ঢাকা ০৩:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে নেই স্বাস্থ্যবিধি

  • আপডেট সময় : ১২:২৪:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন ২০২১
  • ৮৮ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা প্রতিবেদক : করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে সাধারণ মানুষকে ঘরে রাখতে বিভিন্ন জেলায় কঠোর অবস্থান নিয়েছে সরকার। ঢাকা থেকে সারাদেশে গণপরিবহন বিচ্ছিন্ন রয়েছে। রাজধানীবাসীকে নিরাপদে রাখতে বন্ধ রয়েছে নৌ চলাচল। খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বের হতে না করছে সরকার। তবে করোনার আতঙ্ক দেশজুড়ে থাকলেও রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোর চিত্র ভিন্ন। মাস্কবিহীন জনগণ একে অপরের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে বাজার করছেন ক্রেতারা। বাজার করতে এসে শারীরিক দূরত্বের তোয়াক্কা করছেন না নগরবাসী। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর সেকশন, সেনপাড়া, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া ও তালতলা বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের অন্যতম স্থান নগরীর কাঁচাবাজারগুলো। এসব বাজারে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখছেন না সাধারণ মানুষ। একইসঙ্গে অধিকাংশ মানুষই মুখে মাস্ক পর্যন্ত পড়ছেন না। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে শারীরিকভাবে একে অন্যের মধ্যে তিন ফুট দূরত্বে অবস্থান করতে বলা হলেও মানছে না ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই। তবে কেউ কেউ চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছেন। দূরত্ব বজায় রাখতে পারছে না। শেওড়াপাড়া বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিম পাড়ে অলিমিয়ার টেকে বাজার করতে এসেছেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত জামাল হোসেন। তিনি বলেন, করোনার ভয় নিয়েই চলতে হচ্ছে আমাদের। ফ্রিজে কোনো মাছ, মাংস ও কাঁচাবাজার নেই। এক দিন বাজার করি সাত দিন খাই। তাই আজ বাধ্য হয়ে বাজারে এসেছি। কিন্তু সারাদেশের চিত্র এক রকম আর বাজারে তার পুরোটাই উল্টো দেখছি। শারীরিক দূরত্ব কেউ মানছেন না। গায়ে গা ঘেঁষে বাজার করছেন। একটু সরতে বললে অনেকেই আড় চোখে তাকাচ্ছেন এতে করে নিজেই বিব্রত হচ্ছ
জামাল হোসেন বলেন, করোনা প্রতিরোধে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। তাই এক্ষেত্রে সরকারকে আরও কঠোর হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। এদিকে এসব বাজারগুলোতে বিক্রেতারাও কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। ক্রেতা পেয়েই খুশি তারা। ক্রেতাদের ভিড়ে করোনা প্রতিরোধে করনীয় সম্পর্কে এড়িয়ে যাচ্ছেন তারা। ক্রেতাদের মুখে মাস্ক থাকলেও অধিকাংশ বিক্রেতার মুখে মাস্ক নেই। নগরীর তালতলা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, মানুষের ভিড় পুরো বাজারে। মাছের দোকান কিংবা সবজির সবখানেই ক্রেতা সমাগম। মুখে মাস্ক নেই এবং একে অপরের গা ঘেঁষে কেনাকাটা করছেন কোনো শারীরিক দূরত্ব মানছেন না। এদিকে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরেও দেখা গেছে, অলিগলি-পাড়া-মহল্লার মোড়ে মোড়ে তরুণ ও কিশোরদের আড্ডা দেখে মনে হয়েছে তাদের মধ্যে করোনার কোনো ভয় বা আতঙ্ক নেই। নিয়ম রক্ষায় মাস্ক অনেকে গলায় ঝুলিয়ে করছে ধূমপান। শারীরিক দূরত্ব বলতে কিছুই মানছে না তারা। অপরদিকে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বিধি-নিষেধ বা ‘লকডাউনে’ প্রশাসনকে আরও কঠোর হওয়ার দাবি জানিয়েছে সচেতন সমাজ। তাদের মতে বাজারগুলোতে মাস্ক ব্যবহারে প্রশাসনিক তৎপরতা প্রয়োজন বলে তারা মনে করেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে নেই স্বাস্থ্যবিধি

