নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী ৫ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) রাজধানী ঢাকাতে শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী পুঁজিবাজার মেলা। ‘অর্থসূচক ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপো ২০২৩’ নামের এই মেলা আয়োজন করেছে অনলাইন নিউজ পোর্টাল অর্থসূচক। মেলার উদ্বোধন করবেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। রাজধানীর কাকরাইলের আইডিইবি ভবনে ৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে মেলা চলবে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মেলা। মেলায় প্রবেশর জন্য কোনো টিকিট লাগবে না। প্রবেশ কুপনের র্যাফেল ড্রতে থাকবে পুরস্কার। মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অর্থসূচকের সম্পাদক জিয়াউর রহমান, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান এবং ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিও। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রেসিডেন্ট ছায়েদুর রহমান বলেন, তথ্য-উপাত্তের ঘাটতি বা কারও দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার কারণে আমাদের বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। পুঁজিবাজারের উন্নয়নের জন্য পলিসি লেভেলে কাজ করতে হবে। বাজারের উন্নয়নের জন্য বিএসইসি (বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন) স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কাজ করছে।
তিনি বলেন, বাজার খারাপ হলে ভালো হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ২০২০ সালে বাজারের খারাপ পরিস্থিতি ছিল। অথচ ২০২০ সালে ক্লোজিং ভালো হয়েছে। আমাদের অর্থনীতি যে অবস্থায় আছে, তার চেয়ে বেশি নেতিবাচক প্রচার হয়েছে। হয়তো কেউ কেউ না জেনেও করেছে। আমাদের গার্মেন্টস সেক্টর নিয়ে হতাশা ছিল। অথচ গত মাসে আমাদের রফতানি ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) প্রেসিডেন্ট রিচার্ড ডি রোজারিও বলেন, আমাদের পুঁজিবাজারে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী বেশি। অর্থসূচকের এই এক্সপো পঞ্চমবারের মতো হচ্ছে। আমাদের বাজারে ৮০ শতাংশ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের প্রভাব রয়েছে। তবে এসব ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের শিক্ষা কার্যক্রম আনুপাতিক হারে কম। স্টক মার্কেট একটি সংবেদনশীল জায়গা। এখানে অনেক কিছু শেখার আছে। অর্থসূচক সম্পাদক ও সিএমজেএফ’র সভাপতি জিয়াউর রহমান বলেন, বাজারের বর্তমান পরিস্থিতি খারাপ বলা যাবে না। তবে পুঁজিবাজারে এই এক্সপো বিনিয়োগ শিক্ষার একটি বড় প্ল্যাটফর্ম। সেমিনারগুলোই এক্সপের প্রাণ। এক্সপো হলে আমরা নিউজ করে মানুষের কাছে তথ্য পৌঁছে দিতে পারি। সেমিনারের দেশের সেরা বক্তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এর মাধ্যমে বর্তমান ও সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীরা গাইডলাইন পাবেন। এবার পঞ্চমবারের মতো ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বলে জানান জিয়াউর রহমান। তিনি আরও জানান, বিনিয়োগ শিক্ষার প্রসার এবং পুঁজিবাজারের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে ২০১৫ সালে অর্থসূচকের উদ্যোগে এই এক্সপো শুরু হয়। জাতীয় নির্বাচন এবং করোনাভাইরাসের কারণে তিন বছর এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হয়নি।