প্রত্যাশা ডেস্ক : পবিত্র রমাজানের একেবারে শেষ প্রান্তে উপনীত আমরা। এ মুহূর্তে আমরা এখনও যেসব গুনাহ ছাড়তে পারিনি, যেসব থেকে আল্লাহ তা‘আলার কাছে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া উচিত। একই সঙ্গে এমন অঙ্গীকার করতে হবে যে, আমি এসব গুনাহ আর জীবনেও করবো না। তওবা বলা হয় এমন ক্ষমা প্রার্থনা ও আর জীবনে এসব গুনাহ না করার অঙ্গীকারকে।
গুনাহ হ’তে মুক্তি লাভের আশায় কৃত পাপগুলো স্মরণ করে আল্লাহর নিকট একনিষ্ঠচিত্তে ক্ষমা প্রার্থনা করবে (তাহরীম ৮)। রাসূল (স.) বলেন, ‘বান্দা কোনো পাপ করে ফেললে যদি সুন্দরভাবে ওযূ করে দু’রাক‘আত নফল সলাত আদায় করে আল্লাহর নিকট বিনীতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করে, তাহ’লে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন’ (আবূ দাঊদ হা/১৫২৩)। তবে তওবা কবুলের জন্য তিনটি শর্ত পূরণ করতে হবে- (১) একমাত্র আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যেই তওবা করতে হবে। (২) কৃত গোনাহের জন্য অনুতপ্ত হতে হবে। (৩) পুনরায় সে গোনাহে জড়িত না হওয়ার প্রতিজ্ঞা করতে হবে। উল্লেখ্য, যদি পাপটি বান্দার সাথে যুক্ত থাকে, তাহ’লে উপরের তিনটি শর্ত পূরণের সাথে চতুর্থ শর্ত হিসাবে তাকে বান্দার নিকটে ক্ষমা চাইতে হবে ও তাকে খুশি করতে হবে। নইলে তার তওবা শুদ্ধ হবে না’ (নববী, রিয়াযুস সলেহীন, ‘তওবা’ অনুচ্ছেদ)। তওবার জন্য বেশি বেশি পাঠ করতে হবে- ‘আস্তাগফিরুল্লা-হাল্লাযী লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়ুল ক্বাইয়ুম ওয়া আতূবু ইলাইহে’ (আমি আল্লাহর নিকটে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। যিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব ও বিশ্বচরাচরের ধারক। আমি অনুতপ্ত হৃদয়ে তার দিকে ফিরে যাচ্ছি বা তওবা করছি) (তিরমিযী, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/২৩৫৩)।
(মুসলিম) আল্লাহ তা‘আলা আমাদের খালেস নিয়তে সঠিক সময়ে তাওবাহ করার তওফিক দিন এবং তা কবুল করে নিন। আমীন।
রমজান শেষের আগেই তওবা
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