ঢাকা ০১:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

রপ্তানিতে উৎসে কর অর্ধেক চায় বিজিএপিএমইএ

  • আপডেট সময় : ০৮:৫২:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
  • ৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সরকারের নীতি সহায়তা চায় বাংলাদেশ গার্মেন্ট অ্যাক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ)। পাশাপাশি আসন্ন বাজেটে রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে কর অর্ধেক কমানোর দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। আগামী ৫ বছরের জন্য উৎসে কর ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে তারা।

আজ বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) প্রাক বাজেট আলোচনায় বিজিএপিএমইএ’র প্রস্তাব শুনবে এনবিআর। এতে সংগঠনটি ব্যক্তি পর্যায়ে করমুক্ত আয়ের সীমা সাড়ে ৩ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৪ লাখ টাকা করা, কোম্পানির ক্ষেত্রে সঞ্চয়ী আমানত, স্থায়ী আমানত ইত্যাদির সুদ বা মুনাফার উপর উৎসে কর ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করবে। উৎসে কর অর্ধেক করার প্রস্তাবের পক্ষে সংগঠনটি বলছে, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করতে হলে কোনো পণ্যে আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া যাবে না।

এ কারণে কোনো কোনো পণ্যে প্রণোদনা হ্রাস ও কোনো কোনো পণ্যে প্রণোদনা একেবারে বন্ধ করা হয়েছে। এসব পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে কঠিন প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হচ্ছে। এছাড়া উৎসে কর্তিত কর চূড়ান্ত কর দায় নিষ্পত্তির সময় সমম্বয় হয়ে থাকে। উৎসে কর অধিক হারে কর্তন করা হলে তা প্রতিষ্ঠানকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

সংগঠনের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে- শিল্প ও বাণিজ্য সংগঠনকে আয়কর আইনে প্রদত্ত কোম্পানি সংজ্ঞার আওতা থেকে বাদ দেওয়া, রপ্তানিমুখী শিল্পের অফিস স্টেশনারি পণ্য ও স্থানীয় বাজার থেকে কেনা কাঁচামালে ভ্যাট অব্যাহতি ও আয়কর-শুল্ক আইনের বিভিন্ন ধারার সংশোধন। এছাড়া স্থায়ী বা অস্থায়ী আন্তঃবন্ড স্থানান্তরের ব্যবস্থা করা, কন্টিনিউওয়াস বন্ডের সুবিধা প্রদান, আমদানি প্রাপ্যতা বছরভিত্তিক না করে একবারে দুই বছর করা,সাব কন্ট্রাক্টিংয়ের সুবিধা দেওয়া, কার্গো ঘোষণায় ভুলের জন্য জরিমানার পরিবর্তে সংশোধনের ব্যবস্থা করা প্রভৃতি দাবি জানিয়েছে বিজিএপিএমইএ। সংগঠনটি বলছে, আমদানি করা অথবা স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত যন্ত্রপাতি প্রতিষ্ঠানে স্থাপন করার ১৫ কার্যদিবসের পরিবর্তে ১৮০ দিনের মধ্যে কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটে আবেদন দাখিল মর্মে দরকারি সংশোধন প্রয়োজন।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

রপ্তানিতে উৎসে কর অর্ধেক চায় বিজিএপিএমইএ

আপডেট সময় : ০৮:৫২:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সরকারের নীতি সহায়তা চায় বাংলাদেশ গার্মেন্ট অ্যাক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ)। পাশাপাশি আসন্ন বাজেটে রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে কর অর্ধেক কমানোর দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। আগামী ৫ বছরের জন্য উৎসে কর ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে তারা।

আজ বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) প্রাক বাজেট আলোচনায় বিজিএপিএমইএ’র প্রস্তাব শুনবে এনবিআর। এতে সংগঠনটি ব্যক্তি পর্যায়ে করমুক্ত আয়ের সীমা সাড়ে ৩ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৪ লাখ টাকা করা, কোম্পানির ক্ষেত্রে সঞ্চয়ী আমানত, স্থায়ী আমানত ইত্যাদির সুদ বা মুনাফার উপর উৎসে কর ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করবে। উৎসে কর অর্ধেক করার প্রস্তাবের পক্ষে সংগঠনটি বলছে, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করতে হলে কোনো পণ্যে আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া যাবে না।

এ কারণে কোনো কোনো পণ্যে প্রণোদনা হ্রাস ও কোনো কোনো পণ্যে প্রণোদনা একেবারে বন্ধ করা হয়েছে। এসব পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে কঠিন প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হচ্ছে। এছাড়া উৎসে কর্তিত কর চূড়ান্ত কর দায় নিষ্পত্তির সময় সমম্বয় হয়ে থাকে। উৎসে কর অধিক হারে কর্তন করা হলে তা প্রতিষ্ঠানকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

সংগঠনের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে- শিল্প ও বাণিজ্য সংগঠনকে আয়কর আইনে প্রদত্ত কোম্পানি সংজ্ঞার আওতা থেকে বাদ দেওয়া, রপ্তানিমুখী শিল্পের অফিস স্টেশনারি পণ্য ও স্থানীয় বাজার থেকে কেনা কাঁচামালে ভ্যাট অব্যাহতি ও আয়কর-শুল্ক আইনের বিভিন্ন ধারার সংশোধন। এছাড়া স্থায়ী বা অস্থায়ী আন্তঃবন্ড স্থানান্তরের ব্যবস্থা করা, কন্টিনিউওয়াস বন্ডের সুবিধা প্রদান, আমদানি প্রাপ্যতা বছরভিত্তিক না করে একবারে দুই বছর করা,সাব কন্ট্রাক্টিংয়ের সুবিধা দেওয়া, কার্গো ঘোষণায় ভুলের জন্য জরিমানার পরিবর্তে সংশোধনের ব্যবস্থা করা প্রভৃতি দাবি জানিয়েছে বিজিএপিএমইএ। সংগঠনটি বলছে, আমদানি করা অথবা স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত যন্ত্রপাতি প্রতিষ্ঠানে স্থাপন করার ১৫ কার্যদিবসের পরিবর্তে ১৮০ দিনের মধ্যে কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটে আবেদন দাখিল মর্মে দরকারি সংশোধন প্রয়োজন।