ঢাকা ০৮:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫

রবীন্দ্র কাছারি বাড়ির কাস্টোডিয়ানসহ ১০ কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

  • আপডেট সময় : ০৮:৫৮:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫
  • ১২৫ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জ সংবাদদাতা: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছারি বাড়িতে দর্শনার্থী দম্পতিকে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে এবার কাস্টোডিয়ানসহ ১০ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ঘটনার ১১দিন পর বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) শাহজাদপুর আমলি আদালতে মামলাটি করেন উপজেলার রূপপুর নতুনপাড়ার বাসিন্দা শাহনেওয়াজের স্ত্রী ছাবরিনা আক্তার সুইটি। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে তদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আদালতের পেশকার আনোয়ার হোসেন। মামলায় আসামিরা হলেন, কাছারি বাড়ির কাস্টোডিয়ান হাবিবুর রহমান, গ্রন্থাগার পরিচালক শরীফুজ্জামান সরকার, বিদ্যুৎ ও বাগান পরিচালক সিরাজুল ইসলাম, মালি শফিকুল ইসলাম, কাউন্টার ও বাগান পরিচালক মজিবুর রহমান, নিরাপত্তা প্রহরী আব্দুল মমিন, নুহ শেখ, বাবলু সরকার, আনিসুর রহমান ও রেজাউল।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ৮ জুন বাদী তার স্বামী শাহনেওয়াজ ও ভাতিজাকে নিয়ে মোটরসাইকেলে রবীন্দ্র কাছারি বাড়িতে ঘুরতে যান। প্রবেশের সময় টিকিটের টাকা দিলেও কাউন্টার থেকে কোনো টোকেন দেওয়া হয়নি। পরে বের হওয়ার সময় টোকেন দেখাতে বললে বাদী জানায় তাকে কোনো টোকেন দেওয়া হয়নি। তখন আসামিরা গালিগালাজ শুরু করে।

বাধা দিলে কাছারি বাড়ির গেট বন্ধ করে কাস্টোডিয়ানের নির্দেশে শাহনেওয়াজকে লোহার রড ও পাইপ দিয়ে মারধর করা হয়। ওই সময় ছাবরিনা আক্তারের শ্লীলতাহানি এবং তার গলায় থাকা সোনার চেইনও ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এরপর শাহনেওয়াজকে একটি কক্ষে আটকে রেখে আবারও মারধর এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলা হয়। পরে স্বজনরা এসে তাদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।

ঘটনার পর শাহজাদপুর থানায় অভিযোগ দিলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় আদালতে মামলা করেছেন বলে এজাহোরে জানিয়েছেন বাদী। এর আগে গত ১০ জুন এ ঘটনার প্রতিবাদে শাহজাদপুরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে বিক্ষোভ মিছিল থেকে কিছু মানুষ কাছারি বাড়িতে হামলা চালিয়ে অডিটোরিয়াম ভাঙচুর এবং কর্মীদের মারধর করে। এ ঘটনার পর কর্তৃপক্ষ কাছারি বাড়িতে দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ ঘোষণা করে; দুইদিন পর আবার তা খুলে দেওয়া হয়। এছাড়া কাছারি বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় কাস্টোডিয়ান হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে ১১ জুন ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জনের বিরুদ্ধে শাহজাদপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় এর মধ্যে যৌথবাহিনী ও পুলিশের অভিযানে ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনার তদন্তে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পৃথক দুইটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

রবীন্দ্র কাছারি বাড়ির কাস্টোডিয়ানসহ ১০ কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

আপডেট সময় : ০৮:৫৮:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

সিরাজগঞ্জ সংবাদদাতা: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছারি বাড়িতে দর্শনার্থী দম্পতিকে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে এবার কাস্টোডিয়ানসহ ১০ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ঘটনার ১১দিন পর বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) শাহজাদপুর আমলি আদালতে মামলাটি করেন উপজেলার রূপপুর নতুনপাড়ার বাসিন্দা শাহনেওয়াজের স্ত্রী ছাবরিনা আক্তার সুইটি। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে তদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আদালতের পেশকার আনোয়ার হোসেন। মামলায় আসামিরা হলেন, কাছারি বাড়ির কাস্টোডিয়ান হাবিবুর রহমান, গ্রন্থাগার পরিচালক শরীফুজ্জামান সরকার, বিদ্যুৎ ও বাগান পরিচালক সিরাজুল ইসলাম, মালি শফিকুল ইসলাম, কাউন্টার ও বাগান পরিচালক মজিবুর রহমান, নিরাপত্তা প্রহরী আব্দুল মমিন, নুহ শেখ, বাবলু সরকার, আনিসুর রহমান ও রেজাউল।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ৮ জুন বাদী তার স্বামী শাহনেওয়াজ ও ভাতিজাকে নিয়ে মোটরসাইকেলে রবীন্দ্র কাছারি বাড়িতে ঘুরতে যান। প্রবেশের সময় টিকিটের টাকা দিলেও কাউন্টার থেকে কোনো টোকেন দেওয়া হয়নি। পরে বের হওয়ার সময় টোকেন দেখাতে বললে বাদী জানায় তাকে কোনো টোকেন দেওয়া হয়নি। তখন আসামিরা গালিগালাজ শুরু করে।

বাধা দিলে কাছারি বাড়ির গেট বন্ধ করে কাস্টোডিয়ানের নির্দেশে শাহনেওয়াজকে লোহার রড ও পাইপ দিয়ে মারধর করা হয়। ওই সময় ছাবরিনা আক্তারের শ্লীলতাহানি এবং তার গলায় থাকা সোনার চেইনও ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এরপর শাহনেওয়াজকে একটি কক্ষে আটকে রেখে আবারও মারধর এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলা হয়। পরে স্বজনরা এসে তাদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।

ঘটনার পর শাহজাদপুর থানায় অভিযোগ দিলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় আদালতে মামলা করেছেন বলে এজাহোরে জানিয়েছেন বাদী। এর আগে গত ১০ জুন এ ঘটনার প্রতিবাদে শাহজাদপুরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে বিক্ষোভ মিছিল থেকে কিছু মানুষ কাছারি বাড়িতে হামলা চালিয়ে অডিটোরিয়াম ভাঙচুর এবং কর্মীদের মারধর করে। এ ঘটনার পর কর্তৃপক্ষ কাছারি বাড়িতে দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ ঘোষণা করে; দুইদিন পর আবার তা খুলে দেওয়া হয়। এছাড়া কাছারি বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় কাস্টোডিয়ান হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে ১১ জুন ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জনের বিরুদ্ধে শাহজাদপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় এর মধ্যে যৌথবাহিনী ও পুলিশের অভিযানে ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনার তদন্তে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পৃথক দুইটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।