ঢাকা ০৬:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫

রঙিন ফুলকপি চাষে সফল কৃষক আসলাম

  • আপডেট সময় : ১১:১৪:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৬০ বার পড়া হয়েছে

পাবনা প্রতিনিধি : রঙিন ফুলকপি চাষ করে সাড়া ফেলেছেন পাবনা সদর উপজেলার বিল ভাদুরিয়া গ্রামের কৃষক আসলাম আলী। বেগুনি ও হলুদ রঙের ফুলকপিতে এখন পাবনা শহরের সবজির দোকান ছেয়ে গেছে। প্রথমবার এমন ফুলকপি দেখে বাজারে আসা অনেককেই এই সবজিটি কিনে বাড়িতে ফিরতে দেখা গেছে। খুচরা বাজারে আসলাম আলীর এই রঙিন ফলকপি এখন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকার মধ্যে।
কৃষক আসলাম আলী বলেন, ‘গত বছর আমার দুই মেয়ে ইউটিউবে রঙিন ফুলকপির ভিডিও দেখে। এরপর তারা আমার কাছে এসে এই ফুলকপি চাষ করার জন্য অনুরোধ করে। আমিও ভিডিও দেখে মুগ্ধ হই। পরে ফুলকপি চাষ করার জন্য চিন্তা-ভাবনা করি। এজন্য আমি প্রথমে পাবনা সদর উপজেলা কৃষি অফিস যাই। তাদের কাছে এ বিষয়ে কিছু করার নেই বলে আমাকে জানায়। এরপর আমি প্রথমে ইউটিউবের যে ভিডিও করেছিল তাকে ফোন দেই। তারা আমাকে জানায় ঢাকায় যোগাযোগ করার জন্য। এরপর আমি ঢাকায় বীজ ভান্ডারে যোগাযোগ করে বীজ নিয়ে এসে রঙিন ফুলকপি আবাদ করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেড় বিঘা জমিতে প্রায় ৬ হাজারের বেশি ফুলকপির গাছ রোপণ করেছিলাম আমি। সবগুলোই ভালোভাবেই বড় হয়েছে। এখন আমি প্রতিদিন জমি থেকে কেটে সরাসরি বাজারের নিয়ে বিভিন্ন দোকানে পাইকারি দামে ফুলকপি বিক্রি করি। আমি পাইকারি ৬০-৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করি। সেগুলো বাজারে বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৮০-১০০ টাকা পর্যন্ত। হলুদ ও বেগুনি রঙের ফুলকপি চাষ করে ভালোই সাড়া পেয়েছি।’
কৃষক আসলাম আলীর বাবা ওমর আলী বলেন, ‘প্রথমদিকে আমার চিন্তা হয়েছিল, ফুলকপি সঠিকভাবে হবে কিনা। কিন্তু আমার ছেলের দেড় বিঘা জমিতেই সফলভাবে আবাদ হয়েছে। কপিগুলোও বেশ বড় বড় হয়েছে। আবাদের খরচ অন্যান্য কপির মতোই। আলাদা কিছুই নেই। তবে জৈব সার একটু বেশি দেওয়া লাগে। অনেকেই এক ফুলকপি দেখতে আমাদের জমিতে আসছেন। কেউ ছবি তুলছেন আবার কেউ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের তো ভালোই লাগছে।’
পাবনা শহরের সবজি বিক্রেতা মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ভালোই বেচাকেনা হচ্ছে। সাদা কপি বিক্রি হচ্ছে যেখানে ৫০-৬০ টাকা কেজি সেখানে রঙিন ফুলকপি বিক্রি করছি ৮০-১০০টাকা কেজিতে। ক্রেতাদের বাড়তি আগ্রহ থাকায় ভালো দামে বিক্রি হচ্ছে। অনেক ক্রেতা এসে বলছে- স্বাদও ভালো। আমি নিজেই প্রতিদিন ৫০-৬০ পিচ এই রঙিন ফুলকপি বিক্রি করছি।’ এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পাবনার উপ-পরিচালক ড. জামাল উদ্দীন বলেন, ‘এগুলো জাপানি জাতের ফুল কপি। আমাদের দেশে মাত্র দুই বছর আগে আবাদ শুরু হয়। পাবনাতে সাধারণ সাদা ফুলকপিই চাষ হয়, এবারই প্রথম এই রঙিন কপি চাষ করা হয়েছে। আগামীতে কেউ যদি এমন রঙিন ফুলকপি আবাদ করতে চান তাহলে কৃষি সম্প্রসারণ অফিস থেকে সব ধরনের সহযোগি দেওয়া হবে।’

