ঢাকা ১১:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

রাজধানীতে সিটিং সার্ভিস-ওয়েবিল বন্ধ

  • আপডেট সময় : ০২:১৩:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ নভেম্বর ২০২১
  • ২৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী তিন দিনের মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় সিটিং সার্ভিস এবং গেইট লক সার্ভিস থাকবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। একইসঙ্গে ওয়েবিল পদ্ধতিতে বাস চলা বন্ধ করা হবে বলেও সমিতি জানিয়েছে।
গতকাল বুধবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ এ বিষয়ে ঘোষণা দেন। যেসব পরিবহন এসব সিদ্ধান্ত অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করেছেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে তিন দিনের মধ্যে ডিজেল ও সিএনজি চালিত বাসের স্টিকার লাগানোর ব্যবস্থা করা হবে। খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, কোনো ধরনের সিটিং সার্ভিস ও ওয়েবিলের মাধ্যমে কোনো বাস চলবে না। আমরা তিন দিন সময় দেব, এরপর কোনো গেইটলক ও সিটিং সার্ভিসের বাস চললে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এসময় তিনি দাবি করেন, সিএনজিচালিত বাসের সংখ্যা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রচার হয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়, রাজধানীতে ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ বাস সিএনজিতে চলে। তার দাবি, মাত্র তিন শতাংশ বাস সিএনজিতে চলে। এনায়েত উল্যাহ বলেন, গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে বাস-মিনিবাসের ভাড়া পুননির্ধারণ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। বলা হচ্ছে, ঢাকা এবং দূরপাল্লার বাস-মিনিবাসের ৮০-৯০ শতাংশ সিএনজিচালিত। এসব বাসে বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়। কিন্তু আমরা ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় ১২০টি কোম্পানির মধ্যে মাত্র ১৩ কোম্পানির ১৯৬টি বাস সিএনজিচালিত পেয়েছি। এটি মোট গণপরিবহনের মাত্র ৩ দশমিক ২৬ শতাংশ।
ঢাকায় সিএনজিচালিত বাস মাত্র ১৯৬টি! রাজধানীতে যেসব বাস-মিনিবাস চলাচল করে সেগুলোর মধ্যে মাত্র ১৯৬টি সিএনজিচালিত বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ। ছয় হাজার বাস-মিনিবাসের মধ্যে মাত্র ১৯৬টি সিএনজিচালিত বলে জানান তিনি। খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় ১২০টি কোম্পানির মধ্যে মাত্র ১৩ কোম্পানির ১৯৬টি বাস সিএনজিচালিত পেয়েছি। এটি মোট গণপরিবহনের মাত্র ৩ দশমিক ২৬ শতাংশ। বুধবার দুপুরে রাজধানীর কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ে সংগঠনটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেন খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।
বুধবার সংবাদ সম্মেলনে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে বাস-মিনিবাসের ভাড়া পুনর্র্নিধারণ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। বলা হচ্ছে, ঢাকা এবং দূরপাল্লার বাস-মিনিবাসের ৮০-৯০ শতাংশ সিএনজিচালিত। এসব বাসে বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়। কিন্তু আমরা ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় ১২০টি কোম্পানির মধ্যে মাত্র ১৩ কোম্পানির ১৯৬টি বাস সিএনজিচালিত পেয়েছি। এটি মোট গণপরিবহনের মাত্র ৩ দশমিক ২৬ শতাংশ।
খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, ১০-১২ বছর আগে ঢাকায় গ্যাসচালিত গাড়ি চলাচল করতো। এখন এসব বাসের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। বর্তমানে যে কয়েকটি বাস চলছে সেগুলোতে আগামী তিন দিনের মধ্যে ডিজেল ও সিএনজিচালিত বাসে স্টিকার লাগানো হবে। তখন বিআরটিএ’র নির্ধারিত ভাড়া নিতে হবে। এই গাড়িগুলো যাতে অতিরিক্ত ভাড়া নিতে না পারে সেজন্য মালিক-শ্রমিকদের সমন্বয়ে ১১টি ভিজিল্যান্স টিম মাঠে থাকবে।
১৯ টাকা অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে জরিমানা গুণতে হলো ৫ হাজার : বর্ধিত ভাড়ার চেয়েও ১৯ টাকা বেশি ভাড়া আদায় করায় পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা গুণতে হয়েছে গাবতলী থেকে মাওয়া রুটে চলাচলকারী বসুমতি পরিবহনকে। গতকাল বুধবার রাজধানীর শাহবাগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ভ্রাম্যমাণ আদালত এই জরিমানা করেন। ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির পর বাসের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু বর্ধিত ভাড়ার চেয়েও অনেক বাসে বেশি ভাড়া আদায় করছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। এক্ষেত্রে তারা অজুহাত দেখাচ্ছেন ‘ওয়েবিল’ নামক এক মনগড়া পদ্ধতির। জানা যায়, মাওয়া থেকে গাবতলী পর্যন্ত সরকার নির্ধারিত ভাড়া ৯৬ টাকা। কিন্তু বসুমতি পরিবহনের একটি বাসে সেই ভাড়া আদায় করা হয়েছে ১১৫ টাকা। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে এমন চিত্র দেখতে পান ডিএমপির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ডা. সঞ্জিব দাস।
অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার বিষয়ে বসুমতি পরিবহনের চালকের সহকারীর কাছে ব্যাখ্যা চান তিনি। চালকের সহকারী রুবেল মিয়া জানান, তিনি বাড়তি ভাড়া আদায় করছেন না। তিনি ভাড়া আদায় করছেন ওয়েবিল পদ্ধতিতে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে রুবেল মিয়াকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদ- দেওয়া হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জিব দাস বলেন, ‘সম্প্রতি ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে ডিজেলচালিত গণপরিবহনে সরকার ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে। আমরা অভিযোগ পাচ্ছিলাম যে পরিবহনগুলো ডিজেল চালিত না, তারা বেশি ভাড়া আদায় করছে। পাশাপাশি ডিজেলচালিত গণপরিবহনে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিএমপির পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।’
ভাড়া বেশি নেওয়া অভিযোগের প্রমাণ পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিআরটিএ যে ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে এই ভাড়া বেশি নিলেই আমরা বিআরটিএর ৮০ ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। অভিযানের প্রথম ঘন্টায় ৭ গাড়িকে মামলা দিয়ে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।’
এদিকে সকাল ৯টা থেকে দুই ঘণ্টা শাহবাগ মোড়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। সংস্থাটির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাকিলা বিনতে মতিনের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত সরকার নির্ধারিত ভাড়া চেয়ে বেশি ভাড়া আদায়ের দায়ে সাতটি বাসকে ২০ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে রুট পারমিট ও ফিটনেস না থাকায় দুইটি বাসকে ডাম্পিংয়ে পাঠানো হয়। এছাড়া বাড়তি ভাড়ার পাশাপাশি গাড়ির ফিটনেস ও অন্যান্য কাগজপত্র পরীক্ষা করতে দেখা গেছে উভয় ভ্রাম্যমাণ আদালতকে। এদিকে সকালে ভ্রাম্যমাণ আদালত চলার কারণে শাহবাগ ও আশপাশের সড়কে চলচলকারী গণপরিবহনের সংখ্যা কমে যায়। পুরান ঢাকা থেকে শাহবাগ হয়ে বিভিন্ন রুটে চলা ও মিরপুর মোহাম্মদপুর থেকে শাহবাগ হয়ে চলাচলকারী বাস চলাচল স্থবির হয়ে পরে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার লার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

রাজধানীতে সিটিং সার্ভিস-ওয়েবিল বন্ধ

আপডেট সময় : ০২:১৩:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ নভেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী তিন দিনের মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় সিটিং সার্ভিস এবং গেইট লক সার্ভিস থাকবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। একইসঙ্গে ওয়েবিল পদ্ধতিতে বাস চলা বন্ধ করা হবে বলেও সমিতি জানিয়েছে।
গতকাল বুধবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ এ বিষয়ে ঘোষণা দেন। যেসব পরিবহন এসব সিদ্ধান্ত অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করেছেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে তিন দিনের মধ্যে ডিজেল ও সিএনজি চালিত বাসের স্টিকার লাগানোর ব্যবস্থা করা হবে। খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, কোনো ধরনের সিটিং সার্ভিস ও ওয়েবিলের মাধ্যমে কোনো বাস চলবে না। আমরা তিন দিন সময় দেব, এরপর কোনো গেইটলক ও সিটিং সার্ভিসের বাস চললে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এসময় তিনি দাবি করেন, সিএনজিচালিত বাসের সংখ্যা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রচার হয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়, রাজধানীতে ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ বাস সিএনজিতে চলে। তার দাবি, মাত্র তিন শতাংশ বাস সিএনজিতে চলে। এনায়েত উল্যাহ বলেন, গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে বাস-মিনিবাসের ভাড়া পুননির্ধারণ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। বলা হচ্ছে, ঢাকা এবং দূরপাল্লার বাস-মিনিবাসের ৮০-৯০ শতাংশ সিএনজিচালিত। এসব বাসে বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়। কিন্তু আমরা ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় ১২০টি কোম্পানির মধ্যে মাত্র ১৩ কোম্পানির ১৯৬টি বাস সিএনজিচালিত পেয়েছি। এটি মোট গণপরিবহনের মাত্র ৩ দশমিক ২৬ শতাংশ।
