনটা আগে হবে, কোনটা পরে হবে, এটা ইসির হাতে নেই। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সরকারই সিদ্ধান্ত নেবে কোন নির্বাচন আগে হবে, পরে হবে। ইসির দায়িত্ব নির্বাচন অনুষ্ঠান করা।’
বিএনপির নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে গত ২৭ মার্চ রায় দেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল। নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর ইশরাককে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে গত ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রায়ের বিরুদ্ধে ইসি আপিল না করায় তা নিয়ে সমালোচনা চলছে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ইসি নির্বাচনী সব ধরনের আইনবিধি পর্যালোচনা করেছে। তাতে দেখা গেছে, এখানে ইসির পক্ষভুক্ত হওয়ার সুযোগ নেই। এ ছাড়া অতীতেও ইসির স্বপ্রণোদিত হয়ে এ ধরনের পক্ষভুক্ত হওয়ার নজির পাওয়া যায়নি।