ঢাকা ০৭:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

রবিনিয়োর গোলে স্বস্তির জয় কিংসের

  • আপডেট সময় : ০১:১৮:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৭৪ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া প্রতিবেদক : নাসিরউদ্দিন চৌধুরির ফাউলে বক্সে পড়ে গেলেন রবসন দি সিলভা রবিনিয়ো। পেনাল্টির বাঁশি বাজালেন রেফারি। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের খেলোয়াড়রা প্রবল আপত্তি জানালেও লাভ হয়নি। রবিনিয়োই স্পট কিকে গড়ে দিলেন ম্যাচের ভাগ্য। জয়রথে থাকল বসুন্ধরা কিংস।
বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় সোমবার শেখ রাসেলকে ১-০ গোলে হারিয়েছে কিংস। স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘের বিপক্ষে হেরে লিগ শুরুর পর টানা পাঁচ জয় পেল অস্কার ব্রুসনের দল। ছয় ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ফিরেছে তারা। লিগে এ নিয়ে টানা তিন ম্যাচে শেখ রাসেলের উপর আধিপত্য ধরে রাখল কিংস। গত লিগে প্রথম পর্বে ৪-০ এবং দ্বিতীয় লেগে ১-০ গোলে জিতেছিল তারা। চোটের কারণে এ ম্যাচেও কিংসে ছিলেন না বসনিয়া-হার্জেগোভিনার ফরোয়ার্ড ইস্তয়ান ভ্রানিয়াসকে। ফিনল্যান্ড প্রবাসী ডিফেন্ডার কাজী তারিক রায়হানও ছিলেন না। তারিকের জায়গায় শুরুর একাদশে রক্ষণে ফিরেন ইয়াসিন আরাফাত। শুরু থেকে আক্রমণে আধিপত্য করে কিংস, কিন্তু শেখ রাসেলের পোস্টের নিচে বিশ্বস্ত দেয়াল হয়ে ছিলেন আশরাফুল ইসলাম রানা। সপ্তম মিনিটে সোহেল রানার কাট ব্যাকে আরাফাত ক্রস বাড়ান বক্সে। মোহাম্মদ ইব্রাহিমের কোনাকুনি হেড ঝাঁপিয়ে আটকান রানা। প্রথমার্ধেই আরও দুটি ভালো আক্রমণ আটকে শেখ রাসেলের ত্রাতা রানা। একাদশ মিনিটে সোহেলের বাঁ পায়ের শট এবং ৩০তম মিনিটে রবিনিয়োর আড়াআড়ি ক্রসে কিংসলের কাছের পোস্টে নেওয়া শটও ফিস্ট করে ফেরান অভিজ্ঞ এই গোলরক্ষক। পুরো ম্যাচে শেখ রাসেলের বিবর্ণ আক্রমণভাগ প্রথম উল্লেখযোগ্য আক্রমণ শাণায় ৫৮তম মিনিটে। রহমত মিয়ার থ্রো ইনে মানিক মোল্লার ব্যাক হেডের পর রাব্বীর শট বাইরের জাল কাঁপায়। বাকিটা সময় কিংসের পোস্টের নিচে অলস সময় কেটেছে আনিসুর রহমান জিকোর।
৭৬তম মিনিটে রবিনিয়োর বক্সের বাইরে থেকে জোরাল শট ফেরান রানা। এর পাঁচ মিনিট পরই ওই পেনাল্টি থেকে এগিয়ে যায় কিংস। সিদ্ধান্তটি নিয়ে শেখ রাসেলের খেলোয়াড়রা প্রবল প্রতিবাদ জানালেও লাভ হয়নি, রেফারি সিদ্ধান্তে বদল হয়নি। রানাও পারেননি এই পরীক্ষায় উৎরে যেতে। তাকে বিপরীতে দিকে ছিটকে দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন রবিনিয়ো। চলতি লিগে ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ডের গোল হলো ৫টি। গোলের পরই ক্ষুব্ধ সমর্থকরা মাঠে বোতল ছুঁড়তে শুরু করে। তাতে খেলা বিঘিœত হয়। দ্রুতই পুলিশ পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ নিলে খেলা ফের শুরু হয়। কিংস অ্যারেনা মূলত বসুন্ধরা কিংসের হোম ভেন্যু। মাঠের স্বল্পতায় এ মাঠ হোম ভেন্যু হিসাবে ব্যবহার করছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রও। কিন্তু ‘হোমে’ তাদের পথচলা মোটেও ভালো হচ্ছে না। এ নিয়ে কিংস অ্যারেনায় খেলা দুই হোম ম্যাচেই হারল তারা। এর আগে শেখ রাসেল হেরেছিল আবাহনী লিমিটেডের কাছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

