ঢাকা ১১:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

রাজধানীতে রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপির লাঠিমিছিল

  • আপডেট সময় : ০৮:৫০:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৪
  • ১১৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : আসন্ন সংসদ নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে রাজধানীতে লাঠিমিছিল করেছেন বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই মিছিলের নেতৃত্ব দেন। মিছিলে নেতা-কর্মীরা নানা ধরনের স্লোগান দেন। এর মধ্যে রয়েছে ‘অবৈধ নির্বাচন মানি না, মানব না’; ‘ডামি নির্বাচন মানি না, মানব না’; ‘একতরফা নির্বাচন মানি না, মানব না’ ইত্যাদি। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন রুহুল কবির রিজভী। আওয়ামী লীগ সরকারের ‘অবৈধ নির্বাচন’ দেশের জনগণ মেনে নেবে না মন্তব্য করে রিজভী বলেন, ‘এখন দেশে দুটি ধারা বিদ্যমান। একটি হচ্ছে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে। যারা মানুষের ভোটাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে। আরেকটি হচ্ছে টাকা পাচার, লুটেরা ও মানুষের অধিকার হরণের পক্ষে। যারা ন্যায়ের পক্ষে আছি, তাদের জয় অবশ্যম্ভাবী।’ বিএনপির মিছিলে উপস্থিত ছিলেন দলটির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক মো. রফিকূল ইসলাম, যুববিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সেলিম রেজা, খোন্দকার আকবর হোসেন, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ ও সদস্যসচিব মজিবুর রহমান, মৎস্যজীবী দলের সদস্যসচিব আবদুর রহিম প্রমুখ।
‘ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীরা’ ভোটারের ভূমিকা পালন করতে পারে: আশঙ্কা ১২ দলীয় জোটের: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটারদের ভোটদানে নিরুৎসাহিত করে ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেছেন, ৭ জানুয়ারি ১২ দলীয় জোট সকাল-সন্ধ্যা গণকারফিউ পালন করবে। এদিন ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীরা ভোটকেন্দ্রে ভোটারের ভূমিকা পালন করতে পারে। তাই জোটের পক্ষ থেকে জনগণকে ঘর থেকে বের না হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। ভোট দিতে যাবেন না।
গতকাল শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে প্রেস ক্লাব ও পল্টন এলাকায় গণসংযোগ এবং পদযাত্রা শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়। সমাবেশে জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা গণকারফিউ ঘোষণা করেছিলেন। ইনশাআল্লাহ ২০২৪ সালে জনগণের গণকারফিউ শেখ হাসিনাকে পদত্যাগে বাধ্য করবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচন এলেই ভারতীয়রা খুব তৎপর হয়ে ওঠেন। আন্তর্জাতিক মহলে ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক দেখাতে গত ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীরা আবারও সক্রিয় হচ্ছেন। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) ভাইস চেয়ারম্যান হান্নান আহমেদ বাবলু, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন পারভেজ ও ইসলামি ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

রাজধানীতে রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপির লাঠিমিছিল

আপডেট সময় : ০৮:৫০:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : আসন্ন সংসদ নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে রাজধানীতে লাঠিমিছিল করেছেন বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই মিছিলের নেতৃত্ব দেন। মিছিলে নেতা-কর্মীরা নানা ধরনের স্লোগান দেন। এর মধ্যে রয়েছে ‘অবৈধ নির্বাচন মানি না, মানব না’; ‘ডামি নির্বাচন মানি না, মানব না’; ‘একতরফা নির্বাচন মানি না, মানব না’ ইত্যাদি। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন রুহুল কবির রিজভী। আওয়ামী লীগ সরকারের ‘অবৈধ নির্বাচন’ দেশের জনগণ মেনে নেবে না মন্তব্য করে রিজভী বলেন, ‘এখন দেশে দুটি ধারা বিদ্যমান। একটি হচ্ছে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে। যারা মানুষের ভোটাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে। আরেকটি হচ্ছে টাকা পাচার, লুটেরা ও মানুষের অধিকার হরণের পক্ষে। যারা ন্যায়ের পক্ষে আছি, তাদের জয় অবশ্যম্ভাবী।’ বিএনপির মিছিলে উপস্থিত ছিলেন দলটির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক মো. রফিকূল ইসলাম, যুববিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সেলিম রেজা, খোন্দকার আকবর হোসেন, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ ও সদস্যসচিব মজিবুর রহমান, মৎস্যজীবী দলের সদস্যসচিব আবদুর রহিম প্রমুখ।
‘ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীরা’ ভোটারের ভূমিকা পালন করতে পারে: আশঙ্কা ১২ দলীয় জোটের: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটারদের ভোটদানে নিরুৎসাহিত করে ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেছেন, ৭ জানুয়ারি ১২ দলীয় জোট সকাল-সন্ধ্যা গণকারফিউ পালন করবে। এদিন ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীরা ভোটকেন্দ্রে ভোটারের ভূমিকা পালন করতে পারে। তাই জোটের পক্ষ থেকে জনগণকে ঘর থেকে বের না হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। ভোট দিতে যাবেন না।
গতকাল শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে প্রেস ক্লাব ও পল্টন এলাকায় গণসংযোগ এবং পদযাত্রা শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়। সমাবেশে জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা গণকারফিউ ঘোষণা করেছিলেন। ইনশাআল্লাহ ২০২৪ সালে জনগণের গণকারফিউ শেখ হাসিনাকে পদত্যাগে বাধ্য করবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচন এলেই ভারতীয়রা খুব তৎপর হয়ে ওঠেন। আন্তর্জাতিক মহলে ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক দেখাতে গত ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীরা আবারও সক্রিয় হচ্ছেন। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) ভাইস চেয়ারম্যান হান্নান আহমেদ বাবলু, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন পারভেজ ও ইসলামি ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম।