ঢাকা ০৪:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৩ মার্চ ২০২৫

রহস্য ভাঙলেন অমিতাভ

  • আপডেট সময় : ০৫:০৪:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫
  • ৯ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন ডেস্ক: ‘যাবার সময় হল’ লিখে ভারতীয় হিন্দি সিনেমার মহাতারকা অমিতাভ বচ্চন যে রহস্য ছড়িয়েছিলেন, সেই ধোঁয়াশা এবার পরিস্কার করেছেন তিনি নিজেই। সংবাদ প্রতিদিন লিখেছে, অমিতাভ বলেছেন গেল মাসে এক্সে দেওয়া ওই পোস্টটি তিনি লিখেছিলেন শুটিং থেকে গভীর রাতে বাড়ি ফেরার সময়। তখন পুরো বাক্যটা তিনি শেষ করতে পারেননি ঘুমের চোটে। তাই অসমাপ্ত বাক্যে ভুল ধারণা তৈরি হয়েছিলে বলে জানিয়েছেন অমিতাভ। কৌন বনেগা ক্রোড়পতির সেটে একজন অমিতাভের কাছে জানতে চান, আপনার ‘যাবার সময় হল’ কথাটার অর্থ কি?
তখন অমিতাভ বলে ওঠেন, ‘যাবার সময় হল অর্থাৎ’, সেটে দর্শক সারি থেকে তখন এত চিৎকার ভেসে আসে যে অমিতাভ তার কথা সম্পূর্ণ করতে পারেন না। দর্শকরা সমস্বরে বলতে থাকেন, “আপনি কোথাও যেতে পারবেন না।

” তার পর অমিতাভ খোলসা করেন, আসলে কী লিখতে চেয়েছিলেন তিনি। অমিতাভের কথায়, “কৌন বনেগা ক্রোড়পতির সেট থেকে রাত ১টা বা ২টার আগে তার ছুটি মেলে না। গভীর রাতে যখন বাড়ি ফিরি তখন ঘুম ভর করে দুইচোখে। ওই ঘুমন্ত অবস্থাতেই সে দিন লিখেছিলাম, ‘যবার সময়’। অর্থাৎ, বাড়ি যাওয়ার সময় হয়েছে। পরের দিন আবার কাজে ফিরতে হবে। কিন্তু ঘুমের চোটে পুরোটা আর লিখে উঠতে পারিনি।” অভিনেতার ভাষ্য, তার ওই অসমাপ্ত বাক্যে কৌতুহল তৈরি হয়।

সংখ্যার হিসেবে বয়স ৮৩ হলেও কয়েক প্রজন্মের অভিনেতার সঙ্গে টক্কর দিয়ে কাজ করে চলেছেন অমিতাভ। এই বয়সেও শুটিংয়ে পৌঁছান সহকর্মীদের আগে, সিনেমার স্বার্থে ছোটখাট টিলা থেকে লাফ দেওয়া বা হিমালয় বাইতেও পিছপা নন তিনি। গেল দুই বছরে শুটিং সেটে কয়েকবার গুরুতর আহত হলেও, সুস্থ হয়ে ফিরেছেন শুটিং ফ্লোরে। ক্লান্তিকে ধারকাছে ঘেষতে না দিয়ে বর্ষীয়ান অভিনেতা কীভাবে শরীর স্বাস্থ্যকে নিজের ‘বশে রেখেছেন’। সর্বশেষ অমিতাভকে দেখা গেছে ‘ভেটাইয়ান’ সিনেমায়; টি জে জ্ঞানভেল পরিচালিত ওই সিনেমায় দক্ষিণের মহাতারকা রজনীকান্ত অভিনয় করেছেন। আর ওই সিনেমা দিয়ে ৩৩ বছর পর একসঙ্গে পাওয়া গেছে অমিতাভ ও রজনীকান্তকে। এছাড়া জনপ্রিয় গেইম শো ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতির’ সিজনেও সঞ্চালনা করছেন তিনি।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জ্ঞান বিক্রির হাটে অগ্নিশঙ্কা

রহস্য ভাঙলেন অমিতাভ

আপডেট সময় : ০৫:০৪:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫

বিনোদন ডেস্ক: ‘যাবার সময় হল’ লিখে ভারতীয় হিন্দি সিনেমার মহাতারকা অমিতাভ বচ্চন যে রহস্য ছড়িয়েছিলেন, সেই ধোঁয়াশা এবার পরিস্কার করেছেন তিনি নিজেই। সংবাদ প্রতিদিন লিখেছে, অমিতাভ বলেছেন গেল মাসে এক্সে দেওয়া ওই পোস্টটি তিনি লিখেছিলেন শুটিং থেকে গভীর রাতে বাড়ি ফেরার সময়। তখন পুরো বাক্যটা তিনি শেষ করতে পারেননি ঘুমের চোটে। তাই অসমাপ্ত বাক্যে ভুল ধারণা তৈরি হয়েছিলে বলে জানিয়েছেন অমিতাভ। কৌন বনেগা ক্রোড়পতির সেটে একজন অমিতাভের কাছে জানতে চান, আপনার ‘যাবার সময় হল’ কথাটার অর্থ কি?
তখন অমিতাভ বলে ওঠেন, ‘যাবার সময় হল অর্থাৎ’, সেটে দর্শক সারি থেকে তখন এত চিৎকার ভেসে আসে যে অমিতাভ তার কথা সম্পূর্ণ করতে পারেন না। দর্শকরা সমস্বরে বলতে থাকেন, “আপনি কোথাও যেতে পারবেন না।

” তার পর অমিতাভ খোলসা করেন, আসলে কী লিখতে চেয়েছিলেন তিনি। অমিতাভের কথায়, “কৌন বনেগা ক্রোড়পতির সেট থেকে রাত ১টা বা ২টার আগে তার ছুটি মেলে না। গভীর রাতে যখন বাড়ি ফিরি তখন ঘুম ভর করে দুইচোখে। ওই ঘুমন্ত অবস্থাতেই সে দিন লিখেছিলাম, ‘যবার সময়’। অর্থাৎ, বাড়ি যাওয়ার সময় হয়েছে। পরের দিন আবার কাজে ফিরতে হবে। কিন্তু ঘুমের চোটে পুরোটা আর লিখে উঠতে পারিনি।” অভিনেতার ভাষ্য, তার ওই অসমাপ্ত বাক্যে কৌতুহল তৈরি হয়।

সংখ্যার হিসেবে বয়স ৮৩ হলেও কয়েক প্রজন্মের অভিনেতার সঙ্গে টক্কর দিয়ে কাজ করে চলেছেন অমিতাভ। এই বয়সেও শুটিংয়ে পৌঁছান সহকর্মীদের আগে, সিনেমার স্বার্থে ছোটখাট টিলা থেকে লাফ দেওয়া বা হিমালয় বাইতেও পিছপা নন তিনি। গেল দুই বছরে শুটিং সেটে কয়েকবার গুরুতর আহত হলেও, সুস্থ হয়ে ফিরেছেন শুটিং ফ্লোরে। ক্লান্তিকে ধারকাছে ঘেষতে না দিয়ে বর্ষীয়ান অভিনেতা কীভাবে শরীর স্বাস্থ্যকে নিজের ‘বশে রেখেছেন’। সর্বশেষ অমিতাভকে দেখা গেছে ‘ভেটাইয়ান’ সিনেমায়; টি জে জ্ঞানভেল পরিচালিত ওই সিনেমায় দক্ষিণের মহাতারকা রজনীকান্ত অভিনয় করেছেন। আর ওই সিনেমা দিয়ে ৩৩ বছর পর একসঙ্গে পাওয়া গেছে অমিতাভ ও রজনীকান্তকে। এছাড়া জনপ্রিয় গেইম শো ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতির’ সিজনেও সঞ্চালনা করছেন তিনি।