নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমাদের দেশের রাজনীতিতে এখন নষ্ট সময় চলছে। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং রাজনীতিকে রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা করছে বিএনপি। আর এই লক্ষে পৌঁছাতে বিএনপি কারও সঙ্গে, কোনোভাবে আপস করবে না।
নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের অধিকার আদায়ে মওলানা ভাসানী সোচ্চার ছিলেন উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের এ রাজনৈতিক দূরাবস্থায় মওলানা ভাসানীকে স্মরণ করলে, তার কাজকে অনুসরণ করলে কিছুটা হলেও পরিত্রাণ মিলবে।
গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমানে দেশের মানুষ আগ্নেয়গিরির মতো ফুঁসে উঠছে। আর এসময় সরকারবিরোধী দলের ও মতের মানুষদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দিচ্ছে। তারা জানে না, এসব করে অন্তত বিএনপিকে রুখতে পারবে না তারা। বিএনপি নেতাকর্মীদের ত্যাগ স্বীকার করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। জাতির অস্তিত্ব রক্ষার পাশাপাশি নতুন করে দেশের অস্তিত্ব তৈরি করতে হবে। আমাদের এবার বিজয় অর্জন করতেই হবে, এর কোনও বিকল্প নেই। বিএনপি মহাসচিব বলেন, কঠিন লড়াই জয়ী হতে হলে মওলানা ভাসানীকে প্রতি মুহূর্তে স্মরণ করতে হবে। তা হলেই কেবল রাজনৈতিক অঙ্গনে সফলতা আসবে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ এবং গৃহবন্দি। ৩৫ লাখ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে এবং নতুন করে ৫০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। জনগণ আগ্নেয়গিরির মত ফুঁসে উঠছে। এর মাধ্যমেই সরকারের পতন হবে। অনুষ্ঠানে প্রত্যয় ব্যক্ত করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, আমাদের সবাইকে এখন শক্তি সঞ্চয় করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। এর কোনও বিকল্প নেই। বিএনপির আরেক ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ১০ ডিসেম্বরে বিএনপির গণসমাবেশ নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতারা ভয়ে আছেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শুনেছি কেউ কেউ ব্যাগ গোছাচ্ছেন। ১০ তারিখ নিয়ে পুলিশ প্রশাসন এমপি-মন্ত্রী অস্থির হয়ে আছেন। এতো ভয় কীসের? মওলানা ভাসানী দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ প্রমুখ।