নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর গাবতলীর পশুর হাট জমে উঠেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দুই দিনের তুলনায় ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। হাটে বেড়েছে পশু বিক্রি। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজধানীর গাবতলী পশুর হাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। এদিন দেখা যায়, হাটে পর্যাপ্ত গরু এসেছে। আরও গরু আসছে। হাটে ছোট গরুর তুলনায় মাঝারি ও বড় গরুর সংখ্যা বেশি। মিরপুর ১২ নম্বর থেকে গাবতলী হাটে এসেছেন গাজী ইউসুফ। তিনি বলেন, হাটে গরু ভালোই এসেছে। ছোট গরুর দাম মনে হচ্ছে বেশি। আমি মাঝারি ধরনের গরু কিনবো এবার। দাম এক লাখ থেকে দুই লাখ টাকার মধ্যে। শ্যামলী থেকে গাবতলী হাটে এসেছেন হামিদুর রহমান। তিনি বলেন, হাটে এসেছি দুই ঘণ্টা আগে। ছোট গরু দেখছি। এখনও কিনতে পারিনি। গতবারের তুলনায় এবার একটু দাম বেশি। গতবছর যে গরুর দাম ছিল ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা সে গরুর দাম রাখালিরা চাইছেন ১ লাখ ৩০ থেকে দেড় লাখ টাকা দাম চাইছেন। রাজবাড়ী থেকে তিনটি গরু নিয়ে হাটে এসেছেন মাসুম শেখ। তিনি বলেন, ক্রেতারা আসছেন। দাম কম করে বলছেন। গত দুই দিনের তুলনায় আজকে ক্রেতার সংখ্যা অনেক বেশি। আমি আজকে দুটি গরু বিক্রি করেছি। একটা বিক্রি করেছি এক লাখ ৭৫ হাজার ও আরেকটা এক লাখ ৩২ হাজার টাকা। তিনি আরও বলেন, আমার আরেকটি গরু আছে এটার দাম চাচ্ছি সাড়ে তিন লাখ টাকা। ক্রেতারা দুই লাখ টাকাও দাম বলছেন না। এবার মনে হয় ব্যবসায় লাভ করতে পারবো না।
ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি
এদিকে রাজধানীর দনিয়া এলাকার শনির আখড়া হাট থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা দিয়ে সাদা-কালো রঙয়ের একটা গরু কিনেছেন আব্দুল হাদীদ। তার মতে, গরুর দাম কিছুটা বেশি। তবে সেটা সহনীয়। আর ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা একটু বেশি। তিনি বলেন, এই হাটে গরুর দাম একটু বেশি। কিন্তু সেটা অস্বাভাবিক নয়। দাম যাই হোক, গরু পছন্দ হয়েছে, এটাই বড় কথা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এই কর্মচারীর সঙ্গে হাটে এসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদে কর্মরত আরও তিন কর্মচারী। সবার ভাষ্য একই, দাম কিছুটা বেশি। তবে সেটা খুব বেশি তাও বলা যাবে না। তারা ১ লাখ ৩০ হাজার টাকায় গরু কিনেছেন, দাম নিয়ে তারা সন্তুষ্ট। বুধবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যার পর রাজধানীর শনির আখড়া পশুর হাটের দুই প্রান্ত ঘুরে দেখা যায়, বেশকিছু বড় গরু উঠেছে এই হাটে। সবচেয়ে বড় গরুর নাম ‘পদ্মা সেতু’। ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার বেপারি জাকির মাতব্বরের গরুটিকে চারপাশ থেকে ঘিরে রেখেছে দর্শনার্থীরা। জাকির মাতব্বরের দাবি, এই হাটে এটাই সবচেয়ে বড় গরু। ওজনে এক টনের বেশি হবে। দাম ১৫ লাখ টাকা চাইছেন তিনি। এই হাটে অন্য বড় গরুর মধ্যে আছে ‘লাল বাদশা’, দাম ৮ লাখ টাকা। ফরিদপুরের আরেক বেপারি আব্দুল আকমত খানের ‘বীর বাহাদুর’ এর দাম সাড়ে ১০ লাখ টাকা। বড় গরুগুলোর ছবি তোলা ও ভিডিও করাতেই সীমাবদ্ধ ছিলেন অনেকে। আবার কেউ কেউ দাম জিজ্ঞেস করেই মুখ ফিরিয়েছেন। রাত ১০টা পর্যন্ত গরুগুলো বিক্রি হয়নি। হাসিল কাউন্টার, ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার কিছুটা বাড়তি দামে গরু বিক্রি হচ্ছে। এর পেছনে তারা গবাদি পশুর খাদ্যের বাড়তি দামকে দায়ী করেছেন।
রাজধানীর পশুর হাট : আছে বড়-মাঝারি, চাহিদা ছোটর
ট্যাগস :
রাজধানীর পশুর হাট : আছে বড়-মাঝারি
জনপ্রিয় সংবাদ