ঢাকা ১২:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫

রাজধানীজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার, পুলিশের ৫০০ টহল টিম

  • আপডেট সময় : ০৮:৪৯:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৮১ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে ঢাকা মহানগর এলাকায় পুলিশি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৫০টি থানা এলাকায় ৫০০টি টহল টিম দায়িত্ব পালন করেছে বলে জানানো হয়েছে।

এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ৬৫টি পুলিশি চেকপোস্টসহ সিটিটিসি, এটিইউ, এপিবিএন, এবং র‌্যাবের টহল টিম দায়িত্ব পালন করেছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ২৮৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ জানান। তিনি বলেন, জননিরাপত্তা বিধান ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে ঢাকা মহানগর এলাকায় পুলিশি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ডিএমপিসহ অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে সমন্বিত চেকপোস্ট ও টহল কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে।

ডিএমপির ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৫০টি থানা এলাকায় জননিরাপত্তা বিধানে ডিএমপির ৫০০টি টহল টিম দায়িত্ব পালন করে। এছাড়া মহানগর এলাকার নিরাপত্তা বাড়াতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত স্থানে ডিএমপি ৬৫টি পুলিশি চেকপোস্ট পরিচালনা করে।

তিনি বলেন, জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির টহল টিমের পাশাপাশি মহানগরীর বিভিন্ন অপরাধপ্রবণ স্থানে সিটিটিসির ১৪টি, অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের (এটিইউ) ১২টি এবং ডিএমপির সঙ্গে র‌্যাবের ১০টি টহল টিম দায়িত্ব পালন করে। এছাড়া ডিএমপির চেকপোস্টের পাশাপাশি পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট এপিবিএন ২০টি চেকপোস্ট পরিচালনা করে।

গত ২৪ ঘণ্টায় গ্রেফতারের তথ্য জানিয়ে ডিসি তালেবুর বলেন, মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত মোট ২৮৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারদের মধ্যে ২৯ জন ডাকাত, ২৮ জন পেশাদার সক্রিয় ছিনতাইকারী, ছয়জন চাঁদাবাজ, ১০ জন চোর, ১৯ জন চিহ্নিত মাদক কারবারি, ৪৫ জন পরোয়ানাভুক্ত আসামিসহ অন্য অপরাধে জড়িত ব্যক্তি রয়েছে।

গ্রেফতারদের কাছ থেকে বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহৃত ১টি রামদা, ৪টি চাকু, ২টি সামুরাই, ১টি কাটিং প্লায়ার্স, ২টি ছুরি, ১টি শাবল, ২টি রড, সাংবাদিকতার ২টি ভুয়া আইডি কার্ড, ২টি মোটরসাইকেল, ২ কেজি ৯০০ গ্রাম তামার তার, ১৭ টি চাবি, ১টি সুইচ, ৩টি দড়ি, ৫টি মোবাইল, ১২টি বিদেশি নোট, ১টি সোনার চেইন, ২টি ওভেন, ১টি ফ্রিজ, ২টি ব্লেনডার, ২টি সাব-মেশিন, ১টি জুস সিল মেশিন, ১টি সাউন্ড বক্স ও নগদ ৮ লাখ ১৩ হাজার ৪৭০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

১৯ দিনে অপারেশন ডেভিল হান্টে গ্রেফতার সাড়ে ১০ হাজার ছাড়ালো: আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অপারেশন ডেভিল হান্টে সারাদেশে আরও ৬৭৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

৮ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে শুরু করে বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত ১৯ দিনে এ নিয়ে মোট ১০ হাজার ৫৭০ জনকে গ্রেফতার করা হলো ডেভিল হান্ট অপারেশনে।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানের আওতায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬৭৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর অন্যান্য মামলা ও ওয়ারেন্টের আওতায় গ্রেফতার করা হয়েছে ১০১২ জনকে। ২৪ ঘণ্টায় মোট গ্রেফতার করা হয়েছে ১ হাজার ৬৯০ জনকে। ৪.৫ এমএম পিস্তল একটি, এলজি একটি, শুটারগান একটি, দেশীয় তৈরি একনলা বন্দুক একটি, ম্যাগাজিন একটি, কার্তুজ ৭টি, রাইফেলের গুলি একটি, স্টিলের দেশীয় তৈরি কুড়াল একটি, ধারালো চাপাতি একটি, রামদা একটি, লোহার শাবল একটি, ক্ষুর একটি, সুইচ গিয়ার চাকু দুটি এবং লোহার রড দুটি উদ্ধার হয় বলে জানান এআইজি ইনামুল হক সাগর।

ডেভিল অর্থ হচ্ছে ‘শয়তান’ আর হান্ট অর্থ ‘শিকার’। ডেভিল হান্ট, যার বাংলা অর্থ গিয়ে দাঁড়ায় ‘শয়তান শিকার’ করা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঘোষিত ডেভিল হান্ট বলতে দেশবিরোধী চক্র, সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃতকারীদের আইনের আওতায় আনতে বোঝানো হয়েছে।

অপারেশন ডেভিল হান্ট একটি বিশেষ অভিযান, যা ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী হামলা করে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। এই হামলায় নেতৃত্ব দেন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। হামলার ফলে বেশ কয়েকজন হতাহত হন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে।

ঘটনার পরপরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার সিদ্ধান্ত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে অপারেশন ‘ডেভিল হান্ট’ নামক বিশেষ অভিযান শুরু হয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজধানীজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার, পুলিশের ৫০০ টহল টিম