ঢাকায় সিএনজিচালিত বাস মাত্র ১৯৬টি! রাজধানীতে যেসব বাস-মিনিবাস চলাচল করে সেগুলোর মধ্যে মাত্র ১৯৬টি সিএনজিচালিত বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ। ছয় হাজার বাস-মিনিবাসের মধ্যে মাত্র ১৯৬টি সিএনজিচালিত বলে জানান তিনি। খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় ১২০টি কোম্পানির মধ্যে মাত্র ১৩ কোম্পানির ১৯৬টি বাস সিএনজিচালিত পেয়েছি। এটি মোট গণপরিবহনের মাত্র ৩ দশমিক ২৬ শতাংশ। বুধবার দুপুরে রাজধানীর কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ে সংগঠনটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেন খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।
বুধবার সংবাদ সম্মেলনে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে বাস-মিনিবাসের ভাড়া পুনর্র্নিধারণ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। বলা হচ্ছে, ঢাকা এবং দূরপাল্লার বাস-মিনিবাসের ৮০-৯০ শতাংশ সিএনজিচালিত। এসব বাসে বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়। কিন্তু আমরা ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় ১২০টি কোম্পানির মধ্যে মাত্র ১৩ কোম্পানির ১৯৬টি বাস সিএনজিচালিত পেয়েছি। এটি মোট গণপরিবহনের মাত্র ৩ দশমিক ২৬ শতাংশ।
খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, ১০-১২ বছর আগে ঢাকায় গ্যাসচালিত গাড়ি চলাচল করতো। এখন এসব বাসের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। বর্তমানে যে কয়েকটি বাস চলছে সেগুলোতে আগামী তিন দিনের মধ্যে ডিজেল ও সিএনজিচালিত বাসে স্টিকার লাগানো হবে। তখন বিআরটিএ’র নির্ধারিত ভাড়া নিতে হবে। এই গাড়িগুলো যাতে অতিরিক্ত ভাড়া নিতে না পারে সেজন্য মালিক-শ্রমিকদের সমন্বয়ে ১১টি ভিজিল্যান্স টিম মাঠে থাকবে।
১৯ টাকা অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে জরিমানা গুণতে হলো ৫ হাজার : বর্ধিত ভাড়ার চেয়েও ১৯ টাকা বেশি ভাড়া আদায় করায় পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা গুণতে হয়েছে গাবতলী থেকে মাওয়া রুটে চলাচলকারী বসুমতি পরিবহনকে। গতকাল বুধবার রাজধানীর শাহবাগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ভ্রাম্যমাণ আদালত এই জরিমানা করেন। ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির পর বাসের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু বর্ধিত ভাড়ার চেয়েও অনেক বাসে বেশি ভাড়া আদায় করছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। এক্ষেত্রে তারা অজুহাত দেখাচ্ছেন ‘ওয়েবিল’ নামক এক মনগড়া পদ্ধতির। জানা যায়, মাওয়া থেকে গাবতলী পর্যন্ত সরকার নির্ধারিত ভাড়া ৯৬ টাকা। কিন্তু বসুমতি পরিবহনের একটি বাসে সেই ভাড়া আদায় করা হয়েছে ১১৫ টাকা। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে এমন চিত্র দেখতে পান ডিএমপির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ডা. সঞ্জিব দাস।
অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার বিষয়ে বসুমতি পরিবহনের চালকের সহকারীর কাছে ব্যাখ্যা চান তিনি। চালকের সহকারী রুবেল মিয়া জানান, তিনি বাড়তি ভাড়া আদায় করছেন না। তিনি ভাড়া আদায় করছেন ওয়েবিল পদ্ধতিতে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে রুবেল মিয়াকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদ- দেওয়া হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জিব দাস বলেন, ‘সম্প্রতি ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে ডিজেলচালিত গণপরিবহনে সরকার ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে। আমরা অভিযোগ পাচ্ছিলাম যে পরিবহনগুলো ডিজেল চালিত না, তারা বেশি ভাড়া আদায় করছে। পাশাপাশি ডিজেলচালিত গণপরিবহনে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিএমপির পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।’
ভাড়া বেশি নেওয়া অভিযোগের প্রমাণ পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিআরটিএ যে ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে এই ভাড়া বেশি নিলেই আমরা বিআরটিএর ৮০ ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। অভিযানের প্রথম ঘন্টায় ৭ গাড়িকে মামলা দিয়ে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।’
এদিকে সকাল ৯টা থেকে দুই ঘণ্টা শাহবাগ মোড়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। সংস্থাটির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাকিলা বিনতে মতিনের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত সরকার নির্ধারিত ভাড়া চেয়ে বেশি ভাড়া আদায়ের দায়ে সাতটি বাসকে ২০ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে রুট পারমিট ও ফিটনেস না থাকায় দুইটি বাসকে ডাম্পিংয়ে পাঠানো হয়। এছাড়া বাড়তি ভাড়ার পাশাপাশি গাড়ির ফিটনেস ও অন্যান্য কাগজপত্র পরীক্ষা করতে দেখা গেছে উভয় ভ্রাম্যমাণ আদালতকে। এদিকে সকালে ভ্রাম্যমাণ আদালত চলার কারণে শাহবাগ ও আশপাশের সড়কে চলচলকারী গণপরিবহনের সংখ্যা কমে যায়। পুরান ঢাকা থেকে শাহবাগ হয়ে বিভিন্ন রুটে চলা ও মিরপুর মোহাম্মদপুর থেকে শাহবাগ হয়ে চলাচলকারী বাস চলাচল স্থবির হয়ে পরে।