আপডেট সময় : ১২:২৪:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন ২০২১

প্রত্যাশা প্রতিবেদক : করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে সাধারণ মানুষকে ঘরে রাখতে বিভিন্ন জেলায় কঠোর অবস্থান নিয়েছে সরকার। ঢাকা থেকে সারাদেশে গণপরিবহন বিচ্ছিন্ন রয়েছে। রাজধানীবাসীকে নিরাপদে রাখতে বন্ধ রয়েছে নৌ চলাচল। খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বের হতে না করছে সরকার। তবে করোনার আতঙ্ক দেশজুড়ে থাকলেও রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোর চিত্র ভিন্ন। মাস্কবিহীন জনগণ একে অপরের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে বাজার করছেন ক্রেতারা। বাজার করতে এসে শারীরিক দূরত্বের তোয়াক্কা করছেন না নগরবাসী। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর সেকশন, সেনপাড়া, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া ও তালতলা বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের অন্যতম স্থান নগরীর কাঁচাবাজারগুলো। এসব বাজারে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখছেন না সাধারণ মানুষ। একইসঙ্গে অধিকাংশ মানুষই মুখে মাস্ক পর্যন্ত পড়ছেন না। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে শারীরিকভাবে একে অন্যের মধ্যে তিন ফুট দূরত্বে অবস্থান করতে বলা হলেও মানছে না ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই। তবে কেউ কেউ চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছেন। দূরত্ব বজায় রাখতে পারছে না। শেওড়াপাড়া বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিম পাড়ে অলিমিয়ার টেকে বাজার করতে এসেছেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত জামাল হোসেন। তিনি বলেন, করোনার ভয় নিয়েই চলতে হচ্ছে আমাদের। ফ্রিজে কোনো মাছ, মাংস ও কাঁচাবাজার নেই। এক দিন বাজার করি সাত দিন খাই। তাই আজ বাধ্য হয়ে বাজারে এসেছি। কিন্তু সারাদেশের চিত্র এক রকম আর বাজারে তার পুরোটাই উল্টো দেখছি। শারীরিক দূরত্ব কেউ মানছেন না। গায়ে গা ঘেঁষে বাজার করছেন। একটু সরতে বললে অনেকেই আড় চোখে তাকাচ্ছেন এতে করে নিজেই বিব্রত হচ্ছ
জামাল হোসেন বলেন, করোনা প্রতিরোধে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। তাই এক্ষেত্রে সরকারকে আরও কঠোর হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। এদিকে এসব বাজারগুলোতে বিক্রেতারাও কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। ক্রেতা পেয়েই খুশি তারা। ক্রেতাদের ভিড়ে করোনা প্রতিরোধে করনীয় সম্পর্কে এড়িয়ে যাচ্ছেন তারা। ক্রেতাদের মুখে মাস্ক থাকলেও অধিকাংশ বিক্রেতার মুখে মাস্ক নেই। নগরীর তালতলা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, মানুষের ভিড় পুরো বাজারে। মাছের দোকান কিংবা সবজির সবখানেই ক্রেতা সমাগম। মুখে মাস্ক নেই এবং একে অপরের গা ঘেঁষে কেনাকাটা করছেন কোনো শারীরিক দূরত্ব মানছেন না। এদিকে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরেও দেখা গেছে, অলিগলি-পাড়া-মহল্লার মোড়ে মোড়ে তরুণ ও কিশোরদের আড্ডা দেখে মনে হয়েছে তাদের মধ্যে করোনার কোনো ভয় বা আতঙ্ক নেই। নিয়ম রক্ষায় মাস্ক অনেকে গলায় ঝুলিয়ে করছে ধূমপান। শারীরিক দূরত্ব বলতে কিছুই মানছে না তারা। অপরদিকে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বিধি-নিষেধ বা ‘লকডাউনে’ প্রশাসনকে আরও কঠোর হওয়ার দাবি জানিয়েছে সচেতন সমাজ। তাদের মতে বাজারগুলোতে মাস্ক ব্যবহারে প্রশাসনিক তৎপরতা প্রয়োজন বলে তারা মনে করেন।