ঢাকা ০৬:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫

রঙিন মাছ চাষে রিফাতের রঙিন জীবন

  • আপডেট সময় : ১২:০৩:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২২
  • ৯৬ বার পড়া হয়েছে

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : রাশেদ শাহরিয়ার রিফাত। টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার বাসিন্দা। ২০ বছর বয়সেই তিনি উদ্যোক্তা। পড়াশোনার পাশাপাশি রঙিন মাছ চাষ করে জীবন রাঙাচ্ছেন তিনি। ৬ বছর আগে মাত্র ৬ হাজার টাকা নিয়ে শখ করে মাছ পালন শুরু করেন। সেই শখের রঙিন মাছ চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন তিনি। রিফাত উপজেলার কুড়াগাছা ইউনিয়নের মোমিনপুর গ্রামের অ্যাডভোকেট এম এ রশীদের ছেলে। তিনি টাঙ্গাইল থেকে ডিপ্লোমা পড়াশোনা শেষ করেছেন।
এই রঙিন মাছ অ্যাকুরিয়ামে শোভা পেয়ে থাকে। তবে তিনি বাড়ির আঙিনায় স্যানিটারি পাটে মাছ চাষ করছেন। ছোট-বড় এই মাছগুলো দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা রঙিন মাছ জেলার বিভিন্ন উপজেলার ব্যবসায়ীরা পাইকারি কিনে নেন তার কাছে থেকে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্যানিটারির পাটে লাল, নীল, কমলা, কালো, বাদামি, হলুদ রঙের মাছের ছড়াছড়ি। পানিতে ভাসছে, ডুব দিচ্ছে মাছগুলো। বর্ণিল মাছ দেখলে চোখ জুড়ায়, মন ভরে যায়। প্রায় ২৮ প্রজাতির মাছ রয়েছে তার খামারে। রিফাত বলেন, আমার অঞ্চলের কোনো জায়গায় এই মাছ পাইনি। ৬ বছর আগে ৬ হাজার টাকা নিয়ে মাছ চাষ শুরু করি। আমি রঙিন মাছগুলো ঢাকা থেকে প্রথমে শখের বসে নিয়ে এসেছিলাম। কয়েক মাস চাষ করার পর দেখি মাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাছ বৃদ্ধি পাওয়ার পর রঙিন মাছ বিক্রির চিন্তা করি।
প্রথমে উপজেলার বিভিন্ন দোকানে মাছ বিক্রি শুরু করি। আর এখন জেলার বিভিন্ন উপজেলার দোকানগুলোতে পাইকারি বিক্রি করা হচ্ছে। এখন প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকার রঙিন মাছ বিক্রি করতে পারি। প্রতিটি মাছ ২০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে বিক্রি করা হচ্ছে। সাতটি স্যানিটারি পাটে ও দুইটি হাউজে মাছ চাষ করা হচ্ছে। প্রতিটি স্যানিটারি পাটে ১০০০-১২০০ রঙিন মাছ রয়েছে। আর হাউজে রয়েছে বড় রঙিন মাছ।
সকাল ও বিকালে ভাসমান ফিড খাওয়াতে হয়। খাবার বাবদ প্রতি মাসে ১৬ হাজার টাকার খরচ হয়। ইঞ্চি ধরে এই মাছগুলো বিক্রি করা হয়। এখন দুইটি পুকুরেও চাষ করতেছি। এপর্যন্ত আমার সাড়ে ৬ লাখ টাকার মতো লাভ হয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রথম দিকে অনেকেই অনেক কথা বলছেন, এই মাছ চাষ করে কী হবে? দেশি মাছ তো অনেক লাভ।তারপরও আমি এই রঙিন মাছ চাষ করেছি। দেশি মাছ ১ কেজি বিক্রি করে যে পরিমাণ টাকা আয় হয়। রঙিন মাছ একটি বিক্রি করে সে পরিমাণ টাকা আয় হয়। আমাদের দেশে শিক্ষিত বেকার রয়েছেন অনেক, তারা যদি ইচ্ছা করেন, এই মাছ চাষ করতে পারবেন। শিক্ষিতরা এই মাছ চাষ করলে বেশি বুঝতে পারবেন। যেকোনো মানুষ যদি রঙিন মাছ চাষ করেন, তারা কখনো ক্ষতির সম্মুখীন হবেন না। তারা আয়ের মুখ দেখবেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রঙিন মাছ চাষে রিফাতের রঙিন জীবন