আপডেট সময় : ০৮:৪৯:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে ঢাকা মহানগর এলাকায় পুলিশি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৫০টি থানা এলাকায় ৫০০টি টহল টিম দায়িত্ব পালন করেছে বলে জানানো হয়েছে।

এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ৬৫টি পুলিশি চেকপোস্টসহ সিটিটিসি, এটিইউ, এপিবিএন, এবং র‌্যাবের টহল টিম দায়িত্ব পালন করেছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ২৮৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ জানান। তিনি বলেন, জননিরাপত্তা বিধান ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে ঢাকা মহানগর এলাকায় পুলিশি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ডিএমপিসহ অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে সমন্বিত চেকপোস্ট ও টহল কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে।

ডিএমপির ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৫০টি থানা এলাকায় জননিরাপত্তা বিধানে ডিএমপির ৫০০টি টহল টিম দায়িত্ব পালন করে। এছাড়া মহানগর এলাকার নিরাপত্তা বাড়াতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত স্থানে ডিএমপি ৬৫টি পুলিশি চেকপোস্ট পরিচালনা করে।

তিনি বলেন, জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির টহল টিমের পাশাপাশি মহানগরীর বিভিন্ন অপরাধপ্রবণ স্থানে সিটিটিসির ১৪টি, অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের (এটিইউ) ১২টি এবং ডিএমপির সঙ্গে র‌্যাবের ১০টি টহল টিম দায়িত্ব পালন করে। এছাড়া ডিএমপির চেকপোস্টের পাশাপাশি পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট এপিবিএন ২০টি চেকপোস্ট পরিচালনা করে।

গত ২৪ ঘণ্টায় গ্রেফতারের তথ্য জানিয়ে ডিসি তালেবুর বলেন, মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত মোট ২৮৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারদের মধ্যে ২৯ জন ডাকাত, ২৮ জন পেশাদার সক্রিয় ছিনতাইকারী, ছয়জন চাঁদাবাজ, ১০ জন চোর, ১৯ জন চিহ্নিত মাদক কারবারি, ৪৫ জন পরোয়ানাভুক্ত আসামিসহ অন্য অপরাধে জড়িত ব্যক্তি রয়েছে।

গ্রেফতারদের কাছ থেকে বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহৃত ১টি রামদা, ৪টি চাকু, ২টি সামুরাই, ১টি কাটিং প্লায়ার্স, ২টি ছুরি, ১টি শাবল, ২টি রড, সাংবাদিকতার ২টি ভুয়া আইডি কার্ড, ২টি মোটরসাইকেল, ২ কেজি ৯০০ গ্রাম তামার তার, ১৭ টি চাবি, ১টি সুইচ, ৩টি দড়ি, ৫টি মোবাইল, ১২টি বিদেশি নোট, ১টি সোনার চেইন, ২টি ওভেন, ১টি ফ্রিজ, ২টি ব্লেনডার, ২টি সাব-মেশিন, ১টি জুস সিল মেশিন, ১টি সাউন্ড বক্স ও নগদ ৮ লাখ ১৩ হাজার ৪৭০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

১৯ দিনে অপারেশন ডেভিল হান্টে গ্রেফতার সাড়ে ১০ হাজার ছাড়ালো: আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অপারেশন ডেভিল হান্টে সারাদেশে আরও ৬৭৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

৮ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে শুরু করে বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত ১৯ দিনে এ নিয়ে মোট ১০ হাজার ৫৭০ জনকে গ্রেফতার করা হলো ডেভিল হান্ট অপারেশনে।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানের আওতায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬৭৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর অন্যান্য মামলা ও ওয়ারেন্টের আওতায় গ্রেফতার করা হয়েছে ১০১২ জনকে। ২৪ ঘণ্টায় মোট গ্রেফতার করা হয়েছে ১ হাজার ৬৯০ জনকে। ৪.৫ এমএম পিস্তল একটি, এলজি একটি, শুটারগান একটি, দেশীয় তৈরি একনলা বন্দুক একটি, ম্যাগাজিন একটি, কার্তুজ ৭টি, রাইফেলের গুলি একটি, স্টিলের দেশীয় তৈরি কুড়াল একটি, ধারালো চাপাতি একটি, রামদা একটি, লোহার শাবল একটি, ক্ষুর একটি, সুইচ গিয়ার চাকু দুটি এবং লোহার রড দুটি উদ্ধার হয় বলে জানান এআইজি ইনামুল হক সাগর।

ডেভিল অর্থ হচ্ছে ‘শয়তান’ আর হান্ট অর্থ ‘শিকার’। ডেভিল হান্ট, যার বাংলা অর্থ গিয়ে দাঁড়ায় ‘শয়তান শিকার’ করা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঘোষিত ডেভিল হান্ট বলতে দেশবিরোধী চক্র, সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃতকারীদের আইনের আওতায় আনতে বোঝানো হয়েছে।

অপারেশন ডেভিল হান্ট একটি বিশেষ অভিযান, যা ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী হামলা করে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। এই হামলায় নেতৃত্ব দেন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। হামলার ফলে বেশ কয়েকজন হতাহত হন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে।

ঘটনার পরপরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার সিদ্ধান্ত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে অপারেশন ‘ডেভিল হান্ট’ নামক বিশেষ অভিযান শুরু হয়।