ঢাকা ০৯:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫

রমজানে কিছু সাধারণ সমস্যায় যা করবেন

  • আপডেট সময় : ০৩:৪৬:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫
  • ৫ বার পড়া হয়েছে

ডা. এম এস আলম : রোজায় রুটিন ও খাদ্যাভ্যাসের আকস্মিক পরিবর্তনের কারণে কারও কারও শারীরিক কিছু জটিলতা দেখা দিতে পারে। একটু সতর্ক থাকলে এগুলো অনেকটা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
কোষ্ঠকাঠিন্য: রিফাইনড ফুডস, অপর্যাপ্ত খাদ্য–আঁশ ও পানিস্বল্পতায় পবিত্র রমজানে প্রায়ই কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। সে জন্য অতিরিক্ত রিফাইনড খাবার বর্জন করতে হবে। ইফতার থেকে সাহ্রি পর্যন্ত পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। খেতে হবে আঁশসমৃদ্ধ খাবার। অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়বে; বরং তাজা ফলমূল রাখুন ইফতারে।

বদহজম ও পেটফাঁপা: অতিরিক্ত ভাজাপোড়া ও মসলাযুক্ত খাবারে সাধারণত বদহজম ও পেটফাঁপা হয়। ডিম, বাঁধাকপি, মসুর ডাল, কোমল পানীয় পেটে গ্যাস তৈরির জন্য দায়ী। তাই বেশি অসুবিধা হলে এগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কোমল পানীয়র পরিবর্তে ফলের রস বা নিরাপদ পানি পান করুন।
রোজায় রুটিন ও খাদ্যাভ্যাসের আকস্মিক পরিবর্তনের কারণে কারো কারো শারীরিক কিছু জটিলতা দেখা দিতে পারে। একটু সতর্ক থাকলে এগুলো অনেকটা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
নিম্ন রক্তচাপ: সাধারণত বিকেলের দিকে রক্তচাপ কিছুটা কমে যেতে পারে এবং শরীর দুর্বল ও ক্লান্ত হয়ে পড়তে পারে। শরীরে লবণ ও পানির অভাবে এমনটা হয়। সে জন্য তরল খাবারের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন, বিশ্রাম নিন এবং খাবারে কিছুটা লবণ যুক্ত করুন।
মাথাব্যথা: যাদের ধূমপান বা কফি খাওয়ার অভ্যাস আছে, তাঁদের সাধারণত রোজা শুরুর কয়েক দিন বেশ মাথাব্যথা হতে পারে। কফি ও সিগারেট খাওয়া আস্তে আস্তে কমিয়ে দিন। হারবাল টি অথবা গ্রিন–টিতে অভ্যস্ত হতে পারেন। পর্যাপ্ত ঘুমান।
পেশিতে টান: মূলত ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়াম যুক্ত খাবারের অপর্যাপ্ততার জন্যই এমনটি হয়। শাকসবজি, ফল, দুধ, মাংস ও খেজুর খাওয়ার মাধ্যমে এসব মিনারেলের চাহিদা পূরণ করতে পারেন। পেশির টানের জন্য পানিশূন্যতাও দায়ী।
গ্যাস্ট্রিক, আলসার, বুকজ্বালা: যাদের এ ধরনের সমস্যা আছে, তাঁরা একসঙ্গে বেশি খাবেন না। খাবারকে তিন ভাগে ভাগ করে এক ভাগ ইফতারে, এক ভাগ রাতের খাবারের সময়, আরেক ভাগ সাহ্রিতে খান। খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে খান। চর্বিজাতীয় খাবার কমিয়ে দিন। খুব গরম ও খুব বেশি ঠান্ডা খাবার খাবেন না। ধূমপান থেকে বিরত থাকুন। ভাজাপোড়া ও অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার পরিহার করুন। চা-কফি বাদ দিন।

লেখক: মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও কনসালট্যান্ট, পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ধানমন্ডি, ঢাকা