রবিনিয়োর গোলে স্বস্তির জয় কিংসের

আপডেট সময় : ০১:১৮:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২

ক্রীড়া প্রতিবেদক : নাসিরউদ্দিন চৌধুরির ফাউলে বক্সে পড়ে গেলেন রবসন দি সিলভা রবিনিয়ো। পেনাল্টির বাঁশি বাজালেন রেফারি। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের খেলোয়াড়রা প্রবল আপত্তি জানালেও লাভ হয়নি। রবিনিয়োই স্পট কিকে গড়ে দিলেন ম্যাচের ভাগ্য। জয়রথে থাকল বসুন্ধরা কিংস।
বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় সোমবার শেখ রাসেলকে ১-০ গোলে হারিয়েছে কিংস। স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘের বিপক্ষে হেরে লিগ শুরুর পর টানা পাঁচ জয় পেল অস্কার ব্রুসনের দল। ছয় ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ফিরেছে তারা। লিগে এ নিয়ে টানা তিন ম্যাচে শেখ রাসেলের উপর আধিপত্য ধরে রাখল কিংস। গত লিগে প্রথম পর্বে ৪-০ এবং দ্বিতীয় লেগে ১-০ গোলে জিতেছিল তারা। চোটের কারণে এ ম্যাচেও কিংসে ছিলেন না বসনিয়া-হার্জেগোভিনার ফরোয়ার্ড ইস্তয়ান ভ্রানিয়াসকে। ফিনল্যান্ড প্রবাসী ডিফেন্ডার কাজী তারিক রায়হানও ছিলেন না। তারিকের জায়গায় শুরুর একাদশে রক্ষণে ফিরেন ইয়াসিন আরাফাত। শুরু থেকে আক্রমণে আধিপত্য করে কিংস, কিন্তু শেখ রাসেলের পোস্টের নিচে বিশ্বস্ত দেয়াল হয়ে ছিলেন আশরাফুল ইসলাম রানা। সপ্তম মিনিটে সোহেল রানার কাট ব্যাকে আরাফাত ক্রস বাড়ান বক্সে। মোহাম্মদ ইব্রাহিমের কোনাকুনি হেড ঝাঁপিয়ে আটকান রানা। প্রথমার্ধেই আরও দুটি ভালো আক্রমণ আটকে শেখ রাসেলের ত্রাতা রানা। একাদশ মিনিটে সোহেলের বাঁ পায়ের শট এবং ৩০তম মিনিটে রবিনিয়োর আড়াআড়ি ক্রসে কিংসলের কাছের পোস্টে নেওয়া শটও ফিস্ট করে ফেরান অভিজ্ঞ এই গোলরক্ষক। পুরো ম্যাচে শেখ রাসেলের বিবর্ণ আক্রমণভাগ প্রথম উল্লেখযোগ্য আক্রমণ শাণায় ৫৮তম মিনিটে। রহমত মিয়ার থ্রো ইনে মানিক মোল্লার ব্যাক হেডের পর রাব্বীর শট বাইরের জাল কাঁপায়। বাকিটা সময় কিংসের পোস্টের নিচে অলস সময় কেটেছে আনিসুর রহমান জিকোর।
৭৬তম মিনিটে রবিনিয়োর বক্সের বাইরে থেকে জোরাল শট ফেরান রানা। এর পাঁচ মিনিট পরই ওই পেনাল্টি থেকে এগিয়ে যায় কিংস। সিদ্ধান্তটি নিয়ে শেখ রাসেলের খেলোয়াড়রা প্রবল প্রতিবাদ জানালেও লাভ হয়নি, রেফারি সিদ্ধান্তে বদল হয়নি। রানাও পারেননি এই পরীক্ষায় উৎরে যেতে। তাকে বিপরীতে দিকে ছিটকে দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন রবিনিয়ো। চলতি লিগে ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ডের গোল হলো ৫টি। গোলের পরই ক্ষুব্ধ সমর্থকরা মাঠে বোতল ছুঁড়তে শুরু করে। তাতে খেলা বিঘিœত হয়। দ্রুতই পুলিশ পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ নিলে খেলা ফের শুরু হয়। কিংস অ্যারেনা মূলত বসুন্ধরা কিংসের হোম ভেন্যু। মাঠের স্বল্পতায় এ মাঠ হোম ভেন্যু হিসাবে ব্যবহার করছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রও। কিন্তু ‘হোমে’ তাদের পথচলা মোটেও ভালো হচ্ছে না। এ নিয়ে কিংস অ্যারেনায় খেলা দুই হোম ম্যাচেই হারল তারা। এর আগে শেখ রাসেল হেরেছিল আবাহনী লিমিটেডের কাছে।