আপডেট সময় : ১২:০৩:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২২

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : রাশেদ শাহরিয়ার রিফাত। টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার বাসিন্দা। ২০ বছর বয়সেই তিনি উদ্যোক্তা। পড়াশোনার পাশাপাশি রঙিন মাছ চাষ করে জীবন রাঙাচ্ছেন তিনি। ৬ বছর আগে মাত্র ৬ হাজার টাকা নিয়ে শখ করে মাছ পালন শুরু করেন। সেই শখের রঙিন মাছ চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন তিনি। রিফাত উপজেলার কুড়াগাছা ইউনিয়নের মোমিনপুর গ্রামের অ্যাডভোকেট এম এ রশীদের ছেলে। তিনি টাঙ্গাইল থেকে ডিপ্লোমা পড়াশোনা শেষ করেছেন।
এই রঙিন মাছ অ্যাকুরিয়ামে শোভা পেয়ে থাকে। তবে তিনি বাড়ির আঙিনায় স্যানিটারি পাটে মাছ চাষ করছেন। ছোট-বড় এই মাছগুলো দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা রঙিন মাছ জেলার বিভিন্ন উপজেলার ব্যবসায়ীরা পাইকারি কিনে নেন তার কাছে থেকে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্যানিটারির পাটে লাল, নীল, কমলা, কালো, বাদামি, হলুদ রঙের মাছের ছড়াছড়ি। পানিতে ভাসছে, ডুব দিচ্ছে মাছগুলো। বর্ণিল মাছ দেখলে চোখ জুড়ায়, মন ভরে যায়। প্রায় ২৮ প্রজাতির মাছ রয়েছে তার খামারে। রিফাত বলেন, আমার অঞ্চলের কোনো জায়গায় এই মাছ পাইনি। ৬ বছর আগে ৬ হাজার টাকা নিয়ে মাছ চাষ শুরু করি। আমি রঙিন মাছগুলো ঢাকা থেকে প্রথমে শখের বসে নিয়ে এসেছিলাম। কয়েক মাস চাষ করার পর দেখি মাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাছ বৃদ্ধি পাওয়ার পর রঙিন মাছ বিক্রির চিন্তা করি।
প্রথমে উপজেলার বিভিন্ন দোকানে মাছ বিক্রি শুরু করি। আর এখন জেলার বিভিন্ন উপজেলার দোকানগুলোতে পাইকারি বিক্রি করা হচ্ছে। এখন প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকার রঙিন মাছ বিক্রি করতে পারি। প্রতিটি মাছ ২০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে বিক্রি করা হচ্ছে। সাতটি স্যানিটারি পাটে ও দুইটি হাউজে মাছ চাষ করা হচ্ছে। প্রতিটি স্যানিটারি পাটে ১০০০-১২০০ রঙিন মাছ রয়েছে। আর হাউজে রয়েছে বড় রঙিন মাছ।
সকাল ও বিকালে ভাসমান ফিড খাওয়াতে হয়। খাবার বাবদ প্রতি মাসে ১৬ হাজার টাকার খরচ হয়। ইঞ্চি ধরে এই মাছগুলো বিক্রি করা হয়। এখন দুইটি পুকুরেও চাষ করতেছি। এপর্যন্ত আমার সাড়ে ৬ লাখ টাকার মতো লাভ হয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রথম দিকে অনেকেই অনেক কথা বলছেন, এই মাছ চাষ করে কী হবে? দেশি মাছ তো অনেক লাভ।তারপরও আমি এই রঙিন মাছ চাষ করেছি। দেশি মাছ ১ কেজি বিক্রি করে যে পরিমাণ টাকা আয় হয়। রঙিন মাছ একটি বিক্রি করে সে পরিমাণ টাকা আয় হয়। আমাদের দেশে শিক্ষিত বেকার রয়েছেন অনেক, তারা যদি ইচ্ছা করেন, এই মাছ চাষ করতে পারবেন। শিক্ষিতরা এই মাছ চাষ করলে বেশি বুঝতে পারবেন। যেকোনো মানুষ যদি রঙিন মাছ চাষ করেন, তারা কখনো ক্ষতির সম্মুখীন হবেন না। তারা আয়ের মুখ দেখবেন।