ঢাকা ০৬:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫

রনির চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড, শঙ্কা কাটেনি

  • আপডেট সময় : ০২:০৪:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ১১৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : গাজীপুরে এক অনুষ্ঠানে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনির চিকিৎসায় ১৩ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
গতকাল রোববার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মো. আবুল কালামকে প্রধান করে এই বোর্ড গঠন করা হয় বলে ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান। সংবাদমাধ্যম কে তিনি বলেন, “বোর্ড গঠনের পর দুপুরেই বৈঠক হয়েছে। রনি এখনও শঙ্কামুক্ত নন। তার চিকিৎসা চলছে।”
রনির রক্ত পরীক্ষায় সমস্যা পাওয়া গেছে জানিয়ে সামন্ত লাল বলেন, “রিপোর্টগুলো বোর্ডের সভায় পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। আরও কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে এবং নতুন কিছু ওষুধ দেওয়া হয়েছে।”
গাজীপুর মহানগর পুলিশের চার বছর পূর্তি উপলক্ষে শুক্রবার জেলা পুলিশ লাইনস মাঠে নাগরিক সম্মেলন ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন হয়েছিল। সেখানে হঠাৎ গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণ হলে আবু হেনা রনিসহ চার পুলিশ কন্সটেবল দগ্ধ হন। শনিবার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন জানান, রনির শ্বাসনালী, এক কান ও শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। যে কোন রোগীর শতকরা ১৫ ভাগ দগ্ধ হলেই তাকে গুরুতর বলা হয়। রনিকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানালেন মেডিকেল বোর্ডের সদস্য সামন্ত লাল। তিনি বলেন, “বোর্ড সভা নিয়মিত বসবে, পর্যালোচনা করবে। পুরোপুরি সুস্থ হয়ে বাড়ি না যাওয়ার আগে স্পষ্ট করে কিছু বলা যাবে না।”
রনির চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন- অধ্যাপক রায়হানা আউয়াল, অধ্যাপক মুহাম্মদ নওয়াজেস খান, অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ রবিউল করিম খান, সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ হেদায়েত আলী খান, সহযোগী অধ্যাপক তানভীর আহমেদ, সহযোগী অধ্যাপক প্রদীপ চন্দ্র দাস, সহকারী অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক মনির হোসাইন, সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ শায়েস্তা আলী খান ও জুনিয়র কনসালটেন্ট বীণা সরকার। চিকিৎসার জন্য রনিকে দেশের বাইরে নেওয়ার প্রয়োজন আছে কি না, সেই প্রশ্নের জবাবে ডা. সামন্ত লাল বলেন, “এ ধরনের রোগীকে চিকিৎসা করার সক্ষমতা এই ইনস্টিটিউটে আছে।”
একই ঘটনায় দগ্ধ পুলিশ কনস্টেবল জিল্লুর রহমানও এ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। তার শরীরের ১৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তার অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে বলে জানান সামন্ত লাল। হাসপাতালে ভর্তি রনি ও অন্যদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে জানিয়ে গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (গোয়েন্দা- উত্তর) হুমায়ুন কবির বলেন, তিনি দগ্ধ দুজনের চিকিৎসার প্রয়োজনীয় খোঁজ খবর নিচ্ছেন মেডিকেল বোর্ড সদস্যদের কাছ থেকে।
“শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সংশ্লিষ্ট সকল চিকিৎসক তাদের পর্যাপ্ত সহযোগিতা করছে। আশা করা যাচ্ছে এখানেই চিকিৎসা নিয়ে তারা দুইজন সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে যাবেন।”

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

রনির চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড, শঙ্কা কাটেনি

আপডেট সময় : ০২:০৪:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : গাজীপুরে এক অনুষ্ঠানে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনির চিকিৎসায় ১৩ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
গতকাল রোববার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মো. আবুল কালামকে প্রধান করে এই বোর্ড গঠন করা হয় বলে ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান। সংবাদমাধ্যম কে তিনি বলেন, “বোর্ড গঠনের পর দুপুরেই বৈঠক হয়েছে। রনি এখনও শঙ্কামুক্ত নন। তার চিকিৎসা চলছে।”
রনির রক্ত পরীক্ষায় সমস্যা পাওয়া গেছে জানিয়ে সামন্ত লাল বলেন, “রিপোর্টগুলো বোর্ডের সভায় পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। আরও কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে এবং নতুন কিছু ওষুধ দেওয়া হয়েছে।”
গাজীপুর মহানগর পুলিশের চার বছর পূর্তি উপলক্ষে শুক্রবার জেলা পুলিশ লাইনস মাঠে নাগরিক সম্মেলন ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন হয়েছিল। সেখানে হঠাৎ গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণ হলে আবু হেনা রনিসহ চার পুলিশ কন্সটেবল দগ্ধ হন। শনিবার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন জানান, রনির শ্বাসনালী, এক কান ও শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। যে কোন রোগীর শতকরা ১৫ ভাগ দগ্ধ হলেই তাকে গুরুতর বলা হয়। রনিকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানালেন মেডিকেল বোর্ডের সদস্য সামন্ত লাল। তিনি বলেন, “বোর্ড সভা নিয়মিত বসবে, পর্যালোচনা করবে। পুরোপুরি সুস্থ হয়ে বাড়ি না যাওয়ার আগে স্পষ্ট করে কিছু বলা যাবে না।”
রনির চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন- অধ্যাপক রায়হানা আউয়াল, অধ্যাপক মুহাম্মদ নওয়াজেস খান, অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ রবিউল করিম খান, সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ হেদায়েত আলী খান, সহযোগী অধ্যাপক তানভীর আহমেদ, সহযোগী অধ্যাপক প্রদীপ চন্দ্র দাস, সহকারী অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক মনির হোসাইন, সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ শায়েস্তা আলী খান ও জুনিয়র কনসালটেন্ট বীণা সরকার। চিকিৎসার জন্য রনিকে দেশের বাইরে নেওয়ার প্রয়োজন আছে কি না, সেই প্রশ্নের জবাবে ডা. সামন্ত লাল বলেন, “এ ধরনের রোগীকে চিকিৎসা করার সক্ষমতা এই ইনস্টিটিউটে আছে।”
একই ঘটনায় দগ্ধ পুলিশ কনস্টেবল জিল্লুর রহমানও এ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। তার শরীরের ১৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তার অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে বলে জানান সামন্ত লাল। হাসপাতালে ভর্তি রনি ও অন্যদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে জানিয়ে গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (গোয়েন্দা- উত্তর) হুমায়ুন কবির বলেন, তিনি দগ্ধ দুজনের চিকিৎসার প্রয়োজনীয় খোঁজ খবর নিচ্ছেন মেডিকেল বোর্ড সদস্যদের কাছ থেকে।
“শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সংশ্লিষ্ট সকল চিকিৎসক তাদের পর্যাপ্ত সহযোগিতা করছে। আশা করা যাচ্ছে এখানেই চিকিৎসা নিয়ে তারা দুইজন সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে যাবেন।”