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নির্বাচনে দেরি হলে জঙ্গি ও উগ্রপন্থিরাও সুযোগ নেবে: ফখরুল

রমজানে কিছু সাধারণ সমস্যায় যা করবেন

আপডেট সময় : ০৩:৪৬:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫

ডা. এম এস আলম : রোজায় রুটিন ও খাদ্যাভ্যাসের আকস্মিক পরিবর্তনের কারণে কারও কারও শারীরিক কিছু জটিলতা দেখা দিতে পারে। একটু সতর্ক থাকলে এগুলো অনেকটা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
কোষ্ঠকাঠিন্য: রিফাইনড ফুডস, অপর্যাপ্ত খাদ্য–আঁশ ও পানিস্বল্পতায় পবিত্র রমজানে প্রায়ই কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। সে জন্য অতিরিক্ত রিফাইনড খাবার বর্জন করতে হবে। ইফতার থেকে সাহ্রি পর্যন্ত পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। খেতে হবে আঁশসমৃদ্ধ খাবার। অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়বে; বরং তাজা ফলমূল রাখুন ইফতারে।

বদহজম ও পেটফাঁপা: অতিরিক্ত ভাজাপোড়া ও মসলাযুক্ত খাবারে সাধারণত বদহজম ও পেটফাঁপা হয়। ডিম, বাঁধাকপি, মসুর ডাল, কোমল পানীয় পেটে গ্যাস তৈরির জন্য দায়ী। তাই বেশি অসুবিধা হলে এগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কোমল পানীয়র পরিবর্তে ফলের রস বা নিরাপদ পানি পান করুন।
রোজায় রুটিন ও খাদ্যাভ্যাসের আকস্মিক পরিবর্তনের কারণে কারো কারো শারীরিক কিছু জটিলতা দেখা দিতে পারে। একটু সতর্ক থাকলে এগুলো অনেকটা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
নিম্ন রক্তচাপ: সাধারণত বিকেলের দিকে রক্তচাপ কিছুটা কমে যেতে পারে এবং শরীর দুর্বল ও ক্লান্ত হয়ে পড়তে পারে। শরীরে লবণ ও পানির অভাবে এমনটা হয়। সে জন্য তরল খাবারের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন, বিশ্রাম নিন এবং খাবারে কিছুটা লবণ যুক্ত করুন।
মাথাব্যথা: যাদের ধূমপান বা কফি খাওয়ার অভ্যাস আছে, তাঁদের সাধারণত রোজা শুরুর কয়েক দিন বেশ মাথাব্যথা হতে পারে। কফি ও সিগারেট খাওয়া আস্তে আস্তে কমিয়ে দিন। হারবাল টি অথবা গ্রিন–টিতে অভ্যস্ত হতে পারেন। পর্যাপ্ত ঘুমান।
পেশিতে টান: মূলত ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়াম যুক্ত খাবারের অপর্যাপ্ততার জন্যই এমনটি হয়। শাকসবজি, ফল, দুধ, মাংস ও খেজুর খাওয়ার মাধ্যমে এসব মিনারেলের চাহিদা পূরণ করতে পারেন। পেশির টানের জন্য পানিশূন্যতাও দায়ী।
গ্যাস্ট্রিক, আলসার, বুকজ্বালা: যাদের এ ধরনের সমস্যা আছে, তাঁরা একসঙ্গে বেশি খাবেন না। খাবারকে তিন ভাগে ভাগ করে এক ভাগ ইফতারে, এক ভাগ রাতের খাবারের সময়, আরেক ভাগ সাহ্রিতে খান। খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে খান। চর্বিজাতীয় খাবার কমিয়ে দিন। খুব গরম ও খুব বেশি ঠান্ডা খাবার খাবেন না। ধূমপান থেকে বিরত থাকুন। ভাজাপোড়া ও অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার পরিহার করুন। চা-কফি বাদ দিন।

লেখক: মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও কনসালট্যান্ট, পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ধানমন্ডি, ঢাকা