 

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

রঙিন ফুলকপি চাষে সফল কৃষক আসলাম

আপডেট সময় : ১১:১৪:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

পাবনা প্রতিনিধি : রঙিন ফুলকপি চাষ করে সাড়া ফেলেছেন পাবনা সদর উপজেলার বিল ভাদুরিয়া গ্রামের কৃষক আসলাম আলী। বেগুনি ও হলুদ রঙের ফুলকপিতে এখন পাবনা শহরের সবজির দোকান ছেয়ে গেছে। প্রথমবার এমন ফুলকপি দেখে বাজারে আসা অনেককেই এই সবজিটি কিনে বাড়িতে ফিরতে দেখা গেছে। খুচরা বাজারে আসলাম আলীর এই রঙিন ফলকপি এখন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকার মধ্যে।
কৃষক আসলাম আলী বলেন, ‘গত বছর আমার দুই মেয়ে ইউটিউবে রঙিন ফুলকপির ভিডিও দেখে। এরপর তারা আমার কাছে এসে এই ফুলকপি চাষ করার জন্য অনুরোধ করে। আমিও ভিডিও দেখে মুগ্ধ হই। পরে ফুলকপি চাষ করার জন্য চিন্তা-ভাবনা করি। এজন্য আমি প্রথমে পাবনা সদর উপজেলা কৃষি অফিস যাই। তাদের কাছে এ বিষয়ে কিছু করার নেই বলে আমাকে জানায়। এরপর আমি প্রথমে ইউটিউবের যে ভিডিও করেছিল তাকে ফোন দেই। তারা আমাকে জানায় ঢাকায় যোগাযোগ করার জন্য। এরপর আমি ঢাকায় বীজ ভান্ডারে যোগাযোগ করে বীজ নিয়ে এসে রঙিন ফুলকপি আবাদ করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেড় বিঘা জমিতে প্রায় ৬ হাজারের বেশি ফুলকপির গাছ রোপণ করেছিলাম আমি। সবগুলোই ভালোভাবেই বড় হয়েছে। এখন আমি প্রতিদিন জমি থেকে কেটে সরাসরি বাজারের নিয়ে বিভিন্ন দোকানে পাইকারি দামে ফুলকপি বিক্রি করি। আমি পাইকারি ৬০-৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করি। সেগুলো বাজারে বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৮০-১০০ টাকা পর্যন্ত। হলুদ ও বেগুনি রঙের ফুলকপি চাষ করে ভালোই সাড়া পেয়েছি।’
কৃষক আসলাম আলীর বাবা ওমর আলী বলেন, ‘প্রথমদিকে আমার চিন্তা হয়েছিল, ফুলকপি সঠিকভাবে হবে কিনা। কিন্তু আমার ছেলের দেড় বিঘা জমিতেই সফলভাবে আবাদ হয়েছে। কপিগুলোও বেশ বড় বড় হয়েছে। আবাদের খরচ অন্যান্য কপির মতোই। আলাদা কিছুই নেই। তবে জৈব সার একটু বেশি দেওয়া লাগে। অনেকেই এক ফুলকপি দেখতে আমাদের জমিতে আসছেন। কেউ ছবি তুলছেন আবার কেউ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের তো ভালোই লাগছে।’
পাবনা শহরের সবজি বিক্রেতা মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ভালোই বেচাকেনা হচ্ছে। সাদা কপি বিক্রি হচ্ছে যেখানে ৫০-৬০ টাকা কেজি সেখানে রঙিন ফুলকপি বিক্রি করছি ৮০-১০০টাকা কেজিতে। ক্রেতাদের বাড়তি আগ্রহ থাকায় ভালো দামে বিক্রি হচ্ছে। অনেক ক্রেতা এসে বলছে- স্বাদও ভালো। আমি নিজেই প্রতিদিন ৫০-৬০ পিচ এই রঙিন ফুলকপি বিক্রি করছি।’ এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পাবনার উপ-পরিচালক ড. জামাল উদ্দীন বলেন, ‘এগুলো জাপানি জাতের ফুল কপি। আমাদের দেশে মাত্র দুই বছর আগে আবাদ শুরু হয়। পাবনাতে সাধারণ সাদা ফুলকপিই চাষ হয়, এবারই প্রথম এই রঙিন কপি চাষ করা হয়েছে। আগামীতে কেউ যদি এমন রঙিন ফুলকপি আবাদ করতে চান তাহলে কৃষি সম্প্রসারণ অফিস থেকে সব ধরনের সহযোগি দেওয়া হবে।’