ঢাকা ০৬:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রপ্তানি গতিশীল করতে মেলার বিকল্প নেই : বাণিজ্যমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ০১:১৮:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অক্টোবর ২০২১
  • ১১৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের রপ্তানি বাণিজ্য গতিশীল করতে বিভিন্ন ধরনের মেলা আয়োজন ও অংশ নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। গতকাল বৃহস্পতিবার ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার’র (বিবিসিএফইসি) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশের অর্থনীতি রক্ষা ও রপ্তানি সম্প্রসারণসহ ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে এরইমধ্যে এক লাখ ৮৭ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নসহ নানা ধরনের কার্যক্রম করেছে, যা অত্যন্ত সময়োচিত। তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রতি বছর ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলাসহ নানা পণ্য ও সেবাখাত থেকে দেশি ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের মেলা আয়োজন করে থাকে। এর একটি স্থায়ী অবকাঠামো না থাকায় এসব মেলা আয়োজন করা কঠিন ছিল। উন্মুক্ত স্থানে প্রতি বছর বাণিজ্যমেলা আয়োজনের কারণে অনেক অর্থের অপচয় হতো। এটা আমাদের প্রধানমন্ত্রী লক্ষ্য করেছেন ও এ অবস্থা নিরসনে প্রধানমন্ত্রী একটি স্থায়ী কমপ্লেক্স সেন্টার নির্মাণ করতে ২০১৫ সালে পূর্বাচল নতুন শহরে ২০ একর ও পরবর্তী পর্যায়ে আরও ছয় একর জমি বরাদ্দ দেন। তিনি বলেন, চীন সরকারের সহায়তায় আন্তর্জাতিক মানসম্মত দৃষ্টিনন্দন ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার’র নির্মাণ কাজ দ্রুত সম্পন্ন হয়েছে। যা করোনার সময় একটি দুরূহ কাজ ছিল, তারপরও সেটা সম্ভব হয়েছে। টিপু মুনশি বলেন, পণ্য পরিচিতি ও বহুমুখী করতে নতুন নতুন বাজার খুঁজে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের ব্যাপক পণ্যমেলার আয়োজন ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় যোগদানে রপ্তানিকারকদের সহায়তা দেওয়া ও বিভিন্ন রপ্তানি পণ্যে আর্থিক সহায়তা দেওয়ায় দেশের রপ্তানি উত্তরোত্তর বাড়ছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গত ২০২০-২১ অর্থবছরে মোট রপ্তানির পরিমাণ ছিল সাড়ে ৪৫ বিলিয়ন ডলারের মতো। যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি। এ বছর আমরা ২০২১-২২ অর্থবছরে সেবাখাত থেকে মোট ৫১ বিলিয়ন ডলার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। আমরা তা অর্জন করতে পারবো বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি আরও বলেন, নবনির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে’ সারা বছর পণ্য ও সেবাখাতভিত্তিক মেলা আয়োজন, ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে পণ্য পরিচিতি-বিষয়ক আলোচনা, মতবিনিময়ের সুযোগ সৃষ্টি করে প্রদর্শনী কেন্দ্রটি একটি বিজনেস খাতে পরিণত হবে। এর আগে আমরা বছরে একবার মেলা করতাম। এখন স্থায়ী জায়গা হওয়ায় সারা বছর ধরে বিভিন্ন সংগঠন এটা ব্যবহার করতে পারবে, তাদের পণ্য দেখাতে পারবে। যার ফলে সারা বছর ধরেই আমরা এক্সিবিশন সেন্টারের উপকারিতা পাবো বলে জানান তিনি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জুবিনের গার্গের মৃত্যু নিয়ে যা জানা গেল

রপ্তানি গতিশীল করতে মেলার বিকল্প নেই : বাণিজ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০১:১৮:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অক্টোবর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের রপ্তানি বাণিজ্য গতিশীল করতে বিভিন্ন ধরনের মেলা আয়োজন ও অংশ নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। গতকাল বৃহস্পতিবার ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার’র (বিবিসিএফইসি) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশের অর্থনীতি রক্ষা ও রপ্তানি সম্প্রসারণসহ ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে এরইমধ্যে এক লাখ ৮৭ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নসহ নানা ধরনের কার্যক্রম করেছে, যা অত্যন্ত সময়োচিত। তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রতি বছর ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলাসহ নানা পণ্য ও সেবাখাত থেকে দেশি ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের মেলা আয়োজন করে থাকে। এর একটি স্থায়ী অবকাঠামো না থাকায় এসব মেলা আয়োজন করা কঠিন ছিল। উন্মুক্ত স্থানে প্রতি বছর বাণিজ্যমেলা আয়োজনের কারণে অনেক অর্থের অপচয় হতো। এটা আমাদের প্রধানমন্ত্রী লক্ষ্য করেছেন ও এ অবস্থা নিরসনে প্রধানমন্ত্রী একটি স্থায়ী কমপ্লেক্স সেন্টার নির্মাণ করতে ২০১৫ সালে পূর্বাচল নতুন শহরে ২০ একর ও পরবর্তী পর্যায়ে আরও ছয় একর জমি বরাদ্দ দেন। তিনি বলেন, চীন সরকারের সহায়তায় আন্তর্জাতিক মানসম্মত দৃষ্টিনন্দন ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার’র নির্মাণ কাজ দ্রুত সম্পন্ন হয়েছে। যা করোনার সময় একটি দুরূহ কাজ ছিল, তারপরও সেটা সম্ভব হয়েছে। টিপু মুনশি বলেন, পণ্য পরিচিতি ও বহুমুখী করতে নতুন নতুন বাজার খুঁজে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের ব্যাপক পণ্যমেলার আয়োজন ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় যোগদানে রপ্তানিকারকদের সহায়তা দেওয়া ও বিভিন্ন রপ্তানি পণ্যে আর্থিক সহায়তা দেওয়ায় দেশের রপ্তানি উত্তরোত্তর বাড়ছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গত ২০২০-২১ অর্থবছরে মোট রপ্তানির পরিমাণ ছিল সাড়ে ৪৫ বিলিয়ন ডলারের মতো। যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি। এ বছর আমরা ২০২১-২২ অর্থবছরে সেবাখাত থেকে মোট ৫১ বিলিয়ন ডলার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। আমরা তা অর্জন করতে পারবো বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি আরও বলেন, নবনির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে’ সারা বছর পণ্য ও সেবাখাতভিত্তিক মেলা আয়োজন, ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে পণ্য পরিচিতি-বিষয়ক আলোচনা, মতবিনিময়ের সুযোগ সৃষ্টি করে প্রদর্শনী কেন্দ্রটি একটি বিজনেস খাতে পরিণত হবে। এর আগে আমরা বছরে একবার মেলা করতাম। এখন স্থায়ী জায়গা হওয়ায় সারা বছর ধরে বিভিন্ন সংগঠন এটা ব্যবহার করতে পারবে, তাদের পণ্য দেখাতে পারবে। যার ফলে সারা বছর ধরেই আমরা এক্সিবিশন সেন্টারের উপকারিতা পাবো বলে জানান তিনি।